Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন।
কপিল শর্মার সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর মিল কোথায়? দু’জনেই টিআরপি বাঁচানোর জন্য (কুর্সি বললেও ভুল নয়) চেষ্টা এবং অপেক্ষা, দুটোই শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন।
কপিল শর্মার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির মিল কোথায়? দু’জনের কাছেই মার্কেটিংটা শেষ কথা।
শিরোনামে কপিল শর্মা। এমনিতেই সঞ্চালনা এবং কমেডির জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি। এবার একটু বাড়তি শিরোনাম দখল করেছেন কপিল। অমৃতসরের সাধারণ ঘর থেকে উঠে আসা যুবক। স্ট্যান্ড আপ কমেডি করেছেন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক শো’তে অংশ নিয়েছেন, তারপর ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন নিজের জায়গা। কী পারেন, সেটা তাঁর জাহির করার বিষয় নয়। বরং দুর্বলতাকেই এনক্যাশ করেন কপিল। তিনি ইংরেজি ভালো বোঝেন না। এলিট ক্লাসের লোকজনের সঙ্গে নিয়মিত ওঠা-বসা করেন, অথচ বুঝিয়ে দেন তিনি ওঁদের গোত্রের নন। দামি ব্র্যান্ডের পোশাক পরেন, কিন্তু পাবলিককে দেখান যে, তিনি সে সবের নামই জানেন না। বলিউডে থেকেও নিজেকে ছোট এবং ভিন্ন দেখানোটাও যে জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হতে পারে, সেটা প্রমাণ করেছেন কপিল শর্মা। ইদানীং তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কেন? রবি ঠাকুরকে নিয়ে মশকরা করেছেন তিনি। নিজের শোয়ে বসে ‘একলা চলো রে’ গানটিকে খিল্লির পর্যায়ে নামিয়েছেন। পাশে বসে অভিনেত্রী কাজল (রক্তে বাঙালি, যদিও বেড়ে ওঠায় নয়) খিল খিল করে হেসেওছেন। তাতেই বেজায় ক্ষিপ্ত বাঙালির ইন্টেলেকচুয়াল মহল। প্রতিবাদের ঝড় উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, কপিল শর্মা আসলে পুরো চিত্রনাট্যই সাজিয়েছেন নিজের শোয়ের কথা ভেবে। যাঁরা তাঁর অনুষ্ঠান দেখেন, তাঁদের নিয়ে কপিল চিন্তিত নন। বরং ইন্টেলেকচুয়াল যে শ্রেণি তাঁর সঞ্চালনা এবং অনুষ্ঠানকে ‘লঘু’ বলে মনে করে দূরে সরিয়ে রাখেন, তাঁদের টেনে এনেছেন তিনি। বিতর্কের নামে তাঁরা চ্যানেল বা ওটিটিতে কপিল শর্মাকে দেখছেন। অর্থাৎ, পুরোটাই মার্কেটিং পলিসি। গত ১০ বছর ধরে এই নীতিই আমরা দেখে আসছি নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতার অলিন্দে। উরি হামলা হোক, নোট বাতিল বা মঙ্গলসূত্র... এক একটি ইস্যুকে পাবলিকের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন মোদিজি। কেউ ধন্য ধন্য করেছে, কেউ আবার দুয়ো দিয়েছে। কিন্তু মোদ্দা ব্যাপার হল, প্রত্যেকেই তাকে শুনেছে। গুরুত্ব দিয়ে। এটাই তাঁর সাফল্য। এটাই মার্কেটিং পলিসি। প্রত্যেকের মাথার মধ্যে ঢুকে পড়ো। বসার ঘর থেকে রান্নাঘরে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অথরিটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল না। ফল বেরতেই বোঝা গিয়েছে, সময় খারাপ যেতে শুরু করেছে তাঁর। তিনি বললেই সেটা বেদবাক্য হচ্ছে না। তিনি বললেই সেটা ইস্যু হচ্ছে না। কাজেই নতুন করে নজর মার্কেটিং পলিসিতে। লক্ষ করবেন, মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডের ভোট শিয়রে আসতেই রোজগার মেলা আবার শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কিন্তু এতদিন বন্ধই ছিল। আর এবারের রোজগার মেলায় যে ৫১ হাজার ২৪৬ জন নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের একটা বড় অংশই কিন্তু মহারাষ্ট্রের। প্রশ্ন হল, কেন হঠাৎ মহারাষ্ট্র নিয়ে এত মাথাব্যথা শুরু হয়েছে নরেন্দ্র মোদির? প্রধান কারণ, অথরিটি। কর্তৃত্ব। যেভাবে হোক মহারাষ্ট্র তাঁকে ধরে রাখতেই হবে। কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্যই। হরিয়ানায় বহু আসনেই খুব কম মার্জিনে জিতেছে বিজেপি। সে নিয়ে বিতর্কও কম হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে তাঁর সত্যিকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে। মারাঠা-রাজ্য যদি হেলায় জেতার মতো অবস্থায় তিনি নিয়ে যেতে না পারেন, দলের অন্দর মহলই তাঁকে বাঁকা চোখে দেখবে। এমনিতেই সঙ্ঘ তাঁর উপর আপার হ্যান্ড নিতে শুরু করেছে। সাফ বলে দিয়েছে, বিজেপিকে ‘টিকিয়ে’ রাখতে হলে উগ্র হিন্দুত্বে ফিরতেই হবে। সেই পথে হাঁটা শুরুও হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। গেরুয়া শিবিরের কোর ব্রিগেডই ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে মোদিজির উপর তেমন ভরসা রাখতে পারছে না। প্রমাণ? সভার সংখ্যা। ভোটপর্বে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে মহারাষ্ট্রজুড়ে ৫০টি সভার কর্মসূচি