অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া একটি তথ্যে লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। দেখা যায়, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সবচেয়ে বেশি চাঁদা দিয়েছে একটি লটারি সংস্থা। চেন্নাইয়ে ওই লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে পিএমএল অ্যাক্টে মামলা রুজু করে ইডি। তারা তদন্তে নেমে দেখে, অবিক্রীত টিকিট বলে যা দেখানো হয়েছে, তা ঘুরপথে বিপুল টাকায় বিক্রি করেছে ওই লটারি কোম্পানি। এই কাঁচা টাকাই হাওলা করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তদন্তে উঠে আসে, যা লটারির টিকিট ছাপানো হতো তার সবটাই বাজারে আনা হতো না। নির্দিষ্ট কিছু টিকিট গোডাউনে রাখা থাকত। ওইসব টিকিটের নম্বর থেকেই উঠত ‘পুরস্কার’। প্রভাবশালীরা লটারি সংস্থার লোকজনের সঙ্গে যোগযোগ করতেন। মোটা টাকা দিয়ে ওই টিকিট তাঁরা কিনতেন। সেখান থেকে পুরস্কার জিতে কালো টাকা সাদা করতেন ওই প্রভাবশালীরা। নগদ হিসেবে লটারি সংস্থায় আসা কোটি কোটি টাকা গচ্ছিত থাকত।
এরপরই বৃহস্পতিবার কলকাতার দুটি জায়গায় এবং চেন্নাতেই একযোগে তল্লাশি শুরু হয়। তদন্তকারীদের কাছে খবর ছিল, এখানে নগদ টাকা রাখা রয়েছে। লেক মার্কেট এলাকায় তল্লাশি চালাতেই সেখানে বিশেষভাবে তৈরি করা আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হতে থাকে পাঁচশো টাকার নোটের বান্ডিল। টাকা গুনতে আনা হয় মেশিন। সূত্রের খবর, ওই বাড়ি থেকে তিন কোটি টাকা মিলেছে! এছাড়া উদ্ধার হয়েছে মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস।
চেন্নাইতে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে ১০ কোটির বেশি টাকা। এই টাকার পুরোটাই অবৈধভাবে টিকিট বিক্রি করে আসা বলে দাবি এজেন্সির। ইডি জেনেছে, যাঁরা এই এই টিকিট কিনতেন তাঁরা লটারি সংস্থার মালিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আগে থেকেই ঠিক হয়ে যেত কোন সিরিজের টিকিটে পুরস্কার উঠবে। ওই সিরিজকে বাইরে বিক্রি না করে রাখা থাকত গোডাউনে এবং সেগুলি অবিক্রীত বলে জানাত সংস্থা। কোটি টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের হাতে টিকিট তুলে দেওয়া হতো। এইভাবে তাঁদের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেয় এই লটারি কোম্পানি। আর সংস্থা তাদের নগদ হাওলা করে বিভিন্ন দেশে পাচার করে বলে অভিযোগ। কারা এই টিকিট কিনেছেন, লটারি সংস্থার মালিককে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করবে ইডি। তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া নগদ। -নিজস্ব চিত্র