Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। কিন্তু পুরুষতন্ত্র নিছক নারীর ক্ষমতায়নে বাধা দেওয়া নয়। পুরুষতন্ত্র সেটাও যেখানে ক্ষমতাসীন নারীকে অপমান করা হয় প্রতিনিয়ত। নারীকে সর্বদাই হেয় প্রতিপন্ন করতে আনন্দ হয়। কাকে বলে পুরুষতন্ত্র? ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা যখন কমলা হ্যারিসের সন্তানহীনতা সম্পর্কে ব্যঙ্গ করেন, সেটাকে বলে পুরুষতন্ত্র। তাঁর বাবা ব্ল্যাক, মা ভারতীয়, অতএব কমলা হ্যারিস কোনওটাই নয়। এই শ্লেষ হল পুরুষতন্ত্র। ঠিক এভাবেই আমেরিকা থেকে বহু দূরে একজন নারীর উপর চরম নির্যাতনের বিচার চাওয়ার নাগরিক আন্দোলনে কোনও এক মহানগরীর মিছিলে যখন পোস্টারে লেখা হয়, ‘কালীঘাটের ময়না/সত্য কথা কয় না’ সেটা হল পুরুষতন্ত্র। রাজনীতির বিরোধিতা না করে যখন শিক্ষিত সমাজের মুখ থেকে উল্লসিত ঘৃণার স্লোগান বেরিয়ে আসে ‘জোট বেঁধেছে বাঙাল ঘটি/ভয় পেয়েছে হাওয়াই চটি’, সেটাই পুরুষতন্ত্র। যখন বলা হয় ‘এক হয়েছে হাজার গলা/ভয় পেয়েছে চোদ্দ তলা’, তখন সেটি পুরুষতন্ত্র। কেন? কারণ পুরুষতন্ত্র ভাবে নারীদের ভয় পাওয়াই তাদের জয়। সেই নারী প্রশাসক মোবাইলের স্পিকার ফোনে ধর্মতলায় অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন তাঁর কণ্ঠ থামিয়ে অথবা  স্তিমিত করে দিতে সামনে জমায়েত থেকে উচ্চকিতভাবে আচমকা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকার করে হাসাহাসি করা হয় এবং সেই প্রশাসক যাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, সেই ‘মেধাবী’রা কোনও প্রতিবাদ করেন না, সেটাই পুরুষতন্ত্র। এসবের অর্থ কী? অর্থ হল, এই দেখো তোমাকে কেমন অপমান করলাম? এই দেখো, তোমায় অশিক্ষিত বলছি! ছোটলোক বলছি। এই যে নারী শাসকের প্রতি অবজ্ঞা এবং অপমান করে তৃপ্তি পাওয়া, এর নাম পুরুষতন্ত্র। বিধানবাবু, অজয়বাবু, সিদ্ধার্থবাবু, জ্যোতি বাবু, বুদ্ধবাবু বলা হয়েছে। কিন্তু একজন নারী সেই একই পদে বসলে তাঁকে নাম ধরে ডাকা হয়, ওটাই পুরুষতন্ত্র! 
সাতের দশকে ভারতের এক ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিরোধিতা করার জন্য যে রাজনৈতিক দলটি দেওয়াল লিখনে সেই নেত্রীকে ডাইনি হিসেবে অঙ্কন করত, ডাইনির হাত থেকে রক্ত পড়ছে দেখাতো, সেই কমিউনিস্ট পার্টির আড়ালে থাকা মনস্তত্ত্ব হল পুরুষতন্ত্র। পুরুষের হাতে যাতে ছোটখাটো শখ পূরণে হাত পাততে না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য যে প্রকল্পে নারীদের হাতে কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া হয়, সেটিকে ভিক্ষা আখ্যা দেওয়াই হল পুরুষতন্ত্র। 
অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করে বাহবা নেওয়ার পর আতিশী মার্লেনা নামক আম আদমি পার্টির নেত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় এই তো কয়েকমাস আগে। আতিশী যোগ্য, শিক্ষিত। কিন্তু তিনি নেতার প্রতি আনুগত্য দেখাতে কেজরিওয়ালের চেয়ারে বসেননি। কেজরিওয়ালের চেয়ারকে পাশে শূন্য অবস্থায় রেখে অন্য চেয়ারে বসে মুখ্যমন্ত্রিত্ব চালাচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইছেন তিনি অনুগত এক শিষ্যা। আসলে গুরুই মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেজরিওয়াল নিজে আতিশীর এই বিবৃতি কিংবা বক্তব্য অথবা অবস্থানের চরম বিরোধিতা করেননি। তিনি যেন এই ব্যবস্থাকে মেনে নিলেন। উপভোগ করলেন। তিনি না থেকেও যে প্রবলভাবে আছেন, এটাই প্রমাণ করার তাড়না। এটাই পুরুষতন্ত্র। আতিশীকে তাই তাঁর দলেরই কেউ মুখ্যমন্ত্রী মনে করে না। যেন তিনি স্টপগ্যাপ। সত্যিই তাই। 
