Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন।
কপিল শর্মার সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর মিল কোথায়? দু’জনেই টিআরপি বাঁচানোর জন্য (কুর্সি বললেও ভুল নয়) চেষ্টা এবং অপেক্ষা, দুটোই শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন।
কপিল শর্মার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির মিল কোথায়? দু’জনের কাছেই মার্কেটিংটা শেষ কথা।
শিরোনামে কপিল শর্মা। এমনিতেই সঞ্চালনা এবং কমেডির জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি। এবার একটু বাড়তি শিরোনাম দখল করেছেন কপিল। অমৃতসরের সাধারণ ঘর থেকে উঠে আসা যুবক। স্ট্যান্ড আপ কমেডি করেছেন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক শো’তে অংশ নিয়েছেন, তারপর ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন নিজের জায়গা। কী পারেন, সেটা তাঁর জাহির করার বিষয় নয়। বরং দুর্বলতাকেই এনক্যাশ করেন কপিল। তিনি ইংরেজি ভালো বোঝেন না। এলিট ক্লাসের লোকজনের সঙ্গে নিয়মিত ওঠা-বসা করেন, অথচ বুঝিয়ে দেন তিনি ওঁদের গোত্রের নন। দামি ব্র্যান্ডের পোশাক পরেন, কিন্তু পাবলিককে দেখান যে, তিনি সে সবের নামই জানেন না। বলিউডে থেকেও নিজেকে ছোট এবং ভিন্ন দেখানোটাও যে জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হতে পারে, সেটা প্রমাণ করেছেন কপিল শর্মা। ইদানীং তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কেন? রবি ঠাকুরকে নিয়ে মশকরা করেছেন তিনি। নিজের শোয়ে বসে ‘একলা চলো রে’ গানটিকে খিল্লির পর্যায়ে নামিয়েছেন। পাশে বসে অভিনেত্রী কাজল (রক্তে বাঙালি, যদিও বেড়ে ওঠায় নয়) খিল খিল করে হেসেওছেন। তাতেই বেজায় ক্ষিপ্ত বাঙালির ইন্টেলেকচুয়াল মহল। প্রতিবাদের ঝড় উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, কপিল শর্মা আসলে পুরো চিত্রনাট্যই সাজিয়েছেন নিজের শোয়ের কথা ভেবে। যাঁরা তাঁর অনুষ্ঠান দেখেন, তাঁদের নিয়ে কপিল চিন্তিত নন। বরং ইন্টেলেকচুয়াল যে শ্রেণি তাঁর সঞ্চালনা এবং অনুষ্ঠানকে ‘লঘু’ বলে মনে করে দূরে সরিয়ে রাখেন, তাঁদের টেনে এনেছেন তিনি। বিতর্কের নামে তাঁরা চ্যানেল বা ওটিটিতে কপিল শর্মাকে দেখছেন। অর্থাৎ, পুরোটাই মার্কেটিং পলিসি। গত ১০ বছর ধরে এই নীতিই আমরা দেখে আসছি নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতার অলিন্দে। উরি হামলা হোক, নোট বাতিল বা মঙ্গলসূত্র... এক একটি ইস্যুকে পাবলিকের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন মোদিজি। কেউ ধন্য ধন্য করেছে, কেউ আবার দুয়ো দিয়েছে। কিন্তু মোদ্দা ব্যাপার হল, প্রত্যেকেই তাকে শুনেছে। গুরুত্ব দিয়ে। এটাই তাঁর সাফল্য। এটাই মার্কেটিং পলিসি। প্রত্যেকের মাথার মধ্যে ঢুকে পড়ো। বসার ঘর থেকে রান্নাঘরে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অথরিটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল না। ফল বেরতেই বোঝা গিয়েছে, সময় খারাপ যেতে শুরু করেছে তাঁর। তিনি বললেই সেটা বেদবাক্য হচ্ছে না। তিনি বললেই সেটা ইস্যু হচ্ছে না। কাজেই নতুন করে নজর মার্কেটিং