Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। অবশ্য তাতে তাঁদের বয়েই গেল। কারণ চিরাচরিত রাজনীতির সম্ভ্রম আদায় করা উচ্চকিত মিনারে আঘাত হেনে গণতন্ত্রের পরীক্ষায় দু’জনেই সসম্মানে উত্তীর্ণ, এক নয় একাধিকবার। একজন বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে কট্টর হিন্দুত্বকে সামনে রেখে টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। এবং তা সম্ভব করেন ভোটের বাজারে দেওয়া অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি পূরণ না করেই। স্রেফ ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে আর স্বপ্ন ফেরি করে। মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁর নোট বাতিল করে কালো টাকা নির্মূল করার কুনাট্য! তবু তাঁর রথ ছোটে রেকর্ড বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধিকে সঙ্গী করে। অন্যজনও ধনকুবেরদের মৃগয়া ক্ষেত্র আমেরিকায় দাঁড়িয়ে শেষ প্রচারে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছে টানতে হিন্দুত্ব কার্ড খেলেন সোচ্চারে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর সীমাহীন অত্যাচারে ‘আহত’ হয়ে চোখের জলও ফেলেন। তার কতটা আসল আর কতটা মেকি জানি না। শুধু জানি, দুই হুজুরেরই পদ্ধতি এক, শুধু পটভূমি ভিন্ন। বাজারি নিন্দুকে বলে রতনে রতন চেনে!
১২ হাজার কিলোমিটার দূরে এই দুনিয়ার আধুনিকতম প্রাচুর্যে ভরা দেশের মাটিতে রক্ষণশীলতাকে ঢাল করে ভোটে জিতে আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসা মোটেও কম কথা নয়। ট্রাম্প সাহেব সেটাই করে দেখিয়েছেন। একজনের স্লোগান ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। সঙ্গে ধর্মীয় বিভাজন এবং বিরোধী কংগ্রেসের ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার সাতশো ফিকির। উল্টোপিঠে ট্রাম্পের হাতিয়ার, ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেন’। যুদ্ধ নিয়ে গত চার বছর ডেমোক্র্যাটদের সিদ্ধান্তহীনতায় এমনিতেই মার্কিন নাগরিকরা বাইডেন প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। নির্বাচনে সেই ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ হল কৃষ্ণাঙ্গ নারী কমলার বিরুদ্ধে। আর্ন্তজাতিক মঞ্চে হোয়াইট হাউসের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ফেরানোর তুরুপের তাসেই আমেরিকার রং আজ লাল। ভেবে দেখুন, এক দশক আগে মনমোহন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রেও বিজেপি’র তুরুপের তাস ছিল ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’ আর নয়। ‘হাউডি মোদি’ এবং ‘নমস্তে ট্রাম্প’ মিলে মিশে একাকার! গেরুয়া মোদিজির মতোই জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে অগ্রসর হন রিপাবলিকান নেতাও। প্রতিশ্রুতি দেন, অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর করে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কারের। সেই একরোখা ঝাঁঝালো মনোভাবে তিনি হিটলারের আদর্শেই যেন অনুপ্রাণিত। দোসর রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি। আরও কঠোর শুল্ক নীতির হাতছানি। শুধুই কষ্টকল্পিত স্বপ্ন ফেরি করে লোকজনকে বুঁদ করে দেওয়ার মহতী আয়োজন। গড়পড়তা নাগরিকদের মন জিততে বারংবার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ হুঙ্কার। যদিও বাজারি রাজনীতিতে এসবই শেষ পর্যন্ত কথার কথা হয়েই থেকে যায়, বাস্তবায়িত হয় না মোটেই। বছরে দু’কোটি লোকের চাকরি যেমন এই ভারতে শতাব্দীর সেরা ধাপ্পা, তেমনই অভিবাসন নীতি, মেক্সিকানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও স্রেফ ভোটে জেতার টোপ। নির্বাচন আসে যায়। রাজ্যপাট চলে আপন পাগলপারা গতিতে। কী দিল্লি, কী ওয়াশিংটন ভোটের বাজারে দেওয়া কথা বড় একটা কেউ রাখেন না! সবাই অপেক্ষা করে পরবর্তী বিমান আক্রমণের জন্য, এটাই শিক্ষিত দুনিয়ার দস্তুর!
