উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর-২৯ এর হাসেমের গ্যাংয়ে ১৫-২০জন যুক্ত রয়েছে। তাদের কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা। প্রযুক্তি ব্যবহারে হাসেম পারদর্শী হওয়ায় সে পোর্টালে ‘অ্যাকসেস’ নিত। গ্যাংয়ের বাকি সদস্যরা অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করত। সে নিজেও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অন্যজনের নথি হাতাত। একসময় তার সাইবার ক্যাফে থাকায় নথি পেতে সমস্যা হতো না।
কীভাবে এই প্রতারক পোর্টালে ঢুকত? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবের টাকা পাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের নাম এবং ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর পোর্টালে আপলোড করতে হয়। একমাত্র স্কুল কর্তৃপক্ষই তা করতে পারে। প্রধান শিক্ষকরা যাঁদের দায়িত্ব দেন তাঁরাই অ্যাকাউন্ট নম্বর আপলোড করেন। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও বড় ভূমিকা থাকে। প্রতারক তাদের কারও কাছ থেকে পোর্টালের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়। তারপরই তারা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর পোর্টাল থেকে সরিয়ে দেয়। নিজেদের পছন্দের লোকজনদের অ্যাকাউন্ট নম্বর সেখানে আপলোড করে। শিক্ষাদপ্তরের পাঠানো টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। বেশকিছু অ্যাকাউন্ট থেকে তারা টাকা তুলে নেয়। স্কুলগুলি বিষয়টি জানার পর তড়িঘড়ি অভিযোগ জানানোয় তারা সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেনি। তবে এই কায়দায় তারা যে কোনও প্রকল্পের টাকা হাতাতে পারে।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার বলেন, অন্য প্রকল্পের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ধৃত যুবক অত্যন্ত মেধাবী। তার সঙ্গে জামতাড়া গ্যাংয়ের কারও পরিচয় হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সে ট্যাবের টাকা হাতানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। তার কাছ থেকে আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদেরও পাকড়াও করা হবে। ধৃত নিজের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা পাঠায়নি। সবই সে অন্যজনের অ্যকাউন্টে পাঠিয়েছে। সাধারণত জামতাড়া গ্যাং এই কায়দায় প্রতারণা করে। সে একাধিক সিমকার্ড ব্যবহার করত। সেগুলিও তার নিজের নথি দিয়ে তোলা হয়নি। প্রতারণা করার জন্য তার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দরকার হয়নি। একটা মোবাইলই যথেষ্ট ছিল।