পলিসিতে। লক্ষ করবেন, মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডের ভোট শিয়রে আসতেই রোজগার মেলা আবার শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কিন্তু এতদিন বন্ধই ছিল। আর এবারের রোজগার মেলায় যে ৫১ হাজার ২৪৬ জন নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের একটা বড় অংশই কিন্তু মহারাষ্ট্রের। প্রশ্ন হল, কেন হঠাৎ মহারাষ্ট্র নিয়ে এত মাথাব্যথা শুরু হয়েছে নরেন্দ্র মোদির? প্রধান কারণ, অথরিটি। কর্তৃত্ব। যেভাবে হোক মহারাষ্ট্র তাঁকে ধরে রাখতেই হবে। কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্যই। হরিয়ানায় বহু আসনেই খুব কম মার্জিনে জিতেছে বিজেপি। সে নিয়ে বিতর্কও কম হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে তাঁর সত্যিকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে। মারাঠা-রাজ্য যদি হেলায় জেতার মতো অবস্থায় তিনি নিয়ে যেতে না পারেন, দলের অন্দর মহলই তাঁকে বাঁকা চোখে দেখবে। এমনিতেই সঙ্ঘ তাঁর উপর আপার হ্যান্ড নিতে শুরু করেছে। সাফ বলে দিয়েছে, বিজেপিকে ‘টিকিয়ে’ রাখতে হলে উগ্র হিন্দুত্বে ফিরতেই হবে। সেই পথে হাঁটা শুরুও হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। গেরুয়া শিবিরের কোর ব্রিগেডই ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে মোদিজির উপর তেমন ভরসা রাখতে পারছে না। প্রমাণ? সভার সংখ্যা। ভোটপর্বে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে মহারাষ্ট্রজুড়ে ৫০টি সভার কর্মসূচি ধরানো হয়েছে। নীতিন গাদকারিকে ৪০, অমিত শাহ ২০, যোগী আদিত্যনাথ ১৫। আর নরেন্দ্র মোদি? মাত্র আটটি। এর অবশ্য একটা অন্য প্রচারও আছে—হেরে গেলেও সব দায় মোদিজির কাঁধে চাপবে না। কিন্তু তারপর? অবশ্যই অথরিটি ধাক্কা খাবে নরেন্দ্র মোদি নামক ‘মিথে’র। ঝাড়খণ্ডে জয় পেলেও সেই সাফল্য ধূসর হয়ে যাবে। পূর্বের এই রাজ্যের জন্য চেষ্টাও অবশ্য কম করেননি মোদিজি। ২০১৯ সালে ভরাডুবির পর কেন্দ্রীয় প্রকল্প হাতিয়ার করে আদিবাসী এলাকায় পেনিট্রেশন বাড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। ওই এলাকায় বারবার গিয়েছেন, উন্নয়নের কাজে গতি এনেছেন এবং বিজেপির অবস্থান ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে অবশ্য অপারেশন লোটাসের ভারেই সব চাপা পড়েছে। নরেন্দ্র মোদি খুব ভালোভাবে জানেন, মহারাষ্ট্রে হার মানে দুই ‘প্রধান শরিকের’ (সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে) দাঁত-নখ আরও বেরিয়ে আসবে। নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, তাঁদের দু’টি দলের উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির গরিমা। কর্তৃত্ব ও জনসমর্থনে ধাক্কা মানে ব্ল্যাকমেল আরও বাড়বে। আবার উঠবে প্যাকেজ ও স্টেটাসের দাবি। প্রথমেই যে বললাম, ঢলে পড়ায় নীতীশ কুমারের বড় মিল কপিল শর্মার সঙ্গে! পাল্টি খাওয়ার রাজনীতিকে কার্যত স্ট্যান্ড আপ কমেডির জায়গাতেই নিয়ে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদির আসন টলমল করলে তিনি যে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করবেন