উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
২০২৩-এর মে মাসে গুজরাত এটিএসের হাতে ধরা পড়ে চার আল কায়েদা জঙ্গি। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে তারা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গেই ঢোকে। এনআইএ তদন্তভার নেওয়ার পর ওই চারজনের বিরুদ্ধে সেই বছরের নভেম্বরে চার্জশিট দিয়ে দেয়। ধৃত জঙ্গিদের মোবাইল ফোন থেকে বেনিয়াপুকুর এলাকার এক বাসিন্দার নাম পান গোয়েন্দারা। দেখা যায়, কথাবার্তার পাশাপাশি রেলের টিকিট সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের মধ্যে মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে। সেই সূত্রে তদন্তে জড়িয়ে পড়ে কলকাতার নাম। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, কলকাতার ওই ব্যক্তির উত্তরপ্রদেশে যোগাযোগ রয়েছে। চার বাংলাদেশির সহযোগী হিসেবে কাজ করা আল কায়েদার ভারতীয় মডিউলের এক সদস্য মির্জা গালিব স্ট্রিটের ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। তিনিই জঙ্গিদের ট্রেনের টিকিট কেটে দিয়েছিলেন। সিট রিজার্ভেশন অবশ্য করা হয়েছিল অন্য ব্যক্তিদের নামে।
ধৃত বাংলাদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ জানতে পারে, কলকাতার ওই ট্রাভেল সংস্থার কর্মী তার এক পরিচিতকে ধরে শহরে কয়েকদিন থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এমনকী, এখানে আসার পর তাদের জাল পরিচয়পত্র তৈরিতেও সাহায্য করেছেন তিনি। সব নথি জোগাড় হওয়ার পর তারা ভিন রাজ্যে গিয়েছে। সেই টিকিট কেটে দিয়েছিলেন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা ওই যুবক। এনআইএ কর্তারা আরও জেনেছেন, মির্জা গালিব স্ট্রিটের একাধিক ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট কাটা হয়েছে আল কায়েদার একাধিক সদস্যের জন্য। এই সব ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে আধার, প্যান সহ বিভিন্ন নথি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের মাধ্যমেই ওই চার আল কায়েদা সদস্য সহ অন্য জঙ্গিদের জাল নথি তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ভ্রমণ সংস্থার যে কর্মী জঙ্গিদের সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ, তা তিনি জেনেশুনে নাকি অজান্তে করেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদ করে সেটাই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।