Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান।
২০১৬ সালে যখন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল শুভেচ্ছা জানাতে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিল, তখন নাকি ইউনুসের নাম না নিয়েই ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদাও দিয়েছিলেন।’ সেবার ট্রাম্প হারিয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটনকে। যে ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে ইউনুসের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে মার্কিন সফরে গিয়েও বিল ক্লিনটনের ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ইউনুস। শুধু ক্লিনটন পরিবারই নয়, ইউনুসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সম্পর্ক বরাবরই বেশ ভালো। প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০০৯ সালে তাঁকে আমেরিকার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিয়েছিলেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর উচ্ছ্বসিত ছবিতেও সেই প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যাই দাবি করুন না কেন, অতীত বলছে, এই মহম্মদ ইউনুসই ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছিলেন, তাঁদের দু’জনের রাজনৈতিক মতাদর্শ একেবারে আলাদা। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হয়েই, আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত উঁচু পাঁচিলে ঘিরতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই বিষয়ে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে ইউনুস বলেছিলেন, ‘দেওয়াল’ তৈরি না করে ট্রাম্পের উচিত উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘সেতু’ নির্মাণ করা। এহেন ট্রাম্পের জয়ে ইউনুসের মাথাব্যথার যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
সম্প্রতি দেওয়ালি উপলক্ষে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে কমলা-বাইডেনকে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে লুঠপাট চলছে। আমি এর তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ক্ষমতায় থাকলে, এমন কখনও হতো না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন আমেরিকায় এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গুরুত্ব দেননি। ...আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ব। আমার প্রশাসনের অধীনে ভারত ও আমার ভালো বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরও মজবুত করব।’ এর অর্থ নিশ্চিত বুঝতে অসুবিধে হয়নি বাংলাদেশের কেয়ারটেকার সরকারের। গত আগস্ট মাসে, হাসিনার বিদায়ের পরই, জো বাইডেনকে ফোন করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই উদ্বেগকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি বাইডেন প্রশাসন। সেদিন ট্রাম্পের মতো কোনও জোরালো বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি বাইডেনকে। ট্রাম্পের টুইট থেকে স্পষ্ট, তাঁর প্রশাসন অন্তত বাইডেনের সময়ের মতো চোখ বন্ধ করে থাকবে না। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তিও ইতিমধ্যে বাংলাদেশি হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য মার্কিন প্রশাসনের কাজে আর্জি জানিয়েছেন। ট্রাম্প যাতে এ বিষয়ে কড়া হস্তক্ষেপ করেন সে জন্যও প্রতিনিয়ত উদ্যোগ নিচ্ছেন।
শুধু তাই-ই নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন স্বয়ং শেখ হাসিনা। প্রথমে চিঠি পাঠিয়ে সদ্যনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারপর সরাসরি ফোনে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা! আর দু’ক্ষেত্রেই নিজেকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ বলেছেন হাসিনা। ট্রাম্পের সঙ্গে হাসিনার কথোপকথনের কথা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মধ্যরাতেই তড়িঘড়ি করে ইউনুসের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এরপরই দেশে আওয়ামি লিগের সভা-সমাবেশ নিয়ে এই কড়া পদক্ষেপের কথা জানান ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ততক্ষণে বাংলাদেশের প্রতিটি অলি-গলি এবং আম জনতার মধ্যেও জল্পনা, ট্রাম্পের হাত ধরেই হয়তো ফের মসনদে ফিরতে পারেন শেখ হাসিনা। অন্তত সেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে আওয়ামি লিগও। আর সেই স্বপ্ন ভাঙতেই তৎপর ইউনুস প্রশাসন। গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড কর্নার নোটিস জারি করার পরিকল্পনা করেছে ইউনুস প্রশাসন। শুধু তাই নয়, আওয়ামি লিগের সমস্ত পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধেই এই নোটিস জারি করা হবে। একথা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অথচ, অক্টোবরের শেষের দিকে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফিনানশিয়াল টাইমস্‌’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও ইউনুস তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান জানিয়ে বলেছিলেন, এখনই হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর কোনও ভাবনা নেই তাঁদের। তাহলে হঠাৎ সেই অবস্থানের পরিবর্তন কেন? এর পিছনে কী এক এবং একমাত্র কারণ ট্রাম্পের জয়? যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের কপালে।
