বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
বন বিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের পানাগড় ও দুর্গাপুর রেঞ্জে জঙ্গলের পরিমাণ সবথেকে বেশি। এই দুই এলাকায় জঙ্গল রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ও সাড়ে সাত হাজার হেক্টর। কাঁকসা ও আউশগ্রাম এলাকার মধ্যে বিস্তৃত রয়েছে এই জঙ্গল। বনশুয়োর, খরগোশ, হায়না, হেঁড়োল, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, ময়ূর রয়েছে জঙ্গলে। বছর দু’য়েক ধরে জঙ্গলে ময়ূরের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ময়ূরের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মূলত তিনটি কারণ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথমত, এই জঙ্গলে ময়ূরের বংশবৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, জঙ্গলের ঘনত্ব বাড়ায় ময়ূরের খাবারের অভাব হচ্ছে না। ময়ূরের প্রধান খাদ্য সাপ। দুই জঙ্গলে সাপের সংখ্যা যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। চোরাশিকার বন্ধ করা হয়েছে। জঙ্গলে ময়ূরদের নির্দিষ্ট কয়েকটি ডেরা আছে। সেই এলাকাগুলিকে বিশেষ নজরে রেখেছেন বনকর্মীরা। উল্লেখ্য, গত বছর আদুরিয়ার জঙ্গলে ময়ূরের ডিম দেখা যায়। বনকর্মীরা সেগুলি পাহারা দিয়েছিলেন। ময়ূরেরা লম্বা গাছ পছন্দ করে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দপ্তরের পক্ষ থেকে আউশগ্রামে গাছ লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি ময়ূর ধরলে বা শিকার করলে জরিমানা ও জেল হতে পারে, এই বিষয়গুলি নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে।
দুর্গাপুরের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দুর্গাপুর রেঞ্জের দেউলে ময়ূর ও হরিণ সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে কাঁকসার দেউল এলাকায় প্রায় ৩০টির মতো ময়ূর ছাড়া হয়েছিল। কিছুদিন পর থেকেই ময়ূর লোকালয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তবে পানাগড় রেঞ্জ এলাকায় বছর দু’য়েক ধরে রাস্তার ধারেই ময়ূরের দেখা মিলছে। নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা না গেলেও, এই দুই রেঞ্জে দেড় হাজারেরও বেশি ময়ূর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান বনদপ্তরের। অমরপুরের বাসিন্দা প্রদীপ চৌধুরী বলেন, আদুরিয়া, প্রেমগঞ্জ, রাঙাখুলাতে ময়ূরের দল দেখা যাচ্ছে। খাদ্য ও নিরাপত্তা পেলে সংখ্যা আরও বাড়বে। - প্রতীকী চিত্র