Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। এটি আমাদের ব্যাঙ্কব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র এবং তথ্যাদি আদান-প্রদানের ক্ষেত্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। এর ফলে আমাদের স্বাধীনতা আমরা অন্য একটি জাতির কাছে খোয়াইনি; আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম এমন একটি একচেটিয়া বাণিজ্যিক সংস্থার (মনোপলিস্টিক কর্পোরেশন) কাছে যেটি আমাদের সমগ্র ব্যবস্থাকে কব্জা করে নিয়েছিল।
কোম্পানি বাণিজ্যের শর্তাবলি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করত যে তার ফলে প্রতিযোগিতার ব্যাপারটাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। কে, কার কাছে এবং কী বেচবে—সেটা তারাই ঠিক করে দিত। তাদের এই নয়া ব্যবস্থার সরাসরি বলি হল আমাদের বস্ত্রবয়ন শিল্প এবং উৎপাদন ব্যবস্থা। এই কোম্পানি নিজস্ব কোনও পণ্য উদ্ভাবন করেছে কিংবা বাজার বা বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে তার কোনও অবদান রেখেছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। আমি যা জানি তা হল, তারা একটি অঞ্চলে আফিম চাষের একচেটিয়া অধিকার ফলাত এবং অন্য অঞ্চলে আফিম আসক্তদের সামনে হয়ে উঠেছিল একমাত্র সাপ্লায়ার। তবুও, ভারতকে লুট করার সময় কোম্পানিটি ইংরেজ মুলুকে (যুক্তরাজ্যে) একটি ‘মডেল কর্পোরেট সিটিজেন’ হিসেবে সমাদৃত ছিল। সেটাই ছিল কোম্পানির বিদেশি শেয়ার গ্রহীতাদের পছন্দ।
মূল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেড়শো বছরেরও আগে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারা তখন যে ভীতির নগ্নতা কায়েম করেছিল সেটি ফিরে এসেছে। তাদের শূন্যস্থান দখল করেছে একচেটিয়া পুঁজিপতিদের একটি নতুন প্রজাতি। তারা প্রচুর সম্পদ কুক্ষিগত করেছে। তার ফলে ভারতজুড়ে অনেকখানি বেড়েছে অসাম্য এবং অন্যায়। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলি আর আমাদের জনগণের নেই, তারা কেবল একচেটিয়া কারবারিদের হুকুম তামিল করছে। তাদেরই উৎপাতে লক্ষ লক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এই চক্রে পড়ে ভারত তার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে অপারগ। ভারতমাতা তার সকল সন্তানের মা। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য তার সম্পদ এবং ক্ষমতার এই যে খোলাখুলি ও নির্লজ্জ একচেটিয়াকরণ ঘটেছে, তাতে অনেকের অধিকার নস্যাৎ হয়েছে। এই ঘটনা আহত করেছে আমাদের ভারতমাতাকেই।
আমি জানি যে, ভারতের শত শত উজ্জ্বল এবং উদ্যমী নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী এই একচেটিয়া কারবারিদের নিয়ে ভীত। আপনি কি তাঁদেরই অন্যতম? আপনি কি ফোনে কথা বলতে ভয় পান? একচেটিয়া কারবারিরা রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র সাপেক্ষে আপনার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করে আপনাকে পিষে ফেলতে পারে, আপনি কি এমন কোনও ভয় পাচ্ছেন? আয়কর, সিবিআই কিংবা ইডি হানার ভয়ে কি আপনার প্রিয় ব্যবসাপত্তর তাদের কাছে বেচে দিতে বাধ্য হওয়ার ভয় পাচ্ছেন আপনি? যখন আপনার মূলধনের ভীষণ প্রয়োজন তখন কি আপনি তাদেরই ভয়ে তীব্র অর্থসংকটে পড়েন? আপনাকে বাগে আনতে, খেলার নিয়ম মাঝপথে ওদের তরফে আচমকা পাল্টে ফেলার আতঙ্ক গ্রাস করে কি?
আপনি জানবেন, এই স্বৈরতান্ত্রিক নীতিহীন গোষ্ঠীগুলিকে বণিক-ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক করে দেখাটা সমীচীন নয়। আপনি যখন তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত বলে ভাবছেন, আসলে তখন আপনি কোনও একটি কোম্পানির সঙ্গে লড়ছেন না, আপনার লড়াইটা চলছে ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে। তাদের মূল যোগ্যতা—পণ্য, উপভোক্তা বা আইডিয়া নয়, বরং যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান তামাম ভারতকে শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করার এবং তাদের উপর নজরদারি চালাবার ক্ষমতা ধরে এরা। এই বাণিজ্যিক গোষ্ঠীগুলিই ঠিক করে দেয় আপনার মতো ভারতীয়রা কী পড়বেন এবং দেখবেন। ভারতীয়রা কীভাবে চিন্তা করবেন এবং কথা বলবেন, সেখানেও প্রভাব বিস্তার করে তারা। বাজারের শক্তিতে সাফল্য আসে না আজ, সেটি মেলে শক্তিমানের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে।
আপনাদের অন্তরে ভয় আছে, একইসঙ্গে আছে আশাও। ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ করার মতো ক্ষমতাধর একচেটিয়া গোষ্ঠীগুলির বিপরীতে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ দারুণ ভালো ও সৎ অসংখ্য ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থা রয়েছে। সব জেনেও কিন্তু আপনি নীরব! একটি অত্যাচারী ব্যবস্থায় মধ্যেই আপনি মাথা তুলে থাকতে চাইছেন। পীযূষ বনসালের কথাই ধরুন। তাঁর কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। প্রথম প্রজন্মের এই উদ্যোগী একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ২২ বছর বয়সে। চশমার জগতে নতুন মাত্রা এনেছে লেন্সকার্ট নামক যে সংস্থাটি, ২০১০ সালে তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর চলার শুরু। সংস্থাটি আজ ভারতজুড়ে হাজার হাজার মানুষের চাকরি বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তারপরে আসা যাক ফকিরচাঁদ কোহলির কথায়। ১৯৭০-এর দশকে একজন ম্যানেজার হিসেবে তিনি টাটা কনসালটেন্সি তৈরি করেন। এটি ছিল ভয়কে পিছনে ফলে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জয়—আইবিএম এবং একসেঞ্চারের মতো জায়ান্টদের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার হিম্মত। আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তি পরিষেবা প্রদান সংস্থাগুলি সামান্য বুটিক প্রক্রিয়া থেকে একটি আস্ত শিল্পে উন্নীত হয়েছে—সেখানেই টিসিএস এবং অন্য অগ্রণী সংস্থাগুলি হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। পীযূষ বনসাল বা প্রয়াত এফ সি কোহলিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তাঁদের রাজনৈতিক পছন্দ আমার থেকে ভিন্ন হতেই পারে, তাতে কী? মনে হয় যে নবীন প্রজন্মের মধ্যে টাইনর, ইন-মোবি, মান্যবর, জোম্যাটো, ফ্র্যাকটাল অ্যানালিটিকস, আরাকু কফি, ট্রেডেন্স, আমাগি, আইডি ফুডস, ফোন-পে, মগলিক্স, সুলা ওয়াইনস, জাসপে, জিরোধা, ভেরিটাস, অক্সিজো, অ্যাভেনডাস এবং পুরনোদের মধ্যে এলঅ্যান্ডটি, হলদিরাম, অরবিন্দ আই হসপিটাল, ইন্ডিগো, এশিয়ান পেইন্টস, এইচডিএফসি গ্রুপ, বাজাজ অটো এবং বাজাজ ফিনান্স, সিপ্লা, মাহিন্দ্রা অটো, টাইটানের মতো কোম্পানিগুলি সম্পর্কে আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমন কিছুই জানি না। যেসব দেশীয় কোম্পানি নিজস্ব উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতার জোরে এবং নিয়ম মেনে ব্যবসা ও উন্নতি করেছে—এগুলি তারই ছোট নমুনা মাত্র। আমি নিশ্চিত যে এই সংক্রান্ত আরও ভালো সংস্থার অসংখ্য নাম বাদ পড়ে গিয়েছে। তবে সেটা ইচ্ছাকৃত নয়, কোন প্রসঙ্গে এই নমুনাগুলির উল্লেখ, পাঠক আশা করি তা বুঝেছেন।
দুর্বল ও রুদ্ধকণ্ঠ মানুষকে রক্ষা করাই আমার রাজনীতির সবসময়ের লক্ষ্য। লাইন বা পংক্তির অন্তিম প্রান্তে যে রুদ্ধকণ্ঠ মানুষটি অপেক্ষা করে আছেন, তাঁকে রক্ষা করার প্রেরণা আমি গান্ধীজির কথা থেকে পাই। এই প্রত্যয়ই—এমএনআরইজিএ (১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্প), খাদ্যের অধিকার এবং জমি অধিগ্রহণ বিল সমর্থনে আমাকে এগিয়ে দেয়। নিয়ামগিরির মারাত্মক সংঘর্ষে আদিবাসীদেরই পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমি। তিনটি কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগ্রামেও আমি সমর্থন দিয়েছি। মণিপুরের মানুষের দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণার কথাও শুনেছি আমি।
আজ, এই লেখা লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছি যে, গান্ধীজির কথার সম্পূর্ণ গভীরতা আমি ছুঁতে পারিনি। ‘লাইন’ বা ‘পংক্তি’ যে রূপক অর্থে ব্যবহৃত একটি শব্দ, তা অনুধাবনে আমি ব্যর্থ হয়েছি—আসলে এখানে অনেকগুলি ভিন্ন লাইন রয়েছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনি যে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, সেখানে আপনিই শোষিত এবং সুবিধা-বঞ্চিত। আর তাই, আমার রাজনীতির লক্ষ্য থাকবে—আপনাকে ন্যায্য প্রাপ্য ফেরানো এবং সবার জন্য সমান নিয়ম চালু করা।
অন্যদের পয়সায় বা যাবতীয় খরচে একটিমাত্র ব্যবসাকে সহায়তা-সমর্থন জোগানোর অনুমতি সরকারকে দেওয়া যায় না, এটা আসলে ব্যবসা জগতে বেনামি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা। সরকারি সংস্থাগুলি ব্যবসাকে আক্রমণ করা এবং সন্ত্রস্ত রাখার অস্ত্র নয়। তবে এও বলব না যে, ভয়টা আপনার থেকে বড় একচেটিয়াদের কাছে চালান করা উচিত। তারা কোনও দুষ্ট ব্যক্তি নয়, এসব কেবল আমাদেরই সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে লালিত গলদের ফলাফল। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আপনার মতো তাদেরও ন্যায্য স্পেস বা জায়গা পাওয়া উচিত।
এই দেশ আমাদের সবার। আমাদের ব্যাঙ্কগুলির উচিত, যাঁদের ‘দারুণ কানেকশন’ আছে এরকম শীর্ষ শ’খানেক খেলাপি ঋণগ্রহীতার প্রতি তাদের একপেশে মোহমুগ্ধতা কাটিয়ে ওঠা এবং যাঁরা নিয়মনীতি মেনে ব্যবসাপত্তর করেন ঋণপ্রদানের হাত তাঁদের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া। তবেই ব্যাঙ্কগুলি ন্যায্য মুনাফা অর্জনের রাস্তা ফিরে পাবে। পরিশেষে এটাই বলব যে, রাজনৈতিক আচরণ বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সামাজিক চাপ ও প্রতিরোধের শক্তিকে খাটো করে দেখা উচিত নয়। কোনও ‘মসিহা’র প্রয়োজন নেই। আপনার পরিবর্তনই সকলের জন্য সম্পদ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
আমি বিশ্বাস করি, প্রগতিশীল ভারতীয় ব্যবসার জন্য ‘নিউ ডিল’ আসলে একটি ‘আইডিয়া’—তারই সময় আজ উপস্থিত হয়েছে।
লেখক সাংসদ ও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত
06th  November, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনে মাতল গৌড়বঙ্গ। চার্চ থেকে বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল- ভিড় সর্বত্র। দিকে দিকে বসল পিকনিকের আসরও। ছুটির দিনে চলল হই ...