না, তেমন গ্যারান্টি ঈশ্বরের পক্ষে দেওয়াও অসম্ভব। আর চন্দ্রবাবু নাইডু? তাঁর আপ্তবাক্য হল, রাজনীতির শো মাস্ট গো অন। একবার গদি খুইয়েছেন। আর কোনও ঝুঁকি তিনি নেবেন না। অন্ধ্রপ্রদেশের ‘উন্নয়ন’ এবং কুর্সি বজায় রাখার জন্য তিনি সবকিছু করতে পারেন। ঠিক যেভাবে কপিল শর্মা তাঁর শোয়ের টিআরপি বাড়িয়ে চলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, শরিকদের মধ্যে ভাঙনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সেই সুযোগে শক্তি বাড়াবে কংগ্রেসও। সেটা মোদিজি কখনওই চাইবেন না। ৭৫ বছরের খাঁড়া এখনই ঝুলে রয়েছে মাথার উপর। তাঁরই বানানো নিয়ম, ওই বয়সের পর কেউ বড় পদে থাকতে পারবেন না। জনপ্রিয়তায় ধস নামলে ‘মোদি’ নামের ক্যারিশমা কিন্তু নিয়মের উপর আর খাটবে না। তাই যে করে হোক মহারাষ্ট্র তাঁর চাই। এখানেও প্রতিবন্ধকতা খুব কম নয়। কীভাবে?
১) লোকসভা ভোটের ফল। দল ভাঙাভাঙির খেলা এবং শিবসেনা ও এনসিপির কোমর ভেঙে দেওয়ার পরও রীতিমতো ধস নেমেছে বিজেপি তথা এনডিএর ভোট ব্যাঙ্কে। এনডিএর ২৪ আসনের জায়গায় মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ দখল করেছে ২৫টি। সবচেয়ে বড় কথা, উত্তর বা পশ্চিম মহারাষ্ট্র, বিদর্ভ, মারাঠাওয়াড়া ও মুম্বইয়ের এলাকাভিত্তিক ফলে কংগ্রেস ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপিকে। লাগাতার নেতিবাচক প্রচার, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে রসিকতার পরও হোঁচট খেতে হয়েছে গেরুয়া বাহিনীকে। বিধানসভা নির্বাচনে এই ফলের প্রভাব যে পড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে গেলে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। ২) বালাসাহেবের প্রতি মহারাষ্ট্রর আম জনতার সেন্টিমেন্ট। একনাথ সিন্ধে যতই দল ভেঙে আসুন, দলের দখল নিন না কেন... থ্যাকারে পদবির অধিকারী তিনি নন। উদ্ধব থ্যাকারে কিন্তু সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন এবং লাগাচ্ছেন। ৩) বিক্ষুব্ধ প্রার্থী। বিজেপিরই বহু নেতা-মন্ত্রী এবার টিকিট পাননি। এবং তাঁরা সহজে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেবেন, সেটা হচ্ছে না। ফল? ৩৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এখন মহা গোঁজ হয়ে দেখা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির কাছে। তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় আশঙ্কার ব্যাপার হল, অমিত শাহ বোঝানোর পরও বরফ গলছে না। আর তাই এখন মোক্ষম প্রশ্নটা হল, মহারাষ্ট্র নিয়ে মোদিজি নিজেই কনফিডেন্স ধরে রাখতে পারবেন তো?
সবাই ব্যবসা করতে নেমেছে। তা সে টিভিওয়ালা হোক, বা রাজনীতিওয়ালা। টিভিওয়ালা রবি ঠাকুরের সৃষ্টি নিয়ে ছেলেখেলা করে টিআরপি বাড়াচ্ছেন। আর রাজনীতিওয়ালা ভোটের মুখে জনসভায় দাঁড়িয়ে সেই রবি ঠাকুরের সৃষ্টিই ভুলভাল উচ্চারণে বদলে দিচ্ছেন। লক্ষ্য দু’জনেরই এক—জনতা। এটাই মার্কেটিং পলিসি। মোদিজিও তো এটাই চালিয়ে যাচ্ছেন... হিট হ্যায়, তো ফিট হ্যায়। 
05th  November, 2024
আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন
তন্ময় মল্লিক

আজ ৭ ডিসেম্বর। ‘বর্তমান’-এর  জন্মদিন। আজ গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর দিন। প্রয়াত সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর হাত ধরে যে ‘বর্তমান’ পথচলা শুরু করেছিল, তার বয়স চল্লিশ পূর্ণ হল। এখনও আমরা শুধু ঘটনার কথাই বলি না, খবরের ভিতরের খবরকেও মানুষের সামনে নিয়ে আসি। বিশদ

ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

06th  December, 2024
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
একনজরে
মিটিং-মিছিল বা সভা-সমাবেশে গোলমাল পাকাচ্ছে কারা, তাই নিয়ে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে লালবাজার। যাতে তাদের সম্পর্কে আগাম সচেতন হওয়া যায়।  বিক্ষোভরতদের মধ্যে কারা উস্কানি দিচ্ছে, সেটি ...

আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আয়ূষ সেন্টার খুলে সরকার পরিষেবা দিচ্ছে। এবার রাজ্যজুড়ে আয়ূষের সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ...

শীতের পোশাক সহ কম্বল কেজি দরে বিক্রি করতে  করণদিঘি, টুঙ্গিদিঘি ও ডালখোলা বাজারে হাজির উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ীরা। জাতীয় সড়কের পাশেই অস্থায়ী দোকান করে বিক্রি হচ্ছে শীতকালে ব্যবহার করা জিনিস। ...

গোলাপি বলের টেস্টের পয়লা দিনেই চাপে ভারত। পারথে ২৯৫ রানে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে চেনা আগ্রাসী মেজাজে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের টেস্ট কেরিয়ারের সেরা বোলিং ১৮০ রানে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মরশুমি রোগের ভোগান্তিতে স্বাস্থ্যহানির যোগ প্রবল। কাজকর্মে কিছুটা আলস্য ভাব আসতে পারে। বিদ্যায় উন্নতির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ দিবস
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবস
১৭৮২: মহীশূরের রাজা হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন টিপু সুলতান
১৭৮২: মহীশুরের বীর যোদ্ধা হায়দার আলীর মৃত্যু
১৮৫৬: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান হয়
১৮৭২: বাংলায় প্রথম নাট্যশালা ন্যাশনাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পণ নাটক মঞ্চস্থ হয়
১৮৭৯: বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীনের জন্ম
১৮৮৯: পৃথিবীর প্রথম অটোমোবাইল তৈরি হয়
১৯১৫: ভারতে প্রথম মানব হৃদয় ট্রান্সপ্লান্টের শল্যচিকিৎসক  প্রফুল্লকুমার সেনের জন্ম
১৯৩৩: সাহিত্যিক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ওরফে শঙ্করের জন্ম
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপান কর্তৃক পার্ল হারবার আক্রমণ   ১৯৫৪: বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়ালের জন্ম     
১৯৭০: অভিনেতা-কমেডিয়ান আলি আজগারের জন্ম
১৯৭১: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় করাচি বন্দরে হানা দিল ভারতীয় নৌবাহিনী
১৯৮৪: বিশিষ্ট সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তর সম্পাদনায় বর্তমান পত্রিকার প্রকাশনা শুরু
১৯৯১: রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং স্বাধীন রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কমনওয়েলথ গঠন করলেন
২০০৯: বাগদাদে বোমা হামলায় নিহত ১২৭ এবং আহত ৪৪৮ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৩ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.১২ টাকা ১০৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৯০ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১২/২৮ দিবা ১১/৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৬/৪৮ সন্ধ্যা ৪/৫১। সূর্যোদয় ৬/৮/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৮/৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ৯/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ 
৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৮ গতে ২/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৮ গতে উদয়াবধি। 
২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ৯/২০। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ৯/৫২ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩১ গতে ৪/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/৯ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৪/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৪/২৯ গতে ৬/১০ মধ্যে।
৪ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিনের উপর মরণঝাঁপ
ট্রেনের ইঞ্জিনের উপর ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। গতকাল, ...বিশদ

11:10:00 AM

অজিত পাওয়ারের বাজেয়াপ্ত করা ১০০০ কোটির সম্পত্তি মুক্ত করল আয়কর বিভাগ

10:58:00 AM

পিঙ্ক বল টেস্ট (২য় দিন, প্রথম ইনিংস): হাফ সেঞ্চুরি করলেন লাবুস্যানে, অস্ট্রেলিয়া ১৫৬/৩, (ভারত-১৮০)

10:57:00 AM

বনগাঁয় প্রাথমিকে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ, ধৃত ১

10:49:00 AM

বনগাঁ স্টেশনে লাইনে ফাটল, প্রায় এক ঘন্টা পর গড়াল ট্রেনের চাকা

10:45:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: বিদ্যায় উন্নতির যোগ। বৃষ: কাজকর্মে সাফল্য ও খ্যাতির সম্ভাবনা। মিথুন: পারিপার্শ্বিক জটিলতার কারণে মানসিক ...বিশদ

10:35:47 AM