তাহলে কি বড় কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে মহম্মদ ইউনুস প্রশাসন এবং বাংলাদেশ? বাংলাদেশের কিছু বিশ্লেষক বলার চেষ্টা করছেন, ট্রাম্প নির্বাচনের ঠিক ছ’দিন আগে যে কথাগুলি বলেছিলেন, সেটা আমেরিকার প্রায় ২৬ লক্ষ হিন্দু ভোটারকে আকৃষ্ট করার কৌশল মাত্র। আবার অনেকে বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্যটি আমেরিকার হিন্দু ফেডারেশনের তৈরি খসড়া। তারাই এই বিষয়ে ট্রাম্পকে দিয়ে বলিয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাঁকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে। এই প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডোমোক্র্যাট দল পাল্টে ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো প্রাক্তন কংগ্রেসওম্যান তুলসি গ্যাবার্ডের নামও বাতাসে ভাসিয়ে দিয়েছেন। যিনি ডানপন্থী কট্টর হিন্দুবাদী হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ নিয়ে এখন এহসান জুয়েলদের মতো যে প্রবাসী সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামি লিগের ঘনিষ্ঠতা ঐতিহাসিক। তাই মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে উল্লাস দেখা গিয়েছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির বোধ হয় খুব একটা জমবে না। কিন্তু আওয়ামি লিগের ব্যাপারে ভারতের বিদেশনীতি একচুলও নড়েনি। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে কংগ্রেসের চেয়ে মোদি সরকার শেখ হাসিনার জন্য আরও বেশি ভূমিকা রেখেছেন এবং রাজনীতিতে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারতকে চটিয়ে বাংলাদেশে অনেক কিছু করতে চাইলেও করতে পারে না আমেরিকা। আবার বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত কঠোর অবস্থান নিতে চাইলেও সেটা আটকে আছে আমেরিকার মনোভাবের কারণে। সেখানে পরিবর্তন আসতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায়।
দেশ পুনর্গঠনের জন্য, আমেরিকার কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। পালা বদলের পর ঢাকায় এসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও উন্নয়নে সহায়তার পাশাপাশি, অতিরিক্ত ২০ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাইডেনের প্রশাসনের প্রতিনিধিদল। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় তিনি দু’দেশের সম্পর্কের বর্তমান কাঠামোকে সমর্থন করবেন বলে মনে করেন না আমেরিকার ইউলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প মনে করেন আমেরিকার এই মানবিক সহযোগিতা আসলে অর্থ অপচয়। গোটা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও তাঁর প্রশাসন সম্ভবত খুব একটা আগ্রহী হবে না। রোহিঙ্গাদের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের যে সাহায্য পায় বাংলাদেশ, তারও সিংহভাগ দেয় আমেরিকাই। ট্রাম্প সেই অর্থেও কাট-ছাঁট করতে পারেন। ফলে ট্রাম্পের বাংলাদেশ নীতি নিয়েও আশঙ্কা ও উদ্বেগের আবহ ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে। ঢাকার আশঙ্কা একটাই, নরেন্দ্র মোদি ৩.০ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২.০ যখন সমান্তরালে চলবে, তখন আমেরিকা-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারত 
ঢুকে পড়তেই পারে। সেই ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ইউনুস সরকারের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে, বিপদে পড়বে বাংলাদেশই। এক কথায় বাংলাদেশের পক্ষে আর ভারতকে অবজ্ঞা করা সম্ভব নয়। উল্টে বাংলাদেশের ভারত নির্ভরতা আরও বাড়বে। ফলে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ঢাকা!
দিল্লির পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি বা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি (পাকিস্তান ছাড়া) নিয়ে ট্রাম্প আগেও বিশেষ মাথা ঘামাননি, এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ট্রাম্পের অতীত ট্র্যাক রেকর্ড অন্তত তাই-ই বলছে! ভারতের কূটনীতিবিদদের মতে, ‘যতই বলা হোক আমেরিকায় ক্ষমতার পালাবদল হলেও সে দেশের বিদেশনীতির ক্ষেত্রে একটা ধারাবাহিকতা ও ‘বাইপার্টিজান’ ঐকমত্য থাকে, আমরা সবাই জানি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে সে কথাটা সত্যি নয়।’ 
ফলে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশ নিয়ে যে 
পরিমাণ ‘আগ্রহ’ ও ‘গরজ’ দেখিয়েছে, ট্রাম্প জমানায় তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাবে না। এর কারণটাও সহজ— ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে এরকম ‘হস্তক্ষেপে’র পিছনে অর্থ ঢালাকে অপচয় বলেই ধরা হয়!
সাংবাদিক ভিকি নানজাপ্পা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনই (৫ নভেম্বর) আরএসএসের মুখপাত্র ‘দ্য অর্গানাইজারে’ একটি নিবন্ধ লেখেন। যাতে স্পষ্ট পূর্বাভাস ছিল, হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে আসা মানে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের জন্য সব দিক থেকেই অত্যন্ত দুরূহ পরিস্থিতির জন্ম দেবে। তাঁর ভাষায়, সেটা হবে ‘আ ডেভিল অ্যান্ড দ্য ডিপ সি!’ ভিকি লিখেছেন, বাংলাদেশকে হয়তো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলেও পড়তে হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, ট্রাম্প জমানায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহাল তবিয়তে নিজের দেশে ফিরেও যেতে পারেন। এর কোনও কিছুই বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অজানা নয়।
তবে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে আওয়ামি লিগের হাল ধরতে হলে, খুব জটিল ‘জিগস পাজলে’র অনেক টুকরোকে খাপে খাপে মিলতে হবে। 
ট্রাম্পের জয় হয়তো এই পাজলের বড়জোর একটা কোনাকে মেলাতে পারে। কিন্তু পুরো হেঁয়ালির সমাধান এখনও দূর-অস্ত।
আসলে সবটাই নির্ভর করছে ট্রাম্প-মোদির সম্পর্কের রসায়নে!
14th  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
একনজরে
ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের আগে চর্চায় পারথের বাইশ গজ। পিচে ঘাস ও বাউন্স, দুই থাকবে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পিচ ...

