Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। এটি আমাদের ব্যাঙ্কব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র এবং তথ্যাদি আদান-প্রদানের ক্ষেত্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। এর ফলে আমাদের স্বাধীনতা আমরা অন্য একটি জাতির কাছে খোয়াইনি; আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম এমন একটি একচেটিয়া বাণিজ্যিক সংস্থার (মনোপলিস্টিক কর্পোরেশন) কাছে যেটি আমাদের সমগ্র ব্যবস্থাকে কব্জা করে নিয়েছিল।
কোম্পানি বাণিজ্যের শর্তাবলি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করত যে তার ফলে প্রতিযোগিতার ব্যাপারটাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। কে, কার কাছে এবং কী বেচবে—সেটা তারাই ঠিক করে দিত। তাদের এই নয়া ব্যবস্থার সরাসরি বলি হল আমাদের বস্ত্রবয়ন শিল্প এবং উৎপাদন ব্যবস্থা। এই কোম্পানি নিজস্ব কোনও পণ্য উদ্ভাবন করেছে কিংবা বাজার বা বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে তার কোনও অবদান রেখেছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। আমি যা জানি তা হল, তারা একটি অঞ্চলে আফিম চাষের একচেটিয়া অধিকার ফলাত এবং অন্য অঞ্চলে আফিম আসক্তদের সামনে হয়ে উঠেছিল একমাত্র সাপ্লায়ার। তবুও, ভারতকে লুট করার সময় কোম্পানিটি ইংরেজ মুলুকে (যুক্তরাজ্যে) একটি ‘মডেল কর্পোরেট সিটিজেন’ হিসেবে সমাদৃত ছিল। সেটাই ছিল কোম্পানির বিদেশি শেয়ার গ্রহীতাদের পছন্দ।
মূল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেড়শো বছরেরও আগে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারা তখন যে ভীতির নগ্নতা কায়েম করেছিল সেটি ফিরে এসেছে। তাদের শূন্যস্থান দখল করেছে একচেটিয়া পুঁজিপতিদের একটি নতুন প্রজাতি। তারা প্রচুর সম্পদ কুক্ষিগত করেছে। তার ফলে ভারতজুড়ে অনেকখানি বেড়েছে অসাম্য এবং অন্যায়। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলি আর আমাদের জনগণের নেই, তারা কেবল একচেটিয়া কারবারিদের হুকুম তামিল করছে। তাদেরই উৎপাতে লক্ষ লক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এই চক্রে পড়ে ভারত তার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে অপারগ। ভারতমাতা তার সকল সন্তানের মা। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য তার সম্পদ এবং ক্ষমতার এই যে খোলাখুলি ও নির্লজ্জ একচেটিয়াকরণ ঘটেছে, তাতে অনেকের অধিকার নস্যাৎ হয়েছে। এই ঘটনা আহত করেছে আমাদের ভারতমাতাকেই।
আমি জানি যে, ভারতের শত শত উজ্জ্বল এবং উদ্যমী নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী এই একচেটিয়া কারবারিদের নিয়ে ভীত। আপনি কি তাঁদেরই অন্যতম? আপনি কি ফোনে কথা বলতে ভয় পান? একচেটিয়া কারবারিরা রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র সাপেক্ষে আপনার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করে আপনাকে পিষে ফেলতে পারে, আপনি কি এমন কোনও ভয় পাচ্ছেন? আয়কর, সিবিআই কিংবা ইডি হানার ভয়ে কি আপনার প্রিয় ব্যবসাপত্তর তাদের কাছে বেচে দিতে বাধ্য হওয়ার ভয় পাচ্ছেন আপনি? যখন আপনার মূলধনের ভীষণ প্রয়োজন তখন কি আপনি তাদেরই ভয়ে তীব্র অর্থসংকটে পড়েন? আপনাকে বাগে আনতে, খেলার নিয়ম মাঝপথে ওদের তরফে আচমকা পাল্টে ফেলার আতঙ্ক গ্রাস করে কি?
