বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মাত্র সাড়ে তিন বছর আগে স্কুলে যোগ দেওয়া কম্পিউটার শিক্ষকের এমন কাণ্ডে হতবাক কালিয়াচকের ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন বছর আগে ২০২১ সালের ১ মার্চ রকি শেখ কালিয়াচকের ওই হাইস্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। কম্পিউটার শিক্ষক রকির কাণ্ডে তাজ্জব স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানও। তাঁর কথায়, বুধবার সকালে শুনলাম রকি শেখকে পোর্টালকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের স্কুলের কোনও পোর্টালের কাজ করতেন না। কম্পিউটার শিক্ষক হিসাবে স্কুলের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নিতেন। স্কুলের অফিসিয়াল কাজ আমি এবং আরেকজন মিলে করতাম। স্কুলে যতটুকু দেখেছি তাঁকে তো ভালোই মনে হয়েছে আমাদের।
পুলিস সূত্রে খবর, এই রকি ও তাঁকে ঘিরে গড়ে ওঠা চক্র অন্যান্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য হ্যাক করে ট্যাব কেনার টাকা গায়েব করলেও নিজের স্কুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও গোলমাল করেননি। প্রধান শিক্ষক জানান, আমাদের স্কুলের ১ হাজার ৫৪ জন পড়ুয়াই ট্যাবের টাকা পেয়ে গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগর হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন রকি। এরপর সাউথ মালদহ কলেজ থেকে স্নাতক হন। মালদহ পলিটেকনিক কলেজ থেকে কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। বৈষ্ণবনগরের আশু মার্কেটে তাঁর একটি দোকান আছে। যেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রিন্ট আউট, জেরক্সের সঙ্গে রাবার স্ট্যাম্পও তৈরি করা হতো।
সোমবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান ও মালদহ জেলার পুলিস যৌথ অভিযান চালিয়ে হাসান আলিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি রকি শেখকেও আটক করে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মঙ্গলবার রাতে ফের আটক করে পুলিস। বৈষ্ণবনগর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। গভীর রাতে রকি সহ ট্যাব কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পিন্টু শেখ, শ্রবণ সরকার ও জামাল শেখকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস। - রকি শেখ।