Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। এটি আমাদের ব্যাঙ্কব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র এবং তথ্যাদি আদান-প্রদানের ক্ষেত্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। এর ফলে আমাদের স্বাধীনতা আমরা অন্য একটি জাতির কাছে খোয়াইনি; আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম এমন একটি একচেটিয়া বাণিজ্যিক সংস্থার (মনোপলিস্টিক কর্পোরেশন) কাছে যেটি আমাদের সমগ্র ব্যবস্থাকে কব্জা করে নিয়েছিল।
কোম্পানি বাণিজ্যের শর্তাবলি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করত যে তার ফলে প্রতিযোগিতার ব্যাপারটাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। কে, কার কাছে এবং কী বেচবে—সেটা তারাই ঠিক করে দিত। তাদের এই নয়া ব্যবস্থার সরাসরি বলি হল আমাদের বস্ত্রবয়ন শিল্প এবং উৎপাদন ব্যবস্থা। এই কোম্পানি নিজস্ব কোনও পণ্য উদ্ভাবন করেছে কিংবা বাজার বা বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে তার কোনও অবদান রেখেছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। আমি যা জানি তা হল, তারা একটি অঞ্চলে আফিম চাষের একচেটিয়া অধিকার ফলাত এবং অন্য অঞ্চলে আফিম আসক্তদের সামনে হয়ে উঠেছিল একমাত্র সাপ্লায়ার। তবুও, ভারতকে লুট করার সময় কোম্পানিটি ইংরেজ মুলুকে (যুক্তরাজ্যে) একটি ‘মডেল কর্পোরেট সিটিজেন’ হিসেবে সমাদৃত ছিল। সেটাই ছিল কোম্পানির বিদেশি শেয়ার গ্রহীতাদের পছন্দ।
মূল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেড়শো বছরেরও আগে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারা তখন যে ভীতির নগ্নতা কায়েম করেছিল সেটি ফিরে এসেছে। তাদের শূন্যস্থান দখল করেছে একচেটিয়া পুঁজিপতিদের একটি নতুন প্রজাতি। তারা প্রচুর সম্পদ কুক্ষিগত করেছে। তার ফলে ভারতজুড়ে অনেকখানি বেড়েছে অসাম্য এবং অন্যায়। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলি আর আমাদের জনগণের নেই, তারা কেবল একচেটিয়া কারবারিদের হুকুম তামিল করছে। তাদেরই উৎপাতে লক্ষ লক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এই চক্রে পড়ে ভারত তার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে অপারগ। ভারতমাতা তার সকল সন্তানের মা। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য তার সম্পদ এবং ক্ষমতার এই যে খোলাখুলি ও নির্লজ্জ একচেটিয়াকরণ ঘটেছে, তাতে অনেকের অধিকার নস্যাৎ হয়েছে। এই ঘটনা আহত করেছে আমাদের ভারতমাতাকেই।
আমি জানি যে, ভারতের শত শত উজ্জ্বল এবং উদ্যমী নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী এই একচেটিয়া কারবারিদের নিয়ে ভীত। আপনি কি তাঁদেরই অন্যতম? আপনি কি ফোনে কথা বলতে ভয় পান? একচেটিয়া কারবারিরা রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র সাপেক্ষে আপনার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করে আপনাকে পিষে ফেলতে পারে, আপনি কি এমন কোনও ভয় পাচ্ছেন? আয়কর, সিবিআই কিংবা ইডি হানার ভয়ে কি আপনার প্রিয় ব্যবসাপত্তর তাদের কাছে বেচে দিতে বাধ্য হওয়ার ভয় পাচ্ছেন আপনি? যখন আপনার মূলধনের ভীষণ প্রয়োজন তখন কি আপনি তাদেরই ভয়ে তীব্র অর্থসংকটে পড়েন? আপনাকে বাগে আনতে, খেলার নিয়ম মাঝপথে ওদের তরফে আচমকা পাল্টে ফেলার আতঙ্ক গ্রাস করে কি?
আপনি জানবেন, এই স্বৈরতান্ত্রিক নীতিহীন গোষ্ঠীগুলিকে বণিক-ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক করে দেখাটা সমীচীন নয়। আপনি যখন তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত বলে ভাবছেন, আসলে তখন আপনি কোনও একটি কোম্পানির সঙ্গে লড়ছেন না, আপনার লড়াইটা চলছে ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে। তাদের মূল যোগ্যতা—পণ্য, উপভোক্তা বা আইডিয়া নয়, বরং যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান তামাম ভারতকে শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করার এবং তাদের উপর নজরদারি চালাবার ক্ষমতা ধরে এরা। এই বাণিজ্যিক গোষ্ঠীগুলিই ঠিক করে দেয় আপনার মতো ভারতীয়রা কী পড়বেন এবং দেখবেন। ভারতীয়রা কীভাবে চিন্তা করবেন এবং কথা বলবেন, সেখানেও প্রভাব বিস্তার করে তারা। বাজারের শক্তিতে সাফল্য আসে না আজ, সেটি মেলে শক্তিমানের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে।
আপনাদের অন্তরে ভয় আছে, একইসঙ্গে আছে আশাও। ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ করার মতো ক্ষমতাধর একচেটিয়া গোষ্ঠীগুলির বিপরীতে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ দারুণ ভালো ও সৎ অসংখ্য ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থা রয়েছে। সব জেনেও কিন্তু আপনি নীরব! একটি অত্যাচারী ব্যবস্থায় মধ্যেই আপনি মাথা তুলে থাকতে চাইছেন। পীযূষ বনসালের কথাই ধরুন। তাঁর কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। প্রথম প্রজন্মের এই উদ্যোগী একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ২২ বছর বয়সে। চশমার জগতে নতুন মাত্রা এনেছে লেন্সকার্ট নামক যে সংস্থাটি, ২০১০ সালে তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর চলার শুরু। সংস্থাটি আজ ভারতজুড়ে হাজার হাজার মানুষের চাকরি বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তারপরে আসা যাক ফকিরচাঁদ কোহলির কথায়। ১৯৭০-এর দশকে একজন ম্যানেজার হিসেবে তিনি টাটা কনসালটেন্সি তৈরি করেন। এটি ছিল ভয়কে পিছনে ফলে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জয়—আইবিএম এবং একসেঞ্চারের মতো জায়ান্টদের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার হিম্মত। আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তি পরিষেবা প্রদান সংস্থাগুলি সামান্য বুটিক প্রক্রিয়া থেকে একটি আস্ত শিল্পে উন্নীত হয়েছে—সেখানেই টিসিএস এবং অন্য অগ্রণী সংস্থাগুলি হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। পীযূষ বনসাল বা প্রয়াত এফ সি কোহলিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তাঁদের রাজনৈতিক পছন্দ আমার থেকে ভিন্ন হতেই পারে, তাতে কী? মনে হয় যে নবীন প্রজন্মের মধ্যে টাইনর, ইন-মোবি, মান্যবর, জোম্যাটো, ফ্র্যাকটাল অ্যানালিটিকস, আরাকু কফি, ট্রেডেন্স, আমাগি, আইডি ফুডস, ফোন-পে, মগলিক্স, সুলা ওয়াইনস, জাসপে, জিরোধা, ভেরিটাস, অক্সিজো, অ্যাভেনডাস এবং পুরনোদের মধ্যে এলঅ্যান্ডটি, হলদিরাম, অরবিন্দ আই হসপিটাল, ইন্ডিগো, এশিয়ান পেইন্টস, এইচডিএফসি গ্রুপ, বাজাজ অটো এবং বাজাজ ফিনান্স, সিপ্লা, মাহিন্দ্রা অটো, টাইটানের মতো কোম্পানিগুলি সম্পর্কে আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমন কিছুই জানি না। যেসব দেশীয় কোম্পানি নিজস্ব উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতার জোরে এবং নিয়ম মেনে ব্যবসা ও উন্নতি করেছে—এগুলি তারই ছোট নমুনা মাত্র। আমি নিশ্চিত যে এই সংক্রান্ত আরও ভালো সংস্থার অসংখ্য নাম বাদ পড়ে গিয়েছে। তবে সেটা ইচ্ছাকৃত নয়, কোন প্রসঙ্গে এই নমুনাগুলির উল্লেখ, পাঠক আশা করি তা বুঝেছেন।
দুর্বল ও রুদ্ধকণ্ঠ মানুষকে রক্ষা করাই আমার রাজনীতির সবসময়ের লক্ষ্য। লাইন বা পংক্তির অন্তিম প্রান্তে যে রুদ্ধকণ্ঠ মানুষটি অপেক্ষা করে আছেন, তাঁকে রক্ষা করার প্রেরণা আমি গান্ধীজির কথা থেকে পাই। এই প্রত্যয়ই—এমএনআরইজিএ (১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্প), খাদ্যের অধিকার এবং জমি অধিগ্রহণ বিল সমর্থনে আমাকে এগিয়ে দেয়। নিয়ামগিরির মারাত্মক সংঘর্ষে আদিবাসীদেরই পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমি। তিনটি কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগ্রামেও আমি সমর্থন দিয়েছি। মণিপুরের মানুষের দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণার কথাও শুনেছি আমি।
আজ, এই লেখা লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছি যে, গান্ধীজির কথার সম্পূর্ণ গভীরতা আমি ছুঁতে পারিনি। ‘লাইন’ বা ‘পংক্তি’ যে রূপক অর্থে ব্যবহৃত একটি শব্দ, তা অনুধাবনে আমি ব্যর্থ হয়েছি—আসলে এখানে অনেকগুলি ভিন্ন লাইন রয়েছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনি যে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, সেখানে আপনিই শোষিত এবং সুবিধা-বঞ্চিত। আর তাই, আমার রাজনীতির লক্ষ্য থাকবে—আপনাকে ন্যায্য প্রাপ্য ফেরানো এবং সবার জন্য সমান নিয়ম চালু করা।
অন্যদের পয়সায় বা যাবতীয় খরচে একটিমাত্র ব্যবসাকে সহায়তা-সমর্থন জোগানোর অনুমতি সরকারকে দেওয়া যায় না, এটা আসলে ব্যবসা জগতে বেনামি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা। সরকারি সংস্থাগুলি ব্যবসাকে আক্রমণ করা এবং সন্ত্রস্ত রাখার অস্ত্র নয়। তবে এও বলব না যে, ভয়টা আপনার থেকে বড় একচেটিয়াদের কাছে চালান করা উচিত। তারা কোনও দুষ্ট ব্যক্তি নয়, এসব কেবল আমাদেরই সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে লালিত গলদের ফলাফল। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আপনার মতো তাদেরও ন্যায্য স্পেস বা জায়গা পাওয়া উচিত।
এই দেশ আমাদের সবার। আমাদের ব্যাঙ্কগুলির উচিত, যাঁদের ‘দারুণ কানেকশন’ আছে এরকম শীর্ষ শ’খানেক খেলাপি ঋণগ্রহীতার প্রতি তাদের একপেশে মোহমুগ্ধতা কাটিয়ে ওঠা এবং যাঁরা নিয়মনীতি মেনে ব্যবসাপত্তর করেন ঋণপ্রদানের হাত তাঁদের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া। তবেই ব্যাঙ্কগুলি ন্যায্য মুনাফা অর্জনের রাস্তা ফিরে পাবে। পরিশেষে এটাই বলব যে, রাজনৈতিক আচরণ বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সামাজিক চাপ ও প্রতিরোধের শক্তিকে খাটো করে দেখা উচিত নয়। কোনও ‘মসিহা’র প্রয়োজন নেই। আপনার পরিবর্তনই সকলের জন্য সম্পদ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
আমি বিশ্বাস করি, প্রগতিশীল ভারতীয় ব্যবসার জন্য ‘নিউ ডিল’ আসলে একটি ‘আইডিয়া’—তারই সময় আজ উপস্থিত হয়েছে।
লেখক সাংসদ ও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত
06th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
একনজরে
জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে। বাড়তে চেলেছে ইপিএফে মাসিক বেতনের ঊর্ধ্বসীমা। আগামী ৩০ নভেম্বর ইপিএফও-র অছি পরিষদের বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা। ...

দ্রুত কমছে জন্মহার। এই সমস্যার মোকাবিলায় চেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না রাশিয়া। এবার জনসংখ্যা হ্রাস রুখতে যৌনতা সংক্রান্ত বিশেষ মন্ত্রক তৈরির চিন্তাভাবনা করছে ভ্লাদিমির পুতিন ...

বেপরোয়া গাড়িচালকদের রেষারেষি থেকে একের পর এক নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় রাশ টানতে আগামী কাল, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই বৈঠক ডাকছে রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পরিবহণ দপ্তর। ...

আবাস যোজনার প্রকৃত উপভোক্তাদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করল পুলিস। তবে, গ্রামে মাঝেমধ্যে পুলিসের গাড়ি দেখে ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা। আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৪২: লন্ডনে রাজা প্রথম চার্লসের সঙ্গে সংসদের তুমুল বিতর্ক হয়
১৮০৫: ফরাসিরা ভিয়েনা দখল করে
১৮৩৫: মেক্সিকোর কাছ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে টেক্সাস
১৮৬৪: গ্রিসের নতুন সংবিধান গৃহীত হয়
১৯০৭: পল কমু’র উদ্ভাবিত হেলিকপ্টার প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ে
১৯১৩: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছায়
১৯৪৭: রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) অ্যাসল্ট রাইফেল একে-৪৭ চূড়ান্তভাবে তৈরি করে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিখাইল কালাশনিকভ এই উন্নত স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরি করেন বলে তাঁর নামানুসারে এর এর নাম দেয়া হয় আভটোমাট (স্বয়ংক্রিয়) কালাশনিকভ ১৯৪৭ বা সংক্ষেপে একে-৪৭
১৯৬৭: বিশিষ্ট অভিনেত্রী জুহি চাওলার জন্ম
১৯৮৯: আকস্মিক ধসে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জের কয়লাখনির অভ্যন্তরে ৭১ শ্রমিক আটকে পড়েন। পরে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ক্যাপসুলের সাহায্যে ৬৫ জনকে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে এই উদ্ধার পদ্ধতি বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে
২০০১: সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী' ও 'অপরাজিতা' র সর্বজয়া খ্যাতা বিশিষ্ট অভিনেত্রী করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২১: আন্তর্জাতিক সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক উইলবার স্মিথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৭ টাকা ৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৬৭ টাকা ১১০.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৪ টাকা ৯১.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ কার্তিক, ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী ১৭/৫৫ দিবা ১/২। রেবতী নক্ষত্র ৫৩/১৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৫১/৫৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৮/৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/১৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৩৫ গতে ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৭ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ১২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/১৫ মধ্যে। 
২৭ কার্তিক, ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী দিবা ৯/৫৭। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে ও ৭/৩৪ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ১০/২৪ গতে ১২/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে ও ৮/২১ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ৩/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৭ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/২২ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/১৫ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নৈহাটি বিধানসভা উপ নির্বাচন: জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তুললেন প্রশ্ন

04:52:40 PM

তৃতীয় টি২০: ২১ রানে আউট রেজা, দঃ আফ্রিকা ৪৭/২ (৫.৩ ওভার), টার্গেট ২২০

11:29:00 PM

তৃতীয় টি২০: ২০ রানে আউট রায়ান, দঃ আফ্রিকা ২৭/১ (৩ ওভার), টার্গেট ২২০

11:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ফের শুরু হল ম্যাচ, দঃ আফ্রিকা ৭/০ (১ ওভার), টার্গেট ২২০

11:11:00 PM

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ব্রাউন সুগার তৈরির কাঁচামাল সহ ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল মালদহ জেলা পুলিস

10:49:00 PM

তৃতীয় টি২০: মাঠে পোকার উৎপাতে সাময়িক ভাবে বন্ধ ভারত-দঃ আফ্রিকা ম্যাচ

10:45:00 PM