কমলা হ্যারিস ভুল ভেবেছিলেন? নাকি তিনি জানতেন? ২৩ অক্টোবর তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জোর গলায় বলেছিলেন, আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আমেরিকা একজন মহিলাকে প্রেসিডেন্ট করতে এখন প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, আ উওম্যান উইথ কালার। প্রসঙ্গত, আজকাল বর্ণবৈষম্যকে দূর করতে ব্ল্যাক বলা হয় না। বলা হয় কালারড। তারও একমাস আগে কমলা হ্যারিস একটি ডিবেটে অংশ নিয়ে বলেছিলেন, ট্রাম্প আর তাঁর জঙ্গি মনোভাবাপন্ন সঙ্গীরা আমেরিকাকে পিছনের দিকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চান। তাঁরা নিয়ে আসতে চান সেই যুগ যেখানে নারীদের ভোটাধিকার নেই। তাঁরা চান সেই যুগ যেখানে নারীদের যেন সম্পত্তিতে অধিকার না থাকে। তাঁরা চান সেই যুগ, যেখানে নারীর নিজের শরীর মন এবং অস্তিত্বের উপর অধিকার না থাকে। নারীদাসত্বই ট্রাম্পের মতো মানুষদের মনোভাব। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না। 
কমলা হ্যারিসের ওই শপথকে আমেরিকা হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৭ জন নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন, তিনিই জয়ী হয়েছেন ভোটে। তবু কমলা হ্যারিস হননি। একে নারী। তার উপর শ্বেতাঙ্গ নয়। একে বলে পুরুষতন্ত্র। 
পুরুষতন্ত্র নিছক পুরুষ সমাজের মধ্যেই রয়েছে এমন মোটেই নয়। এ হল একপ্রকার মনস্তত্ত্ব। স্টেট অফ মাইন্ড। বহু নারীর মধ্যেও গোপনে বাসা বেঁধে রয়েছে চিরন্তন পুরুষতন্ত্র। তাঁরা সেটা হয়তো বুঝতেই পারেন না। ভারতবর্ষ নামক একটি ৩৪টি রাজ্য এবং ১৪২ কোটির দেশের মধ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া, আর একটিও রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো নারী নয় কেন? কেন মায়াবতী ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ দলিত সম্রাজ্ঞীর আসন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেলেন পুরুষতান্ত্রিক প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে? শক্তিশালী নারী মুখ্যমন্ত্রী আর কেউ নেই কেন? কারণ প্রবল পুরুষতন্ত্রকে টক্কর দিয়ে উঠে আসার মতো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না কাউকে! 
১৯৮০ সালে তৈরি হওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি ২০২৩ সালে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে এসে নারী ক্ষমতায়নের প্রচার করেছে। কিন্তু তাঁদের দলের আজ পর্যন্ত একজনও নারী সভানেত্রী হলেন না কেন? গত শতকের আটের দশকে লালকৃষ্ণ আদবানি একটি দুর্দান্ত তরুণ নেতানেত্রীর টিম পেয়েছিলেন। অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নরেন্দ্র মোদি, প্রমোদ মহাজন,  বেঙ্কাইয়া নাইডু, গোবিন্দাচার্য। পরবর্তী কালে রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগ কোনও না কোনও সময় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন। সুষমা স্বরাজ হলেন না কেন? তিনিই তো ছিলেন যোগ্যতম! সুষমা স্বরাজ চলে গিয়েছেন। বিজেপির একমাত্র জনপ্রিয় শক্তিশালী নেত্রী ছিলেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। তাঁকে ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হল দিল্লির নির্দেশে। রাজস্থানে আজ বিজেপিরই সরকার। অথচ কোথায় বসুন্ধরা? সম্পূর্ণ হারিয়ে গেলেন? কেন? এতগুলো রাজ্যে সরকার চলছে। একজনও কি নারী মুখ্যমন্ত্রী করতে পারতেন না নরেন্দ্র মোদি? করলেন না কেন? নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করার অধিকার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেওয়া হল না। রামমন্দির উদ্বোধনের অধিকার দ্রৌপদী মুর্মু পাননি। এটাই পুরুষতন্ত্র। 