ধরানো হয়েছে। নীতিন গাদকারিকে ৪০, অমিত শাহ ২০, যোগী আদিত্যনাথ ১৫। আর নরেন্দ্র মোদি? মাত্র আটটি। এর অবশ্য একটা অন্য প্রচারও আছে—হেরে গেলেও সব দায় মোদিজির কাঁধে চাপবে না। কিন্তু তারপর? অবশ্যই অথরিটি ধাক্কা খাবে নরেন্দ্র মোদি নামক ‘মিথে’র। ঝাড়খণ্ডে জয় পেলেও সেই সাফল্য ধূসর হয়ে যাবে। পূর্বের এই রাজ্যের জন্য চেষ্টাও অবশ্য কম করেননি মোদিজি। ২০১৯ সালে ভরাডুবির পর কেন্দ্রীয় প্রকল্প হাতিয়ার করে আদিবাসী এলাকায় পেনিট্রেশন বাড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। ওই এলাকায় বারবার গিয়েছেন, উন্নয়নের কাজে গতি এনেছেন এবং বিজেপির অবস্থান ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে অবশ্য অপারেশন লোটাসের ভারেই সব চাপা পড়েছে। নরেন্দ্র মোদি খুব ভালোভাবে জানেন, মহারাষ্ট্রে হার মানে দুই ‘প্রধান শরিকের’ (সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে) দাঁত-নখ আরও বেরিয়ে আসবে। নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, তাঁদের দু’টি দলের উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির গরিমা। কর্তৃত্ব ও জনসমর্থনে ধাক্কা মানে ব্ল্যাকমেল আরও বাড়বে। আবার উঠবে প্যাকেজ ও স্টেটাসের দাবি। প্রথমেই যে বললাম, ঢলে পড়ায় নীতীশ কুমারের বড় মিল কপিল শর্মার সঙ্গে! পাল্টি খাওয়ার রাজনীতিকে কার্যত স্ট্যান্ড আপ কমেডির জায়গাতেই নিয়ে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদির আসন টলমল করলে তিনি যে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করবেন না, তেমন গ্যারান্টি ঈশ্বরের পক্ষে দেওয়াও অসম্ভব। আর চন্দ্রবাবু নাইডু? তাঁর আপ্তবাক্য হল, রাজনীতির শো মাস্ট গো অন। একবার গদি খুইয়েছেন। আর কোনও ঝুঁকি তিনি নেবেন না। অন্ধ্রপ্রদেশের ‘উন্নয়ন’ এবং কুর্সি বজায় রাখার জন্য তিনি সবকিছু করতে পারেন। ঠিক যেভাবে কপিল শর্মা তাঁর শোয়ের টিআরপি বাড়িয়ে চলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, শরিকদের মধ্যে ভাঙনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সেই সুযোগে শক্তি বাড়াবে কংগ্রেসও। সেটা মোদিজি কখনওই চাইবেন না। ৭৫ বছরের খাঁড়া এখনই ঝুলে রয়েছে মাথার উপর। তাঁরই বানানো নিয়ম, ওই বয়সের পর কেউ বড় পদে থাকতে পারবেন না। জনপ্রিয়তায় ধস নামলে ‘মোদি’ নামের ক্যারিশমা কিন্তু নিয়মের উপর আর খাটবে না। তাই যে করে হোক মহারাষ্ট্র তাঁর চাই। এখানেও প্রতিবন্ধকতা খুব কম নয়। কীভাবে?
১) লোকসভা ভোটের ফল। দল ভাঙাভাঙির খেলা এবং শিবসেনা ও এনসিপির কোমর ভেঙে দেওয়ার পরও রীতিমতো ধস নেমেছে বিজেপি তথা এনডিএর ভোট ব্যাঙ্কে। এনডিএর ২৪ আসনের জায়গায় মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ দখল করেছে ২৫টি। সবচেয়ে বড় কথা, উত্তর বা পশ্চিম মহারাষ্ট্র, বিদর্ভ, মারাঠাওয়াড়া ও মুম্বইয়ের এলাকাভিত্তিক ফলে কংগ্রেস ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপিকে। লাগাতার নেতিবাচক প্রচার, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে রসিকতার পরও হোঁচট খেতে হয়েছে গেরুয়া বাহিনীকে। বিধানসভা নির্বাচনে এই ফলের প্রভাব যে পড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে গেলে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। ২) বালাসাহেবের প্রতি মহারাষ্ট্রর আম জনতার সেন্টিমেন্ট। একনাথ সিন্ধে যতই দল ভেঙে আসুন, দলের দখল নিন না কেন... থ্যাকারে পদবির অধিকারী তিনি নন। উদ্ধব থ্যাকারে কিন্তু সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন এবং লাগাচ্ছেন। ৩) বিক্ষুব্ধ প্রার্থী। বিজেপিরই বহু নেতা-মন্ত্রী এবার টিকিট পাননি। এবং তাঁরা সহজে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেবেন, সেটা হচ্ছে না। ফল? ৩৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এখন মহা গোঁজ হয়ে দেখা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির কাছে। তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় আশঙ্কার ব্যাপার হল, অমিত শাহ বোঝানোর পরও বরফ গলছে না। আর তাই এখন মোক্ষম প্রশ্নটা হল, মহারাষ্ট্র নিয়ে মোদিজি নিজেই কনফিডেন্স ধরে রাখতে পারবেন তো?
সবাই ব্যবসা করতে নেমেছে। তা সে টিভিওয়ালা হোক, বা রাজনীতিওয়ালা। টিভিওয়ালা রবি ঠাকুরের সৃষ্টি নিয়ে ছেলেখেলা করে টিআরপি বাড়াচ্ছেন। আর রাজনীতিওয়ালা ভোটের মুখে জনসভায় দাঁড়িয়ে সেই রবি ঠাকুরের সৃষ্টিই ভুলভাল উচ্চারণে বদলে দিচ্ছেন। লক্ষ্য দু’জনেরই এক—জনতা। এটাই মার্কেটিং পলিসি। মোদিজিও তো এটাই চালিয়ে যাচ্ছেন... হিট হ্যায়, তো ফিট হ্যায়। 
05th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। বিশদ

09th  November, 2024
পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। বিশদ

08th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পবাদের প্রত্যাবর্তন
মৃণালকান্তি দাস

ইজরায়েলি দার্শনিক ইউভাল নোয়া হারারি তাঁর ‘নেক্সাস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফরমেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারি না, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ায়, তারা সব সময়ই ব্যর্থ হয়।’
বিশদ

07th  November, 2024
ভারতীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন ভাবনা
রাহুল গান্ধী

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল। কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা-মাহাত্ম্যে কেউ নির্বাক হয়ে যায়নি, বরং তারা ভারতবাসীর টুঁটি চেপে ধরেছিল। আমাদের দেশীয় মহারাজা ও নবাবদের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে—ঘুষ এবং হুমকির মাধ্যমে এক শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি কায়েম করেছিল কোম্পানি। বিশদ

06th  November, 2024
ছাব্বিশের ইঙ্গিত দেবে এই উপ নির্বাচন
হারাধন চৌধুরী

বিজেপির আস্থা চমকেই। নরেন্দ্র মোদি যে অনবদ্য রাজনীতির আমদানি করেছেন, বঙ্গ বিজেপি আত্মস্থ করেছে সেটাই। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির আবির্ভাব, উত্থান থেকে সরকার পরিচালনা এবং বিদেশ নীতি—সব মিলিয়ে এক চমকের সিরিজ উপহার পেয়েছে ভারত। বিশদ

06th  November, 2024
সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
প্রায় দু’বছর আগে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর ছয় সহযোগীর ...

