Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
এই যেমন রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক শাখায় পরিণত হওয়া ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (মাগা) আন্দোলন। এই বিভ্রান্তিকর আন্দোলনের লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে আমেরিকার রক্ষণশীল মিডিয়াগুলি। যার প্রবক্তা ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাঁর ক্ষমতায় ফিরে আসা মানে আমেরিকার জন্য বিপর্যয়। এটা জেনেও ভোট প্রচারের সময় প্রতিটা সমীক্ষায় ট্রাম্পের জনসমর্থন দেখিয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। ভোটের ফলাফলে তা আরও ছাপিয়ে গিয়েছে। চৌত্রিশটি ফৌজদারি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমেরিকানরা ট্রাম্পকে ছুড়ে ফেলে দেননি। বরং বাইডেনের যুদ্ধনীতির তীব্র বিরোধিতা করে দূরে ঠেলে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদেরই। আসলে আপনি মানুন বা না মানুন, আমেরিকানদের মোহগ্রস্ত করে নিজের দিকে টানার ক্ষমতা তৈরি করে ফেলেছে ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আন্দোলন। তাতে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর মতো শক্তিশালী মিডিয়াও চিড় ধরাতে পারেনি।
ভোট প্রচারে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের গায়ে ‘ফ্যাসিবাদী’ তকমা লাগিয়ে একের পর এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্বে থাকা চিফ অব স্টাফ জন কেলি তাদের সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তাঁর সাবেক বস (ট্রাম্প) মনে করেন, ‘হিটলার কিছু ভালো কাজও করেছেন। তিনি অ্যাডলফ হিটলারের মতো কয়েকজন জেনারেল চান।’ ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ আরও লিখেছে, খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ রবার্ট প্যাক্সটন একসময় ট্রাম্পের গায়ে ফ্যাসিবাদের তকমা লাগানোকে ফ্যাসিজমের অতিরঞ্জিত ব্যবহার বলে মনে করতেন। কিন্তু ‘ট্রাম্পিজম’-এর মুখোমুখি হয়ে তিনি তাঁর মত বদলে ফেলেছেন। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এই রকম একের পর এক নিবন্ধে পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্প ‘মূলত ফ্যাসিস্ট’। তিনি দৃশ্যতই আত্মসর্বস্ব এবং অন্তঃসারশূন্য একজন মানুষ। গণতন্ত্রের তোয়াক্কা করেন না। কথাবার্তা অসংলগ্ন এবং নানা বিদ্বেষে ভরপুর। তাতেও আমেরিকানদের কিছু যায় আসেনি। উল্টে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকেই তাঁরা সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প বলেই রেখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভোটে জিতলে পরের দিন থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার শুরু করব’! আর নিউ ইয়র্ক টাইমস ও এনবিসি টিভির নাম আলাদা করে চিহ্নিত করে বলেছেন, ‘দাঁড়াও, দেখতে থাকো তোমাদের কী অবস্থা করি।’
‘দ্য লিঙ্কন’ প্রজেক্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড গ্যালেন বলছেন, আমেরিকানরা প্রায় ৫০ বছর ধরে প্রয়াত রাশ লিম্বোর (প্রভাবশালী আমেরিকান রেডিও ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার, যিনি আমেরিকায় ডানপন্থী চিন্তাধারা প্রচার করতেন) ঘৃণামূলক কথাবার্তা শুনেছেন। এবং প্রায় ৩০ বছর ধরে ফক্স নিউজের একঘেয়ে মুখগুলিকে মিথ্যা ছড়াতে এবং বিভেদ উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। ফলে