বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
খড়গপুর ডিভিশনের ডিএফও মণীশকুমার যাদব বলেন, হাতির খেদানো চলছিল। সেই সময় একদল হাতি শহরের ভেতর ঢুকে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তবে মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে গোটা এলাকা বনকর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যরা ঘিরে রেখেছিল।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলটি ছিল কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকায়। সোমবার গভীর রাতে বনদপ্তরের তরফে বিশেষ ড্রাইভ শুরু হয়। সেই সময়ে হাতির দলটি দিগভ্রষ্ট হয়ে খড়গপুর শহরের দিকে যেতে শুরু করে। ভোরের আলো ফুটতেই হাতির দল সুভাষপল্লি, পদ্মপুকুর হয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহকুমা হাসপাতাল ময়দানে এসে আশ্রয় নেয়। জানা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হাতির দল স্থানীয় এক তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে গাছের ক্ষতি করে। জানা গিয়েছে, মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন ময়দানের জঙ্গলে হাতির দল বিকেল পর্যন্ত ছিল। হাতি দেখার জন্য উপচে পড়েছিল ভিড়। এরপর হাতির দলকে হুলা পার্টির সহযোগিতায় রেলের ট্রেনিং সেন্টারের পাশ দিয়ে রামনগরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তৃণমূল নেতা প্রদীপ সরকার বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয়ের পাঁচিল, গেট ভেঙেছে। এই ধরনের ঘটনা আগে কোনও দিন ঘটেনি। রেল শহরের মানুষ বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে হাতির গতিবিধি। এদিন হাতি দেখতে এসেছিলেন খড়গপুর শহরের বাসিন্দা বিকাশ যাদব। তিনি বলেন, ভোরেই খবর পেয়েছিলাম। তাই হাতি দেখতে এলাম। এই চত্বরে প্রচুর বস্তি আছে। বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। এদিন সকাল থেকেই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রোহন দাস। তিনি বলেন, বনদপ্তরের ভূমিকায় খুশি। বিকেলের পর হাতি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র