দোকান থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে আলতাপুর-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ঝাপরটোল বাজারে। মৃতের নাম রবিউল ইসলাম (৫০)। বাড়ি রাঘবপুর ঘনটোলা গ্ৰামে। ...

ট্যংরায় ১২ বছরের কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অপরাধে প্রোমোটার সুদর্শন চন্দকে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত। বুধবার শিয়ালদহের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ওই আদেশ দিয়েছেন। ...

ব্যবস্থা অনলাইনেই। অভিযোগ, তারপরেও যাবতীয় নথির হার্ড কপি দেখতে চাইছেন অনেক আধিকারিক। এর ফলে ইএসআইয়ের মাতৃত্বকালীন পরিষেবা পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মহিলা গ্রাহকদের একাংশকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
বিশ্ব হাঁটা দিবস
শিশু দিবস
রসগোল্লা দিবস
১৫৩৩: স্পেনীয়রা দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ইকুয়েডর আবিষ্কার এবং দখল করে
১৬৬৬: দুই কুকুরের দেহে প্রথম রক্ত সঞ্চালন করা হয়
১৭৮০: ব্রিটিশরাজ ‘বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে
১৮৩১: ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়ে তিতুমীর শহীদ হন
১৮৬৫: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘পদ্মাবতী’ নাটক প্রথম অভিনীত হয়
১৮৮৯: পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্ম
১৮৯৬: নায়াগ্রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়
১৯০৮: আলবার্ট আইনষ্টাইন প্রথম, আলোক-সংক্রান্ত কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন
১৯২০: স্বাধীনতা সংগ্রামী রাজা সুবোধচন্দ্র বসু মল্লিকের মৃত্যু 
১৯২২: যুক্তরাজ্য থেকে বিবিসি (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম বিবিসি রেডিও প্রচার শুরু হয়
১৯৩৫: অভিনেতা নিমু ভৌমিকের জন্ম
১৯৬৯: ব্রিটেনে রঙিন টিভি সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৬৯: তিন মার্কিন নভোচারী চার্লস কনরাড, গর্ডন কুপার ও অ্যালান বিনা অ্যাপোলো-১২ নভোযানে চড়ে চাঁদে যাত্রা করেন 
১৯৭১: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের জন্ম
২০২২: ডুবন্ত টাইটানিক থেকে বেঁচে যাওয়া ও বিশ্ব ইতিহাসের একের পর এক ঘটনার সাক্ষী থাকা নারী ভার্জিনিয়া।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৮ টাকা ৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮০ টাকা ১০৯.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৮.০৩ টাকা ৯১.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৯/৩৮ দিবা ৯/৪৪। অশ্বিনী নক্ষত্র ৪৬/৪০ রাত্রি ১২/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৫২/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
২৮ কার্তিক ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ৭/৩৫ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৫/১৫। অশ্বিনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৪/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৪ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে ও ৪/২২ গতে ৫/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে। 
১১ জমাদিয়স আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভ্যাটে ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ
বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভ্যাটের মধ্যে পড়ে রয়েছে ...বিশদ

11:56:11 AM

গ্রেটার নয়ডায় ৭ বছরের বাচ্চার ভুল চোখ অপারেশন করে দিল চিকিৎসক, বাম চোখের বদলে সার্জারি হল ডান চোখে!

11:46:00 AM

ফের সেনসেক্সে পতন, ২১৯ পয়েন্ট নামল সূচক

11:33:00 AM

ট্যাব কাণ্ড: কলকাতা পুলিসের হাতে এল নতুন তিনটি অভিযোগ
ট্যাবের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে কলকাতাতেও। গতকাল পর্যন্ত এমন ...বিশদ

11:19:04 AM

বাহারিনে আন্তর্জাতিক এয়ার শো’তে অংশ নিচ্ছে ভারত

11:18:00 AM

সাতসকালে গাজিয়াবাদে স্কুলবাসে আগুন, পৌঁছেছে দমকল

11:06:00 AM