ট্রাম্পের উগ্র ও বিষাক্ত বক্তব্যে আজ আর আমেরিকান ভোটারদের মনে দাগ ফেলে না। বরং ট্রাম্পের উত্থানে প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিকান নেতারাই ছিটকে গিয়েছেন। ট্রাম্পের নেতৃত্বে ‘কনজারভেটিভ’ আন্দোলন তাদের সর্বনিকৃষ্ট প্রবৃত্তির প্রকাশ ঘটানোর প্ল্যাটফর্ম পেয়ে গিয়েছে। রক্ষণশীল মিডিয়ায় ট্রাম্প স্থায়ী মঞ্চ পেয়ে গিয়েছেন। তিনি শুধু একটি স্লোগানের মাধ্যমে স্বপ্ন বিক্রি করে গিয়েছেন— ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’! কী ভাবে? বাইরে থেকে জিনিসপত্রের আমদানিতে শুল্ক বসাও, যাতে দেশের শিল্পকে বাঁচানো যায়। অভিবাসন কমাও। মেক্সিকো থেকে বেআইনি অভিবাসন রুখতে প্রাচীর তোলো। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সাধারণ আমেরিকান কী স্বপ্ন দেখেন, তা আমি জানি। এবং সেই স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে, আমি তা-ও জানি’।
২০১৫ সালে ট্রাম্প যেদিন ট্রাম্প টাওয়ারের সেই ‘স্বর্ণালি’ এসকেলেটরে নেমে এসে নিজের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীপদের কথা ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন থেকে কনজারভেটিভ আন্দোলন ও মিডিয়ার গতিপথে একটি মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। ২০১৬ সালে মূলত আমেরিকার তথ্যজগৎকে কব্জা করার মাধ্যমে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছিলেন। রাজনীতির ময়দানে বিতর্ক আর ট্রাম্পকে যেন সমান্তরাল রেখায় এগিয়েছে। ঘৃণাভাষণ থেকে শুরু করে বিপক্ষের রাজনীতিকদের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য যতই অযৌক্তিক বা অদ্ভুত হোক না কেন, সেই বক্তব্যকে স্বাভাবিক বলে প্রচার করা হয়েছিল। এমনকী এসব বক্তব্যের ‘সত্যতা’র প্রশংসাও করা হয়েছিল। ট্রাম্প কনজারভেটিভ প্রচারমাধ্যমে প্রায় সীমাহীন সম্প্রচারের সময় পেয়েছিলেন। শুধু কনজারভেটিভ মিডিয়াই ট্রাম্পের দিকে জনসাধারণের দৃষ্টি স্থির রেখেছিল, তা নয়। ‘যদি হানাহানি হয়, তাহলে সেটিই প্রধান খবর’— নিউজ রিপোর্টিংয়ের এই মৌলিক নীতি অনুসরণ করে প্রথাগত মিডিয়াও ট্রাম্প ও তাঁর ‘মাগা’ আন্দোলনের জনপ্রিয়তা নিয়ে নিয়মিত খবর প্রকাশ করেছে। তৎকালীন সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলের চেয়ারম্যান লেস মুনভেস ২০১৬ সালে বলেছিলেন, ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ার ‘আমেরিকার জন্য ভালো নয়’, কিন্তু তাঁকে এয়ারটাইম দেওয়া ‘মিডিয়া কোম্পানির জন্য খুব লাভজনক’। ট্রাম্পের পক্ষে এইসব মিডিয়ার টানা প্রচার গেঁথে গিয়েছে অর্ধেক আমেরিকানদের মগজে। আর ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও ভোটারদের থেকে দূরে সরে গিয়েছে। এমনকী বাম-ঘেঁষা শ্রমজীবী, দরিদ্র, অশ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যেও পরিষ্কার ভাঙন ধরেছে।
প্রবীণ হোয়াইট হাউস পর্যবেক্ষক পিটার বেকার লিখেছেন, ট্রাম্পের ভাষণগুলি দিন দিন আরও অশালীন হয়ে উঠছে। ‘ট্রাম্প শুধু ২০২৪ সালেই চার অক্ষরের অশ্লীল শব্দ জনসমক্ষে উচ্চারণ করেছেন অন্তত ১ হাজার ৭৮৭ বার।’ তাঁর বিশ্লেষণ অনুসারে, ট্রাম্প ২০১৬ সালের চেয়ে ৬৯ শতাংশ বেশি এই ভাষা ব্যবহার করছেন। তিনি কমলা হ্যারিসকে ‘নোংরা ভাইস প্রেসিডেন্ট’ বলতেও ছাড়েননি। এই বিষয়ে সন্দেহ নেই যে, তিনি যা যা বলেছেন, তার অর্থ কী, তা তিনি ভালোভাবেই জানেন। আসলে ট্রাম্প জেনে গিয়েছেন, আমেরিকান সমাজ কোন ভাষায় কথা বোঝে!