নতুন বছরে মারুতি সুজুকি কোম্পানির গাড়ির দাম বাড়ছে। শুক্রবার সংস্থা ঘোষণা করেছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত হারে দাম বাড়ছে সব মডেলের গাড়ির। ...

বাংলা হল মিলনক্ষেত্র। সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান। সমস্ত উৎসবে একসঙ্গে মাতোয়ারা, আবার সুখ-দুঃখ একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া—ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সম্প্রীতির চিরন্তন মেলবন্ধনকেই তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

মাদক বিরোধী অভিযানে সাফল্য অসম পুলিসের। শ্রীভূমি জেলার পুলিস হাতিখিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে দেড় লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হাসপাতালে মনমোহন সিং
গুরুতর অসুস্থ হয়ে দিল্লি এইমসের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হল ...বিশদ

10:23:06 PM

দিল্লি এইমসে পৌঁছলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:05:00 PM

হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরে ছুরিকাঘাত ছাত্রী, ভর্তি হাসপাতালে
আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরে টিউশন পড়ে ফেরার সময় ছুরিকাঘাতে ...বিশদ

09:38:00 PM

আগামী ৩০ ডিসেম্বর পাঞ্জাব বনধ, ঘোষণা কৃষকদের

09:34:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:33:00 PM

আইএসএল: পাঞ্জাব এফসি ১-মোহন বাগান ৩ (৭০ মিনিট)

08:59:00 PM