আপনি জানবেন, এই স্বৈরতান্ত্রিক নীতিহীন গোষ্ঠীগুলিকে বণিক-ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক করে দেখাটা সমীচীন নয়। আপনি যখন তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত বলে ভাবছেন, আসলে তখন আপনি কোনও একটি কোম্পানির সঙ্গে লড়ছেন না, আপনার লড়াইটা চলছে ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে। তাদের মূল যোগ্যতা—পণ্য, উপভোক্তা বা আইডিয়া নয়, বরং যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান তামাম ভারতকে শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করার এবং তাদের উপর নজরদারি চালাবার ক্ষমতা ধরে এরা। এই বাণিজ্যিক গোষ্ঠীগুলিই ঠিক করে দেয় আপনার মতো ভারতীয়রা কী পড়বেন এবং দেখবেন। ভারতীয়রা কীভাবে চিন্তা করবেন এবং কথা বলবেন, সেখানেও প্রভাব বিস্তার করে তারা। বাজারের শক্তিতে সাফল্য আসে না আজ, সেটি মেলে শক্তিমানের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে।
আপনাদের অন্তরে ভয় আছে, একইসঙ্গে আছে আশাও। ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ করার মতো ক্ষমতাধর একচেটিয়া গোষ্ঠীগুলির বিপরীতে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ দারুণ ভালো ও সৎ অসংখ্য ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থা রয়েছে। সব জেনেও কিন্তু আপনি নীরব! একটি অত্যাচারী ব্যবস্থায় মধ্যেই আপনি মাথা তুলে থাকতে চাইছেন। পীযূষ বনসালের কথাই ধরুন। তাঁর কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। প্রথম প্রজন্মের এই উদ্যোগী একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ২২ বছর বয়সে। চশমার জগতে নতুন মাত্রা এনেছে লেন্সকার্ট নামক যে সংস্থাটি, ২০১০ সালে তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর চলার শুরু। সংস্থাটি আজ ভারতজুড়ে হাজার হাজার মানুষের চাকরি বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তারপরে আসা যাক ফকিরচাঁদ কোহলির কথায়। ১৯৭০-এর দশকে একজন ম্যানেজার হিসেবে তিনি টাটা কনসালটেন্সি তৈরি করেন। এটি ছিল ভয়কে পিছনে ফলে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জয়—আইবিএম এবং একসেঞ্চারের মতো জায়ান্টদের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার হিম্মত। আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তি পরিষেবা প্রদান সংস্থাগুলি সামান্য বুটিক প্রক্রিয়া থেকে একটি আস্ত শিল্পে উন্নীত হয়েছে—সেখানেই টিসিএস এবং অন্য অগ্রণী সংস্থাগুলি হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। পীযূষ বনসাল বা প্রয়াত এফ সি কোহলিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তাঁদের রাজনৈতিক পছন্দ আমার থেকে ভিন্ন হতেই পারে, তাতে কী? মনে হয় যে নবীন প্রজন্মের মধ্যে টাইনর, ইন-মোবি, মান্যবর, জোম্যাটো, ফ্র্যাকটাল অ্যানালিটিকস, আরাকু কফি, ট্রেডেন্স, আমাগি, আইডি ফুডস, ফোন-পে, মগলিক্স, সুলা ওয়াইনস, জাসপে, জিরোধা, ভেরিটাস, অক্সিজো, অ্যাভেনডাস এবং পুরনোদের মধ্যে এলঅ্যান্ডটি, হলদিরাম, অরবিন্দ আই হসপিটাল, ইন্ডিগো, এশিয়ান পেইন্টস, এইচডিএফসি গ্রুপ, বাজাজ অটো এবং বাজাজ ফিনান্স, সিপ্লা, মাহিন্দ্রা অটো, টাইটানের মতো কোম্পানিগুলি সম্পর্কে আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমন কিছুই জানি না। যেসব দেশীয় কোম্পানি নিজস্ব উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতার জোরে এবং নিয়ম মেনে ব্যবসা ও উন্নতি করেছে—এগুলি তারই ছোট নমুনা মাত্র। আমি নিশ্চিত যে এই সংক্রান্ত আরও ভালো সংস্থার অসংখ্য নাম বাদ পড়ে গিয়েছে। তবে সেটা ইচ্ছাকৃত নয়, কোন প্রসঙ্গে এই নমুনাগুলির উল্লেখ, পাঠক আশা করি তা বুঝেছেন।
দুর্বল ও রুদ্ধকণ্ঠ মানুষকে রক্ষা করাই আমার রাজনীতির সবসময়ের লক্ষ্য। লাইন বা পংক্তির অন্তিম প্রান্তে যে রুদ্ধকণ্ঠ মানুষটি অপেক্ষা করে আছেন, তাঁকে রক্ষা করার প্রেরণা আমি গান্ধীজির কথা থেকে পাই। এই প্রত্যয়ই—এমএনআরইজিএ (১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্প), খাদ্যের অধিকার এবং জমি অধিগ্রহণ বিল সমর্থনে আমাকে এগিয়ে দেয়। নিয়ামগিরির মারাত্মক সংঘর্ষে আদিবাসীদেরই পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমি। তিনটি কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগ্রামেও আমি সমর্থন দিয়েছি। মণিপুরের মানুষের দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণার কথাও শুনেছি আমি।
আজ, এই লেখা লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছি যে, গান্ধীজির কথার সম্পূর্ণ গভীরতা আমি ছুঁতে পারিনি। ‘লাইন’ বা ‘পংক্তি’ যে রূপক অর্থে ব্যবহৃত একটি শব্দ, তা অনুধাবনে আমি ব্যর্থ হয়েছি—আসলে এখানে অনেকগুলি ভিন্ন লাইন রয়েছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনি যে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, সেখানে আপনিই শোষিত এবং সুবিধা-বঞ্চিত। আর তাই, আমার রাজনীতির লক্ষ্য থাকবে—আপনাকে ন্যায্য প্রাপ্য ফেরানো এবং সবার জন্য সমান নিয়ম চালু করা।
অন্যদের পয়সায় বা যাবতীয় খরচে একটিমাত্র ব্যবসাকে সহায়তা-সমর্থন জোগানোর অনুমতি সরকারকে দেওয়া যায় না, এটা আসলে ব্যবসা জগতে বেনামি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা। সরকারি সংস্থাগুলি ব্যবসাকে আক্রমণ করা এবং সন্ত্রস্ত রাখার অস্ত্র নয়। তবে এও বলব না যে, ভয়টা আপনার থেকে বড় একচেটিয়াদের কাছে চালান করা উচিত। তারা কোনও দুষ্ট ব্যক্তি নয়, এসব কেবল আমাদেরই সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে লালিত গলদের ফলাফল। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আপনার মতো তাদেরও ন্যায্য স্পেস বা জায়গা পাওয়া উচিত।
এই দেশ আমাদের সবার। আমাদের ব্যাঙ্কগুলির উচিত, যাঁদের ‘দারুণ কানেকশন’ আছে এরকম শীর্ষ শ’খানেক খেলাপি ঋণগ্রহীতার প্রতি তাদের একপেশে মোহমুগ্ধতা কাটিয়ে ওঠা এবং যাঁরা নিয়মনীতি মেনে ব্যবসাপত্তর করেন ঋণপ্রদানের হাত তাঁদের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া। তবেই ব্যাঙ্কগুলি ন্যায্য মুনাফা অর্জনের রাস্তা ফিরে পাবে। পরিশেষে এটাই বলব যে, রাজনৈতিক আচরণ বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সামাজিক চাপ ও প্রতিরোধের শক্তিকে খাটো করে দেখা উচিত নয়। কোনও ‘মসিহা’র প্রয়োজন নেই। আপনার পরিবর্তনই সকলের জন্য সম্পদ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
আমি বিশ্বাস করি, প্রগতিশীল ভারতীয় ব্যবসার জন্য ‘নিউ ডিল’ আসলে একটি ‘আইডিয়া’—তারই সময় আজ উপস্থিত হয়েছে।
লেখক সাংসদ ও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত
06th  November, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
অশান্তি কমার নাম নেই। যদিও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বারবার দাবি করছে যে, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদেই রয়েছে। তবে তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। এবার পদ্মপারে বসবাসকারী ব্রিটেনের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল সেদেশের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস। ...

মাসকয়েক আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) তালিকায় দেশের প্রথম ২০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বাংলার কোনও মডার্ন মেডিসিনের মেডিক্যাল কলেজের নাম ছিল না। ...

শীতেও মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গুর চোখরাঙানি অব্যাহত। রাজ্যের মধ্যে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে এই জেলা। এখনও দৈনিক কুড়িজনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন করে ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। ...

ভারতীয় দলে তারকার ছড়াছড়ি। আর সেই কারণেই বিশেষ কোনও একজনকে নিয়ে ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া। বরং দুর্দান্ত প্রতিভাবান একটা দলকে হারানোর জন্যই রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজি অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ‘ওদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM