বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
বহরমপুরের সৈদাবাদ মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের ৫২১ জন পড়ুয়া কেউ টাকা পায়নি। চিন্তায় রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। সেপ্টেম্বর মাসেই ট্যাবের টাকা ঢুকে যাবে বলে পড়ুয়াদের জানানো হলেও নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও সেই টাকা পায়নি তারা। বিদ্যালয়ের তরফ থেকে ডিআইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি গত ৬ নভেম্বর পুনরায় পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর ঠিক করে জমা দিতে বলেন। এদিকে জেলার ৪৮৪১ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা দু’ বার করে পেয়েছে। মোট ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। সেটা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জেনেও ফের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দিতে বলেন। ডিআইয়ের এই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন অমরবাবু।
মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামানাথ সেনগুপ্ত বলেন, ডিআই সাহেবকে বার বার জিজ্ঞাসা করছি, কবে টাকা ঢুকবে। কিন্তু উনি কোনও সদুত্তর দিতে পারছেন না। শুধু বলছেন ২-৩ দিনের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেল এখনও টাকা ঢুকল না। কবে টাকা আসবে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পড়ুয়ারাও আমাদের কাছে জানতে চাইছে। বার বার ট্যাবের টাকার জন্য বলায় গত ৬ নভেম্বর নতুন করে ব্যাঙ্কের তথ্য দিতে বলেন উনি। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও আমরা বিদ্যালয়ে এসে সমস্ত পড়ুয়ার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য ভেরিফাই করিয়েছি। কিন্তু তারপরেও বুধবার পর্যন্ত কোনও টাকা ঢোকেনি।
মনীন্দ্রনগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে ১১৪ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি। পড়ুয়ারা আমাদের কাছে খোঁজ নিতে আসছে। আমরা বলছি কয়েকদিনের মধ্যেই টাকা ঢুকে যাবে। তাদের এটাও বলা হচ্ছে, টাকা ঢুকে গেলে আমাদের যেন জানায়। অনেকদিন আগেই আবেদন করেছি কিন্তু এখনও টাকা না ঢোকায় সবাই একটু চিন্তিত।
তবে জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ৩৩১২ জনের ট্যাবের টাকা খুব দ্রুত তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। আমরা দ্রুত সেই কাজ চালাচ্ছি। পাশাপাশি যে সমস্ত বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে দু’ বার করে টাকা গিয়েছে সেই ব্যাঙ্কগুলিকে চিঠি দিয়ে টাকা হোল্ড করার জন্য বলা হয়েছিল। সেই টাকা ফেরানোর চেষ্টা চলছে।