ভারতের মতো গরিব দেশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, কিন্তু সমীহ জাগানো শিক্ষিত ধনী প্রগতিশীল আমেরিকা! এত বছরেও সেখানে একজন মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন না? এই নির্বাচনেও পুরোদস্তুর লিঙ্গ বৈষম্য (‘জেন্ডার বায়াস’) ট্রাম্পের পক্ষে গিয়েছে। ডোনাল্ড তিনবার লড়াই করেছেন। ২০১৬, ২০২০ ও ২০২৪। দু’-দু’বার দুই ডেমোক্র্যাট মহিলা হিলারি ক্লিন্টন ও কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে তিনি বড় ব্যবধানে জয়ী। হেরেছেন শুধু একবারই, চার বছর আগে। সেবার প্রতিপক্ষ কোনও মহিলা ছিলেন না, সুপুরুষ ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। আবারও প্রমাণ হল এতটা এগিয়েও একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাকে সর্বোচ্চ পদে মেনে নেওয়ার মতো উদার হতে পারেনি মার্কিন সমাজ। প্রযুক্তি দাপট বাড়িয়েছে, গণতন্ত্র ও পুঁজির দাপটে উন্নতির একের পর এক মাইলস্টোন চোখ ধাঁধিয়েছে। কিন্তু প্রদীপের তলার নিকষ অন্ধকারের মতোই রক্ষণশীলতার নাগপাশে আজও আগাগোড়া বন্দি তথাকথিত ঝাঁ চকচকে মার্কিন মুলুক। নারীর সমান অধিকার সেখানেও শুধু কথার কথা।
সত্যিমিথ্যে জানি না! নিন্দুকেরা বলে, ভারতে তিনি স্বমহিমায় আছেন বলেই নাকি বিশেষ কয়েকজন বাছাই করা শিল্পপতির রমরমা। সেই সুবাদেই দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ মাত্র কয়েকজনের কব্জায়। ১৪২ কোটির জনসংখ্যার ভারতের আনাচে-কানাচে সেই গুঞ্জন। আদানি, আম্বানিদের রমরমা নিয়ে তোপ দাগেন স্বয়ং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। হরেক কিসিমের অনিয়মের অভিযোগ সামনে আনেন। তাতে উত্তাল হয় সংসদ পর্যন্ত। আর সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচনেও বিপুল জয়ের নজির সৃষ্টি করে জয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী তাঁর গাঢ় লাল রঙের আভায় ভেসে ধন্যবাদ জানান মার্কিন ধনকুবের শিল্পপতি এলন মাস্ককে। যিনি এই সেদিনও নিজমুখে বলতেন, তিনি অর্ধেক ডেমোক্র্যাট, অর্ধেক রিপাবলিকান। তিনিই নাকি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী। এর আগের নির্বাচনে তিনি বাইডেনের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু প্রচারে ডোনাল্ডের উপর প্রাণঘাতী হামলার পর থেকেই সকাল-সন্ধ্যা ট্রাম্প শিবিরে। মার্কিন মিডিয়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রিপাবলিকানদের প্রচারে তিনি নাকি দৈনিক ১ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন। তা এহেন বন্ধুর নাম জয়ী প্রেসিডেন্ট নেবেন, জয়ের খবর চাউর হতেই মাস্কের চার বছরের ছেলেকে পর্যন্ত হবু প্রেসিডেন্টের পাশে ভিকট্রি স্ট্যান্ডে দেখা যাবে, তাতে আর আশ্চর্য কী?
লোকে বলে, ধর্মে ও জিরাফে থাকা এমন রঙিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকা বিশেষ দেখেনি। দেশের ৪৭তম রাষ্ট্রপ্রধান ৩০টির বেশি অপরাধে অভিযুক্ত, আছে যৌন হেনস্তার মারাত্মক সব মামলাও। এক নয়, একাধিক। তবু মিন মিন করে নয়, অভিবাসী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি কড়া ভাষায় আক্রমণ এবং যুদ্ধ নিয়ে স্পষ্ট নীতির জন্যই মার্কিন সমাজ কালো চামড়ার মহিলাকে ছেড়ে তাঁকে বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে ইজরায়েল ও ইউক্রেন প্রশ্নে কড়া ভূমিকার আভাস রিপাবলিকান জয়কে সহজ করেছে। প্রথম অভিনন্দন এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইজরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান নেতানিয়াহু এবং সৌদি আরবের মহম্মদ বিন সলমনের থেকে। আর সব শেষ শুভেচ্ছাটা এসেছে পুতিনের অফিস থেকে, ৪৮ ঘণ্টারও পর। জেলেনস্কি কি প্রমাদ গুনছেন? কারণ অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতির সঙ্গেই ট্রাম্পের তোপ, পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে হবে ইউক্রেনকে। 
আর নয়াদিল্লি? ফল বেরতেই নরেন্দ্র মোদি যেন ফিরে পেয়েছেন টেক্সাসের সেই উনিশ সালের ফেলে আসা রাত। কেন? কারণ আমেরিকা ও ভারত, দু’দেশেরই এই মুহূর্তে প্রধান প্রতিপক্ষ চীন। অস্ত্র, প্রযুক্তি ও অর্থনীতির দৌড়ে বেজিং আজ আমেরিকাকে ব্যাকফুটে ফেলছে। ভারতের চারপাশেও ক্ষমতার নতুন অক্ষরেখা তৈরির চেষ্টা চলছে। তাই হোয়াইট হাউসের আজ ভারতকে এতটা প্রয়োজন। আর নয়াদিল্লি সম্প্রতি ‘লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ থেকে চীনা ফৌজ প্রত্যাহার নিয়ে যে চুক্তি করেছে তা লঙ্ঘিত হলে পেন্টাগনকে পাশে পাওয়ার আশা করছে। ভারতকে খুশি করতে ইতিমধ্যেই দিল্লির কূটনৈতিক শত্রু কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকারকেও তোপ দাগা শুরু হয়েছে ট্রাম্প শিবির থেকে। ‘আপনার দিন শেষ, আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না’ বলে হুঙ্কার দিয়েছেন এলন মাস্ক। কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তন সত্যিই কি ভারতকে সবক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেবে? আগেরবার নয়াদিল্লির তীব্র আপত্তিতেই পাকিস্তানকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য স্থগিত করে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। জয়েশ প্রধান পাকিস্তানি জঙ্গি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গিও ঘোষণা করা হয়েছিল ইসলামাবাদ ও তার মেন্টর চীনের অস্বস্তি বাড়িয়ে। এবারও ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তন দিল্লি-আমেরিকার অস্ত্র সমঝোতা ও বাণিজ্যিক আদান-প্রদান বাড়াতে সাহায্য করবে বলেই একটি মহলের আশা। চীনের দৌরাত্ম্যও কিছুটা কমবে। তবে শুল্ক বিধি কঠোর হলে আদৌ বাণিজ্যিক অগ্রগতি কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। তবে সব ছাপিয়ে ভারতের কৌশলগত চাহিদা নিঃসন্দেহে প্রতিবেশী বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। মার্কিন মুলুকের ফল বেরতেই ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসের। জামাতের বাড়বাড়ন্ত ছেঁটে অতঃপর আওয়ামি লিগ নেত্রীর অভিশাপের প্রহর কি কাটবে? তার উত্তর আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে।
সংশয়ের কারণ ট্রাম্প মানুষটা আগাগোড়া বিতর্কিত এবং অপ্রত্যাশিত। রুড, আনপ্রেডিক্টেবল! সাত ও আটের দশকে তিনি গুরু হিসেবে কাছে পেয়েছিলেন কুখ্যাত আইনজীবী রয় কোনকে। যিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্পের জীবনচক্রকে সীমাহীন ক্ষমতা, প্রচার এবং মোকদ্দমার কঠিন পথে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ক্যাসিনোর চাকা আজও ট্রাম্পের জীবন ভাবনাকে পরিচালিত করে। ট্রাম্প তাঁর ‘গুরু’র কাছেই শিখেছিলেন প্রতারণা-চাতুর্য, দাম্ভিক আচরণ, উদ্ধত অহংকার এবং হার না মেনে যেকোনও মূল্যে জয় হাসিলের ঠিকানা খুঁজে বের করার জটিল পাটিগণিত ও রসায়ন। আজ আমাদের চোখে ধরা পড়া ট্রাম্পের নাছোড়বান্দা আগ্রাসী চেহারাও সেই শিক্ষারই ফসল। 
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সবশেষে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প অনেক কথা বলছেন। দেখতে হবে তার কতটা বাস্তবায়িত হয় পৃথিবীর মাটিতে। একই কথা প্রযোজ্য ভারতের জন্যও। মুখে ঝুলে থাকা মৃদু হাসির আড়ালে ট্রাম্প কিন্তু পাক্কা ব্যবসায়ী।
তবে সব শেষে একটা কথা বলতেই হবে, পৃথিবী যত আধুনিক হচ্ছে পাল্লা দিয়ে সবক্ষেত্রেই চরমপন্থীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। শিক্ষা, সৌজন্য, ধীরে ধীরে বিনয়ের সঙ্গে চিরাচরিত ঢঙে কথা বলা আজ দুনিয়াজুড়ে হেরোদের বিজ্ঞাপন! জয়ীরা আছেন সোচ্চারে, উল্লাসে, অহঙ্কারে এবং বিতর্কের উস্কানিতে। খতমের নেশায়। একেই কি বলে উন্নয়নের সাইড এফেক্ট?
10th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
দোকান থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে আলতাপুর-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ঝাপরটোল বাজারে। মৃতের নাম রবিউল ইসলাম (৫০)। বাড়ি রাঘবপুর ঘনটোলা গ্ৰামে। ...

