উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
এ বিষয়ে কৃষি গবেষক শুকদেব সামন্ত বলেন, অতীতে সুন্দরবন অঞ্চলে হরিণখুরা ও মালাবতী ধান প্রচুর চাষ হতো। লোক মুখে প্রচার রয়েছে, কোনও পদ ছাড়াই মালাবতী চালের পান্তা খাওয়া যায়। এই চালের ভাতেরও সুগন্ধ রয়েছে। চাষ করলে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় সাত মন ধান পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রচুর বৃষ্টিতে এই ধান চাষের কোনও সমস্যা হয় না। জমিতে জল বাড়লে ধান গাছও বাড়তে থাকে। মালাবতী ধান গাছ সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতার হয়। ধানগুলি মোটা ও লম্বায় প্রায় হাফ ইঞ্চি হয়। তবে হরিণখুরা ধান সরু হয়। লম্বায় হাফ ইঞ্চি। এই ধানের ভাত, চিড়ে, মুড়ি ও খই হয়। চারার অঙ্কুর থেকে ধান গাছ কাটা পর্যন্ত প্রায় ১৪০ দিন সময় লাগে। এই ধানের ফলন খুব ভালো হয়ে থাকে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৩ মন করে ধান পাওয়া যায়। বিশেষত্ব হল, এই ধানের দুই দিকে হরিণের খুড়ের মত কালো দাগ দেখা যায়। এমনকী এই ধানের চালে খিচুড়ি ও পায়েস খুব ভালো হয়।