হুগলি নদীর পাড়ে অবস্থিত একাধিক ফেরিঘাট আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। এবার দামোদর ও রূপনারায়ণের তীরে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিল ওই দপ্তর। ...

রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিকের অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগে পাঁচটি পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাকদহের দিয়া হালদার। সল্টলেক সাঁইয়ের মাঠে গত রবিবার শেষ হয়েছে ৬৮তম রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতা। সেখানেই দুটি সোনা, দুটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জের পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দিয়া ...

শীতকালে শুকিয়ে গিয়েছে নদী। অজয়, দামোদর নদীজুড়ে শুধুই বালির চড়া। সেই বালি লুট করতে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা। নদীগর্ভ থেকে কোনওভাবেই মেশিন দিয়ে বালি তোলা যায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৮ টাকা ৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৭ টাকা ১০৯.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৮২ টাকা ৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
20th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নতুন করে আরও ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলাকে যুক্ত করা হল, ডিসেম্বর মাস থেকে মিলবে টাকা

06:37:39 PM

বারাসতের রথতলায় আগুন, অকুস্থলে দমকল
বারাসতের রথতলা এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক্স বিপনির পিছনে পড়ে থাকা বাতিল ...বিশদ

06:35:00 PM

রাজ্য সরকার ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ লক্ষ মানুষকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেবে

05:48:00 PM

তিন বছর বাংলাকে কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা দেয়নি, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

05:45:00 PM

আগামী ডিসেম্বর থেকে আরও ১৯ হাজারের বেশি বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষকে মানবিক ভাতা দেওয়া হবে

05:40:00 PM

আরও ৪৩ হাজার ৯০০ জন স্বামীহারা মহিলার নাম বিধবা ভাতার আওতায় আনা হচ্ছে

05:39:00 PM