প্রায় দু’বছর আগে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর ছয় সহযোগীর ...

এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জে বি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। উত্তর কলকাতায় দেশবন্ধু পার্ক লাগোয়া এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য প্রশ্নাতীত। কিন্তু বর্তমান পারফরম‌্যান্সে? ...

২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে শুক্রবার ভোরে (ভারতীয় সময়) প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্তিনা। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
বিশ্ব হাঁটা দিবস
শিশু দিবস
রসগোল্লা দিবস
১৫৩৩: স্পেনীয়রা দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ইকুয়েডর আবিষ্কার এবং দখল করে
১৬৬৬: দুই কুকুরের দেহে প্রথম রক্ত সঞ্চালন করা হয়
১৭৮০: ব্রিটিশরাজ ‘বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে
১৮৩১: ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়ে তিতুমীর শহীদ হন
১৮৬৫: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘পদ্মাবতী’ নাটক প্রথম অভিনীত হয়
১৮৮৯: পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্ম
১৮৯৬: নায়াগ্রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়
১৯০৮: আলবার্ট আইনষ্টাইন প্রথম, আলোক-সংক্রান্ত কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন
১৯২০: স্বাধীনতা সংগ্রামী রাজা সুবোধচন্দ্র বসু মল্লিকের মৃত্যু 
১৯২২: যুক্তরাজ্য থেকে বিবিসি (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম বিবিসি রেডিও প্রচার শুরু হয়
১৯৩৫: অভিনেতা নিমু ভৌমিকের জন্ম
১৯৬৯: ব্রিটেনে রঙিন টিভি সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৬৯: তিন মার্কিন নভোচারী চার্লস কনরাড, গর্ডন কুপার ও অ্যালান বিনা অ্যাপোলো-১২ নভোযানে চড়ে চাঁদে যাত্রা করেন 
১৯৭১: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের জন্ম
২০২২: ডুবন্ত টাইটানিক থেকে বেঁচে যাওয়া ও বিশ্ব ইতিহাসের একের পর এক ঘটনার সাক্ষী থাকা নারী ভার্জিনিয়া।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৮ টাকা ৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮০ টাকা ১০৯.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৮.০৩ টাকা ৯১.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৯/৩৮ দিবা ৯/৪৪। অশ্বিনী নক্ষত্র ৪৬/৪০ রাত্রি ১২/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৫২/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৮ কার্তিক ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ৭/৩৫ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৫/১৫। অশ্বিনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৪/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৪ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে ও ৪/২২ গতে ৫/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে। 
১১ জমাদিয়স আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শালিমার স্টেশনে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ
মুম্বই ফেরার জন্য শালিমার স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে ...বিশদ

12:35:02 AM

দেব দীপাবলি পালনের জন্য আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে হরিদ্বারের হর কি পৌরি

10:58:00 PM

দেব দীপাবলি পালনের জন্য আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ঘাটগুলি

09:59:06 PM

নাগপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান

09:34:00 PM

বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

09:21:00 PM

পুনেতে জনসভা করছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে

08:43:00 PM