করুণানিধি কন্যা কানিমোঝি কি ডিএমকে দলের নীতি নির্ধারক? না। করুণানিধির পুত্র এম কে স্ট্যালিন কিংবা তাঁর পুত্র উদয়াদিত্য। লালুপ্রসাদকন্যা মিসা ভারতী কি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী? না। দলের চালিকাশক্তি লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। মুলায়ম সিং যাদবের পুত্রবধূ ডিম্পল যাদব কি স্থির করেন সমাজবাদী পার্টির ভাগ্য? না। তাঁর স্বামী অখিলেশ যাদব সর্বোচ্চ নেতা। কেউ কখনও ভেবেছে যে, বৃন্দা কারাত সিপিএমের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন? না। প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি নিতেন, প্রকাশ কারাতরা নিতেন। এখনও পুরুষপ্রধান কেন্দ্রীয় কমিটি অথবা পলিটব্যুরোই  নির্ণায়ক শক্তি। 
২০২৪ সালের ভারতে নতুন কোনও নারী রাজনৈতিক নেত্রীর উত্থান হচ্ছে না কেন? গান্ধী পরিবারের নতুন নেত্রী  লড়াই করে, ভাবমূর্তি নির্মাণ করে, জননেত্রী হয়ে ক্ষমতা অর্জন করেননি। তিনি তো পদবি ও পরিবারের কারণে এসেছেন এবং ক্ষমতাসীন হচ্ছেন। কিন্তু বাকি ভারতের কী হল? এই যে নারীদের কোনও দলের সর্বোচ্চ স্তরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না, এটাই পুরুষতন্ত্র। 
পুরুষতন্ত্র আসলে চায় না যে, নারী তাদের শাসন করুক। পুরুষতন্ত্র ক্ষমতাসীন নারীকেও তাই যেনতেনপ্রকারে সর্বদাই হেনস্তা করতে চায়। তাচ্ছিল্য করতে চায়। অপমান করতে চায়। জয়ললিতা থেকে মায়াবতী। মেহবুবা মুফতি কিংবা সোনিয়া গান্ধী। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা কমলা হ্যারিস! সকলকেই তাই চরম অপমানিত হতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকের ভুল ত্রুটি দোষ ব্যর্থতা অবশ্যই আছে। কিন্তু দেখা যায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অপমান, অসম্মান এবং আক্রমণ করা হয় ব্যক্তিগত স্তরে। রাজনৈতিক আক্রমণ কম হয়। যেন নিরামিষ রাজনৈতিক আক্রমণ করা হলে পুরোদস্তুর তৃপ্তি পায় না পুরুষতন্ত্র। তাই প্রয়োজন হয় অপমানের। ঠাট্টা, বিদ্রুপ, ব্যঙ্গ, শ্লেষ, হাসাহাসি এবং তীব্র অসৌজন্যের তির। যে কোনও নারী প্রশাসক অথবা নেত্রী কিংবা ক্ষমতার লড়াইয়ে নামা কোনও সাহসিনীর জন্য এটাই হল পুরুষতন্ত্রের কাছে প্রাপ্য। 
চরম মূল্যবৃদ্ধি। বেকারত্ব। প্রায় অথর্ব এবং মানসিকভাবেও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা এক আশি পেরনো নেতাকে নিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টি চরম সঙ্কটে ছিল। সেই আশি পেরনো নেতা জো বাইডেন কিছুতেই আবার প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরবেন না। প্রতিটি দিন শুধু তাঁর কাণ্ডকারধানা দেখেই ডেমোক্র্যাটদের ভোট কমছিল হু হু করে। অবশেষে শেষ লগ্নে জো বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হলেন। কিন্তু ততদিনে বিপুল ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। চরম আগ্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পকেটে প্রায় এসে গিয়েছে গরিষ্ঠতা। এমতাবস্থায় কমলা হ্যারিসকে আসরে নামায় ডেমোক্র্যাট পার্টি। গোহারা ম্যাচকে তিনি কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে প্রায় সমান সমান এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন একক প্রয়াসে। সুতরাং কমলা হ্যারিসের লড়াই ইতিহাস মনে না রাখুক, বিশ্বের সব লড়াকুদের যেন মনে থাকে। 
পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসনের ভূগোল হয় না। বিশ্বজুড়ে একই চিত্র। পুরুষতন্ত্রের শুধুই নিত্যনতুন ইতিহাস হয়। 
08th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

05th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
প্রায় দু’বছর আগে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর ছয় সহযোগীর ...

ব্যবস্থা অনলাইনেই। অভিযোগ, তারপরেও যাবতীয় নথির হার্ড কপি দেখতে চাইছেন অনেক আধিকারিক। এর ফলে ইএসআইয়ের মাতৃত্বকালীন পরিষেবা পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মহিলা গ্রাহকদের একাংশকে। ...

বিগত নির্বাচনে ছিলেন দলের ‘ভোট ম্যানেজার’। এবার তিনিই ভোট প্রার্থী। নতুন ভূমিকায় সুজয় হাজরাকে চেনা ছন্দেই দেখা গেল। চেনা পিচে স্বাভাবিকভাবেই দাপট দেখা গেল তৃণমূল প্রার্থীর। তবে এসি গাড়ি নয়, ভোটের দিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত স্কুটিতে চেপেই ঘুরে ...

দোকান থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে আলতাপুর-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ঝাপরটোল বাজারে। মৃতের নাম রবিউল ইসলাম (৫০)। বাড়ি রাঘবপুর ঘনটোলা গ্ৰামে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
বিশ্ব হাঁটা দিবস
শিশু দিবস
রসগোল্লা দিবস
১৫৩৩: স্পেনীয়রা দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ইকুয়েডর আবিষ্কার এবং দখল করে
১৬৬৬: দুই কুকুরের দেহে প্রথম রক্ত সঞ্চালন করা হয়
১৭৮০: ব্রিটিশরাজ ‘বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে
১৮৩১: ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়ে তিতুমীর শহীদ হন
১৮৬৫: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘পদ্মাবতী’ নাটক প্রথম অভিনীত হয়
১৮৮৯: পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্ম
১৮৯৬: নায়াগ্রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়
১৯০৮: আলবার্ট আইনষ্টাইন প্রথম, আলোক-সংক্রান্ত কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন
১৯২০: স্বাধীনতা সংগ্রামী রাজা সুবোধচন্দ্র বসু মল্লিকের মৃত্যু 
১৯২২: যুক্তরাজ্য থেকে বিবিসি (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম বিবিসি রেডিও প্রচার শুরু হয়
১৯৩৫: অভিনেতা নিমু ভৌমিকের জন্ম
১৯৬৯: ব্রিটেনে রঙিন টিভি সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৬৯: তিন মার্কিন নভোচারী চার্লস কনরাড, গর্ডন কুপার ও অ্যালান বিনা অ্যাপোলো-১২ নভোযানে চড়ে চাঁদে যাত্রা করেন 
১৯৭১: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের জন্ম
২০২২: ডুবন্ত টাইটানিক থেকে বেঁচে যাওয়া ও বিশ্ব ইতিহাসের একের পর এক ঘটনার সাক্ষী থাকা নারী ভার্জিনিয়া।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৮ টাকা ৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮০ টাকা ১০৯.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৮.০৩ টাকা ৯১.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৯/৩৮ দিবা ৯/৪৪। অশ্বিনী নক্ষত্র ৪৬/৪০ রাত্রি ১২/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৫২/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৮ কার্তিক ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ৭/৩৫ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৫/১৫। অশ্বিনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৪/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৪ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে ও ৪/২২ গতে ৫/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে। 
১১ জমাদিয়স আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শালিমার স্টেশনে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ
মুম্বই ফেরার জন্য শালিমার স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে ...বিশদ

12:35:02 AM

দেব দীপাবলি পালনের জন্য আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে হরিদ্বারের হর কি পৌরি

10:58:00 PM

দেব দীপাবলি পালনের জন্য আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ঘাটগুলি

09:59:06 PM

নাগপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান

09:34:00 PM

বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

09:21:00 PM

পুনেতে জনসভা করছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে

08:43:00 PM