বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার ডাঃ নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে আশঙ্কজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তলপেট থেকে ঊরু পর্যন্ত ফেটে গিয়েছিল। পায়েও গুরুতর চোট ছিল। এত কমবয়সে এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কঠিন ছিল। কিন্তু আমাদের চিকিৎসকরা সুরজকে সুস্থ করে তোলার জন্য আন্তরিকতার ত্রুটি রাখেননি। কয়েক ইউনিট রক্তও দিতে হয়েছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ছেলেটি। এখন স্যালাইন খুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ দিয়ে ওষুধ ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। এখন ওর অবস্থা স্থীতিশীল।
ডাঃ নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমাদের এখানে সেরা চিকিৎসা দেওয়া হয়। সবসময় ডাক্তার থাকেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ, ওষুধ সব বিনামূল্যে পাওয়া যায়। অনেকে ধৈর্য ধরতে পারেন না। রোগী সুস্থ হতে না হতেই বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন। অনেকে ভরসা রাখতে না পেরে ধারদেনা করে নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সুরজকেও সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলার জন্য ওর অভিভাবকদের ধৈর্য রাখতে হবে।
সুরজের বাবা লক্ষণ দাস বলেন, আমি বাড়ির কাছে একটি গ্যারেজে কাজ করি। প্রতিদিন দুপুরে ছেলে বাড়ি থেকে আমার জন্য খাবার নিয়ে যায়। কালীপুজোর আগের দিন আমি গ্যারেজে কাজ করছিলাম। সময় পেরিয়ে গেলেও ছেলে না আসায় চিন্তা হচ্ছিল। রাস্তায় এসে চিৎকার চেঁচেমেচি শুনি। দেখি জটলা। এগিয়ে গিয়ে দেখি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছেলে রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে। সেই দৃশ্য ভাবলে এখনও আঁতকে উঠি। মেডিক্যালের চিকিৎসা পরিষেবায় ছেলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। -নিজস্ব চিত্র