সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাতির হানায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব। বুধবার রাতে বাগডোগরার কেষ্টপুরে হাতির হানায় মৃত্যু হয় অজয় ওরাঁও এবং তাঁর ভাই সঞ্জয় ওরাওঁয়ের। তাঁরা নকশালবাড়ির হাতিঘিসার মৌরিজোতের বাসিন্দা ছিলেন। শুক্রবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান মেয়র। দুই পরিবারকে এক মাসের খাবার সামগ্রী দেন। সরকারি ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন। তাঁদের সামনে পেয়ে গ্রামীণ এলাকায় হাতির দৌরাত্ম্য রোধ, পথবাতি, রাস্তা, রক্তি নদীর সেতু মেরামতের দাবি জানান গ্রামবাসীরা। দুই জনপ্রতিনিধির আশ্বাসে গ্রামবাসী আস্থা রাখছেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কেষ্টপুর সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়েতে বাইক নিয়ে হাতির সামনে পড়ে যান অজয় ও সঞ্জয় ওরাঁও। এতেই ঘটে বিপত্তি। এদিন মেয়রকে কাছে পেয়ে সঞ্জয়ের স্ত্রী সীমা তিন মেয়ের পড়াশোনা নিয়মিত রাখার জন্য আর্জি জানান। ঘরে উপার্জনকারী ছিলেন স্বামী সঞ্জয়। তাঁর অবর্তমানে বাড়ির পাশে হাতি এলে কে তাড়াতে যাবে। তা নিয়ে ভাবাচ্ছে তাঁদের।
সব শুনে মেয়র গৌতম দেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে দুই পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী সহ আমরা পাশে রয়েছি। পদ্ধতি অনুসরণ করে তাঁদের সরকারি সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। এদিকে এদিন বিকেলে দুই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। পরিবার দুটিকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধায়ক।