Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন। সদস্য হওয়া যেখানে এতটাই সহজ সেখানে বাঁধন দুর্বল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। দলের সঙ্গে সদস্যদের আন্তরিক সম্পর্কও তেমন তৈরি হবে না। সেই কারণে অনেকে ভোট পেলেও বুথে বসার এজেন্ট জোগাড় করতে বিজেপির কালঘাম ছুটে যায়। কথায় আছে, ভাড়াটে সেনা দিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না। সেখানে মিসড কল দিয়ে ‘যোদ্ধা’ জোগাড় করলে ছাব্বিশেও বাংলাকে মিস করবে বিজেপি। কারণ কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না।
বছর খানেক পরই এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৫ সালে কয়েকটি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। সেই পুরভোটের ফল যাই হোক না কেন, বিরোধীরা তাকে জনমতের প্রতিফলন বলে মানতে চাইবে না। কারণ পুরসভার নির্বাচন রাজ্যের পুলিস এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে। পুরভোটের ফল নিয়ে বিরোধীরা কী প্রতিক্রিয়া দেবে, তা এখনই বলে দেওয়া যায়। 
জগৎ পরিবর্তনশীল হলেও এ রাজ্যের বিরোধীদের নির্বাচনী প্রতিক্রিয়ার কোনও পরিবর্তন হয় না। ভোটের আগে বিরোধীরা বলে, ‘মানুষ জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। ভোট দিতে পারলে আমাদের জয় নিশ্চিত।’ আর ভোট মিটলেই বলে, ‘নির্বাচনের নামে যা হয়েছে তা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।’ কেউ কেউ একপা বাড়িয়ে বলেন, ‘জরুরি অবস্থা জারি না করলে এ রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট অসম্ভব।’ কারণ বিজেপি বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর ক্ষমতা তাদের নেই। তাই উপ নির্বাচনে ‘প্রহসন’ হয়েছে একথা বলে ২৩ নভেম্বরের ফলাফল নিয়ে আগাম সাফাই দিয়ে রাখছে বিরোধীরা। 
তবে, এই উপ নির্বাচনে বিরোধীদের ফের একবার শক্তির পরীক্ষা হবে। উপ নির্বাচন হয়েছে নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হত্তাকর্তা অমিত শাহ। বাংলার ক্ষমতা দখল তাঁর পাখির চোখ। তাই নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের উপর ছিল কড়া নজর। পাঠানো হয়েছিল পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁর উদ্দেশ্য সফল। কারণ ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ।
বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখাটা বিজেপির বিশেষ পরিকল্পনার অঙ্গ। বঙ্গে তারা প্রধান বিরোধী দল। তবে সেটা সংগঠনের জোরে হয়নি, হয়েছে বামেদের কৃপায়। ২০১৯ সাল থেকে তারা এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি। কিন্তু এখনও রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় সংগঠন তৈরি করতে পারেনি। তৃণমূলের নেগেটিভ ভোট এবং হতাশাগ্রস্ত বামেরাই বিজেপির শক্তি। তাই বিজেপি বাংলার মানুষের ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশের জায়গাটাকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছে। সেই উদ্দেশ্যেই প্রতিটি বুথের দরজায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা। তাতে বাইরে অশান্তি হলেও চটের ঘেরাটোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে।
এবারের উপ নির্বাচনে যে দু’একটি জায়গায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা বুথের বাইরে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠলেও বুথ আগলেছে দক্ষতার সঙ্গে। ফলে কোথাও বুথ দখল বা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠেনি। কোনও দল কমিশনের কাছে পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানায়নি। এমনকী, মেদিনীপুর আসনের বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া, ‘দিনের শেষে আমি খুশি।...জনগণ ইস্যুর উপর ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের কাছে গিয়েছি। এরপর যে রায় হবে তা মাথা পেতে মেনে নিতে হবে।’
জনাদেশ মেনে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করলে ভবিষ্যতের চলার পথ মসৃণ হয়। কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটতে চায় না বিজেপি। কারণ তারা একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে। মুখোমুখি লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এঁটে ওঠা সম্ভব নয়, এটা বুঝে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে মাঠে নামিয়েছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জেলে ভরেছে। তাতেও লাভ হয়নি। একুশের ভোটে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে টার্গেটের অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার আগেই। ভোটে হারার জ্বালা মেটাতে বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারছে। তিন বছর ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। আটকে দিয়েছে আবাস যোজনার টাকা। তাতে কেন্দ্রের তহবিল হয়তো ফুলেফেঁপে উঠছে, কিন্তু বাংলার মানুষ দিনদিন ক্ষিপ্ত হচ্ছে। তারই প্রতিফলন ঘটছে ইভিএমে।
চমকে ধমকে, নির্বাচনের আগে দলিতের বাড়িতে ভাত খেয়ে অন্য রাজ্যের ভোটে সাফল্য পাওয়া যায়, কিন্তু বাংলায় সেটা অসম্ভব। কেউ ভুল করলে বাংলা যেমন প্রতিবাদে গর্জে ওঠে, তেমনই আপদে বিপদে পাশে থাকলে তাকে ‘বন্ধু’ ভাবে। হাজার প্ররোচনাতেও সেই সম্পর্ক নষ্ট করা যায় না। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রভাব কতটা পড়েছে, সেটা ভোটের ফলে প্রমাণ হবে। তবে, বিরোধীরা আর জি করের জের ছাব্বিশের নির্বাচন পর্যন্ত টানতে চাইছে। তারজন্যই উপ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলছে। ভোটের ফলকে ‘মানুষের রায়’ হিসেবে মানলে ছাব্বিশের নির্বাচনে কর্মীদের মাঠে নামাতে পারবে না।
আসন সংখ্যার নিরিখে রাজ্যে বামেরা শূন্য। তা সত্ত্বেও উপ নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি এবং নড়াচড়া ভালোই লক্ষ করা গিয়েছে। ছ’টি আসনের মধ্যে একমাত্র তালডাংরায় সিপিএমের প্রার্থী ছিল। এই কেন্দ্রে এজেন্ট বসানোর ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়েছে বামেরা। ২৬৪টি বুথের মধ্যে মাত্র ২২টিতে এজেন্ট দিতে পারেনি তারা। বিজেপি দিতে পারেনি পাঁচটি বুথে। অর্থাৎ অধিকাংশ বুথেই বিরোধীদের এজেন্ট ছিল। বুথের পাহারায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও বুথ দখলের অভিযোগ ওঠেনি। তারপরেও ভোট কেন ‘প্রহসন’ হবে?
এবারের উপ নির্বাচনে মাদারিহাট বাদ দিলে আর কোথাও বিজেপির উজ্জ্বল উপস্থিতি নজরে আসেনি। ভোটের দিন মনোজ টিগ্গা সেভাবে ঘুরতে না পারায় কার্যত প্রাণহীন ছিল বিজেপির বুথ। মাদারিহাট বাদে প্রায় সর্বত্র বামেদের অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে। তবে, তারা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির কাজে খেটেছে, নাকি বিজেপির সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে, সেটা বোঝা যাবে ইভিএম খোলার পর। যদিও এখানে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, শূন্যে পৌঁছে যাওয়া বামেরা যেখানে অনায়াসেই অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারল, সেখানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের কালঘাম ছুটল কেন?
বিজেপি এবং সিপিএম দু’টিই রেজিমেন্টেড পার্টি। তবে সদস্যপদ দেওয়ার পদ্ধতিতে ফারাক বিস্তর। মোবাইলের মিসড কল দিলেই বিজেপির সদস্য হওয়া যায়। কিন্তু সিপিএমের সদস্য হতে গেলে রীতিমতো পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এগতে হয়। প্রথমে শাখা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে অর্জন করতে হয় এজি মেম্বার। তারপর সিএম। সবশেষে হওয়া যায় পার্টির সদস্য(পিএম)। সব মিলিয়ে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত বছর। পার্টির প্রতিটি কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করলে জোটে সদস্যপদ। এর ফলে পার্টির সঙ্গে সদস্যর একটা আন্তরিক যোগ তৈরি হয়। সেইজন্যই বামেদের মিটিং, মিছিলে ভিড় হয় অনেক বেশি। 
দক্ষিণপন্থী দলগুলি এসবের ধার ধারে না। বিশেষ করে বিজেপি একেবারেই একটি ভোটকেন্দ্রিক দলে পরিণত হয়েছে। তাদের যাবতীয় কর্মসূচি হয় ভোটের মুখে। সংগঠক তৈরি করতে পারে না। তাই বিরোধীদের দখলে থাকা প্রায় সব রাজ্যেই শাসক দলের নেতাকে ভাঙিয়ে কুর্সি দখলের চেষ্টা করে। মহারাষ্ট্র, বিহার প্রভৃতি রাজ্যে তাদের সেই গেমপ্ল্যান সফল হয়েছে। কিন্তু বাংলায় তা হয়নি। কারণ বাংলায় লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই শক্ত করতে হয় রাজনৈতিক মাটি। কিন্তু বিজেপি সে রাস্তায় হাঁটতে চাইছে না।
বিজেপি মাছ ধরতে চাইছে। কিন্তু জাল টানার পরিশ্রমটুকুও করতে নারাজ। তাই তারা ঘুনিজাল পেতে রাখছে। সেই খাবারের লোভে বা তাড়া খেয়ে জালে যারা ঢুকছে, সেটাই বিজেপির প্রাপ্তি। তাই পুকুরে মাছ থাকলেও ঘুনিজালে কতটা পড়েছে, সেটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু সামনে আছে অতীতের ট্র্যাক রেকর্ড। সেই স্ক্রিনে চোখ রেখে বিজেপি বুঝতে পারছে, কী পরিণতি অপেক্ষা করছে। তাই কি ‘প্রহসনে’র গাওনা!
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
একনজরে
ব্রম্পটনের হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানিদের হামলা ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি। সে সময় হিন্দু ভক্তদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল কানাডার পুলিসের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ...

মা-বোনেরা যাতে আর্থিক দিক থেকে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে সমবায় সংস্থাগুলি। শুক্রবার উলুবেড়িয়া বাজারপাড়ায় ৭১ তম নিখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ ...

সমিতির মাধ্যমে মহিলাদের গচ্ছিত অর্থ আত্মসাৎ করে পালাল দুই যুবক। অভিযোগ, ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে দু’জন এলাকা থেকে পালিয়েছে। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বালুরঘাটের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ...

আসুনসিওন: বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বড়সড় অঘটন। শুক্রবার (ভারতীয় সময় ভোরে) ঘরের মাঠে আর্জেন্তিনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমক দিল প্যারাগুয়ে। ধারেভারে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস
জাতীয় প্রেস দিবস
১৮১২- ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা জন ওয়ালটারের মৃত্যু
১৮৯০- অবিভক্ত ভারতে প্রথম সিরাম ভ্যাকসিন ও পেনিসিলিন প্রস্তুতকারক বিশিষ্ট ভেষজ বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক হেমেন্দ্রনাথ ঘোষের জন্ম
১৯৩০- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাঁতারু যিনি প্রথম ভারতীয় হিসাবে ১৯৫৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন, সেই মিহির সেনের জন্ম
১৯৪৬- বিশ্বে প্রথমবারের মত কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করা হয়
১৯৬৩- ঝাড়খণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী মীনাক্ষি শেষাদ্রি
১৯৭১- পাকিস্তানের ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিসের জন্ম
১৯৮৮- এক দশকেরও বেশি সময় পর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হল অবাধ নির্বাচন, সেই নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন বেনজির ভুট্টো



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৮ টাকা ৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৭ টাকা ১০৯.০১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৪ টাকা ৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
15th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪। প্রতিপদ ৪৪/৫২ রাত্রি ১১/৫১। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৩৩/৫৫ রাত্রি ৭/২৮। সূর্যোদয় ৫/৫৩/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৮/৫৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৭/২১ গতে ৯/৩২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৪ গতে ৩/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/১৭ গতে উদয়াবধি। 
৩০ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪। প্রতিপদ রাত্রি ১/৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/১৪। সূর্যোদয় ৫/৫৫, সূর্যাস্ত ৪/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৭ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে ও ৪/১৭ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। 
১৩ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাড়ির চিলেকোঠায় উদ্ধার উত্তর বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দেহ
বাড়ির চিলেকোঠায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল উত্তর বারাকপুর পুরসভার ভাইস ...বিশদ

04:45:00 PM

তাজমহলের বাইরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বিদেশি পর্যটকের

04:34:00 PM

মাত্রাতিরক্ত দূষণের জেরে হরিয়ানায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ

04:25:00 PM

ঝাড়খণ্ডের সিমডেগাতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে

04:22:00 PM

বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক শুরু হল, হাজির অনুব্রত
অপেক্ষার অবসান। আজ, শনিবার দুপুরে বহু প্রতীক্ষিত বীরভূম জেলার তৃণমূলের ...বিশদ

04:13:00 PM

শিরোমণি অকালি দলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুখবীর সিং বাদল

04:05:04 PM