বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রত্যন্ত এই বুথে মোট ১১৮২ জন ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষ ৬৩৪ জন ও মহিলা ৫৪৮ জন। এদিন সকাল সকাল এই বুথে গিয়ে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়ন রয়েছেন। ভিতরে ভোটকর্মীরা প্রস্তুত। হাতেগোনা পাঁচ-ছয় জন ভোটার তখন পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন। সকাল সকাল তাঁরা এলেন। ভোট দিলেন। বাইরে বেরিয়ে কিছুক্ষণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী সঙ্গীতা রায় অন্যত্র চলে গেলেন। জগদীশবাবু সিতাই কেন্দ্র হাতের তালুর মতো চেনেন। ফলে এরপর তাঁর গাড়ি দিনভর ছুটল বুথের পর বুথ। টাকিমারি, গোসানিমারি, ভেটাগুড়ি, মাতালহাট একের পর এক বুথে ঘুরলেন তিনি। কিন্তু কোনও জায়গাতেই তাঁকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে বা ভোটারদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলতে দেখা যায়নি। বরং বেশকিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তাঁদের এক্তিয়ার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেন সাংসদ। তাঁর গাড়ি এলাকায় এলাকায় পৌঁছতেই দলীয় কর্মীরা কাছে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কোথাও নির্বাচনী ক্যাম্প অফিসে বসে চা খেয়েছেন।
বেলা ১১টা নাগাদ তিনি পৌঁছন গোসানিমারি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন তিনি। সেখানে বসেই বিভিন্ন জায়গার খোঁজ নেন। তখন ভোটের হার মাত্র ২৯ শতাংশ। ঠিক বেলা ১২টায় সেখান থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তিনি ভেটাগুড়ি অঞ্চলে পৌঁছন। সেখানেও বেশকিছু বুথে ঘোরেন তিনি। এই বুথে ঘোরার সময়েই গোসানিমারি-১ অঞ্চলের টাকিমারি এলাকার বর্ষীয়ান ভোটার রসরাজ বর্মনের সঙ্গে গাছ তলায় দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল তাঁর। তিনি বলেন, এখানে গণ্ডগোলের কোনও বিষয় নেই। শাসক দল ছাড়া অন্য কোনও দলের লোকজনও বিশেষ নেই।
এদিকে, মাতালহাট এলাকায় নেতাকে গাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নামতে দেখেই ভিড় করলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেন জগদীশবাবু। সেখান থেকে আরও কিছু বুথ ঘুরে দিনহাটায় ফেরেন তিনি। সেই এলাকাটি সিতাই কেন্দ্রের বাইরে। সেখানে আসেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। দু’জনের দেখা হতে জগদীশবাবুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। জগদীশবাবু বলেন, গত এক মাস ধরে কোথাও বিজেপির পতাকা, ফেস্টুন, ফ্লেক্স লাগাতে দেখিনি। তাঁদের লোক থাকলে নিশ্চয় এসব করত। ওঁরা মিথ্যা অভিযোগ জানাচ্ছে। মানুষের উৎসাহে এদিন কোনও খামতি ছিল না। - নিজস্ব চিত্র।