দ্বিতীয় যাত্রার ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্য একটি দীর্ঘ ও বিস্তারিত ‘প্লে বুক’ বা নীলনকশা তৈরি করেছে রক্ষণশীল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এর নাম ‘প্রজেক্ট ২০২৫’। যার মূল কথা, ট্রাম্প কড়া শুল্ক চাপিয়ে আমদানি-রফতানির বারোটা বাজাবেন, বিদেশিদের দেশছাড়া করবেন, আমেরিকাকে করে তুলবেন অন্তর্মুখী। ট্রাম্প মনে করেন, পরিবেশের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার তত্ত্ব একটা ভাঁওতা। ট্রাম্প চান, আমেরিকা জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির ভেক ছেড়ে ফিরে যাক উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতিতে। সেখানে ডিগ্রিধারীদের সিলিকন ভ্যালি নয়, মধ্য পশ্চিমের ধসে-পড়া শিল্পাঞ্চল আবার রমরম করে উঠুক। একসময় পেনসিলভেনিয়া, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের আপস্টেট নিউ ইয়র্ক অঞ্চল, ওহায়ো, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, মিশিগান অঞ্চলগুলির চালিকাশক্তি ছিল ইস্পাত আর গাড়ি তৈরির শিল্প। সেই জন্যই এই প্রদেশগুলির নামকরণ হয়েছিল ইস্পাত-বেল্ট। গত শতকের আশির দশকের গোড়ায় অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে আমেরিকার ইস্পাত শিল্প বড় ধাক্কা খায়। অনেক ইস্পাত সংস্থা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। ইস্পাতের এই পতন মূলত জাপান থেকে সস্তায় ইস্পাত আমদানির কারণে। জাপানে শ্রমের খরচ আমেরিকা থেকে কম। ইস্পাত-বেল্ট হয়ে ওঠে মরচে-বেল্ট। প্রচুর মানুষ চাকরি হারান। যাঁরা কর্মচ্যুত হন, তাঁরা মূলত শ্রমিক শ্রেণি। নব্বইয়ের দশকে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের হাত ধরে আমেরিকা ফের ঘুরে দাঁড়ালেও অবস্থা বদলায়নি ইস্পাত-বেল্টের মানুষের। অধিকাংশ মানুষ তাঁদের কর্মহীনতার জন্য অভিবাসীদের দোষ দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মানুষদের কাছেই ‘গড’। বিদেশিদের শায়েস্তা করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে— এমন আকাশকুসুম ধারণা ট্রাম্প সমর্থকদের মনে বদ্ধমূল। একইসঙ্গে ট্রাম্পের সমর্থনের পিছনে রয়েছে অশিক্ষা, বর্ণবিদ্বেষ, জাত্যভিমান, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবও।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এসে তিনি প্রথম শিক্ষা দপ্তর বাতিল করবেন। আমেরিকার দক্ষিণপন্থী ও খ্রিস্টবাদীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, এ দেশে ক্লাসরুমে যা শিক্ষা দেওয়া হয় বা যা পড়ানো হয়, তা দেশের মূল্যবোধবিরোধী। আসলে তারা মূল্যবোধ বলতে খ্রিস্টধর্মের কথাই বুঝিয়ে থাকে। এদের চাপের মুখে হাজার হাজার বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পাবলিক লাইব্রেরি থেকে সেসব বই ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসা মানে এই খ্রিস্টবাদীদের পোয়াবারো।
ভাবুন একবার, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। একের পর এক মামলাও ঠুকেছিলেন। ট্রাম্পের এই অনমনীয় মনোভাবের পরেই ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে অবস্থিত আমেরিকার আইনসভায় হামলা চালান হাজার হাজার উগ্র ট্রাম্প সমর্থক। তার জন্য কোনও অনুশোচনা নয়, উল্টে ভোটপ্রচারে বলেছেন, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলেও তাঁর সেদিন হাউস ছাড়া উচিত হয়নি! এহেন ট্রাম্পই ফের মার্কিন মসনদে। এই দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো দেশের নাগরিকরাই তাঁকে ফিরিয়ে এনেছেন রাজার বেশে!
বিখ্যাত ঐতিহাসিক টিমোথি স্নাইডার মনে করিয়ে দিয়েছেন, একধাক্কায় গণতন্ত্রের মৃত্যু হয় না। এর জন্য প্রয়োজন হাজারো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঘাত ও রক্তক্ষরণ। ভয়ের কথা, ট্রাম্প জমানার আরও চার বছরে এই প্রতিটি আঘাত আরও গভীর হবে।
07th  November, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
শীতেও মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গুর চোখরাঙানি অব্যাহত। রাজ্যের মধ্যে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে এই জেলা। এখনও দৈনিক কুড়িজনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন করে ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। ...

অশান্তি কমার নাম নেই। যদিও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বারবার দাবি করছে যে, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদেই রয়েছে। তবে তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। এবার পদ্মপারে বসবাসকারী ব্রিটেনের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল সেদেশের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস। ...

বিদেশে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সাইবার প্রতারণা। কম্পিউটার হ্যাক করে বদলে দেওয়া হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। এর জেরে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সুতরাং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ...

এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন)। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার ক্লিনিকে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাজার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM