মুম্বই: দল ভেঙেছেন। ছিনিয়ে নিয়েছে পতাকা-প্রতীকও। তারপরও ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে ভোটারদের মন পেতে শারদ পাওয়ারের উপরই ভরসা করতে হচ্ছে ভাইপো অজিত পাওয়ারকে। আকছার ব্যবহার করা হচ্ছে শারদের নাম, তাঁর বক্তব্যের ভিডিও। বিষয়টিকে মোটেই ভালোভাবে দেখছেন না মহারাষ্ট্রের ‘পাওয়ার সাহেব’। বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। এই ইস্যুতে এবার শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল বিজেপির জোটসঙ্গী অজিত গোষ্ঠী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রীর দলকে নিজেদের ক্ষমতায় ভোটে লড়ার পরামর্শ দিয়েছে কোর্ট। বুধবার বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের ডিভিশন বেঞ্চে এসংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতিরা শারদ ও অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, দুই দলকেই নিজেদের মতো করে প্রচারে মন দিতে হবে। ভোটারদের মনে যাতে কোনও দ্বিধা তৈরি না হয়, তাও নিশ্চিত করা দরকার। এরপরই অজিত শিবিরকে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভোটের লড়াইয়ে শারদ পাওয়ারের নামের উপর ভরসা করতে হবে না। আপনাদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজেদের ক্ষমতায় ভোটে লড়ার চেষ্টা করতে হবে। এখন শারদ পাওয়ারের সঙ্গে আপনাদের আদর্শগত ফারাক রয়েছে। সেজন্য শারদের ছবি ও ভিডিও ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে অজিত শিবিরকে।
বর্তমান এনসিপির মূল প্রতীক ঘড়ি রয়েছে অজিত গোষ্ঠীর হাতে। এই প্রতীকের অধিকার নিয়ে মামলাও চলছে শীর্ষ আদালতে। তাই ভোটের প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে সেব্যাপারেও বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রীর দলকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, এব্যাপারে আপত্তি তুলেছিল এনসিপি (এসপি)। শারদ পাওয়ারের দল দাবি করে, ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পাল্টা অজিতের দল জানায়, এই নিয়ে কোনওরকম সংশয় এড়াতে
তারা মারাঠি ভাষায় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেবে।