উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
এদিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতালে পাঁচটি নয়া ডায়ালিসিস মেশিন বসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সুপার। তিনি বলেন, এদিন স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল। সেখানেই নতুন মেশিনের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন মেশিন চালু হয়ে যাবে। ফলে ডায়ালিসিস পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আর কোনও আশঙ্কা থাকবে না।
সদর হাসপাতালে পিপিপি মডেলে চলা ডায়ালিসিসের যে মেশিনগুলি রয়েছে, সেগুলি পুরনো হয়ে গিয়েছে। ফলে মাঝেমধ্যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দিন কয়েক আগেই খারাপ হয়ে পড়ায় তা মেরামত করা হয়। মেশিনের কারণে ডায়ালিসিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয়, সেকারণেই দ্রুততার সঙ্গে নয়া মেশিন বসানোর এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে মেডিক্যালের তরফে।
এরই পাশাপাশি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল থেকে কী কী পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে, সেব্যাপারে রোগীর পরিবারকে জানাতে এবার সদর ও সুপার স্পেশালিটি দুই হাসপাতালেই চালু হচ্ছে মাইকিং। এনিয়ে সুপার বলেন, অনেকে হয়তো জানেন না, রোগীর ট্রলি কিংবা হুইল চেয়ার ঠেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ওয়ার্ডবয় রয়েছে। সেটা তাঁদের কাজ। কিন্তু জানা না থাকায় পরিবারের লোকেরাই ট্রলি ঠেলে নিয়ে যান। এই ছবি সামনে আসায় হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। এছাড়াও রোগীর পরিবার অনেক সময় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন, হাসপালের কর্মী পরিচয় দিয়ে রোগী ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ কেউ নাকি টাকা দাবি করেন। বিশেষ করে প্রসূতি বিভাগে ওই অভিযোগ মেলে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে আমরা রোগীর পরিজনদের এটাই জানাতে চাইছি, সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পেতে কোথাও কাউকে টাকা দিতে হয় না। এমনটা যদি কেউ দাবি করেন, তা হলে দেবেন না। উল্টো সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
রোগী পরিষেবার উপর নজরদারি চালাতে এবং হাসপাতাল কর্মীদের কাজে কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে নিয়মিত সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সুপার।