Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই লড়াই অপপ্রচারের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাসের
তন্ময় মল্লিক

আর জি কর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থা অনেকটা ‘বেল পাকলে কাকের কী!’ জাস্টিসের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, মানুষও হয়েছে আলোড়িত। কিন্তু তার সুবিধে বিরোধীরা ভোটে পাবে কি না, এই উপ নির্বাচনে হবে তার পরীক্ষা। ভোটের ফলে বোঝা যাবে, সোশ্যাল মিডিয়া নিছকই মনের জ্বালা মেটানোর প্ল্যাটফর্ম, নাকি জনমত তৈরির ক্ষমতাও সে রাখে! তাই বাংলায় ছাব্বিশের মহারণের আগে ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলগুলিরই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার বিপ্লবীদেরও অ্যাসিড টেস্ট। 
লোকসভা ভোটে দেশের শাসক দল সাধারণত কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পায়। চব্বিশের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিরোধীদের কোনও সর্বসম্মত প্রার্থীই ছিল না। তাই হ্যাং পার্লামেন্ট, ফের ভোট প্রভৃতির আশঙ্কায় ফ্লোটিং ভোটারদের একটা বড় অংশ বিজেপির দিকে গিয়েছিল। আবার বিধানসভা উপ নির্বাচনে সাধারণত অ্যাডভান্টেজ পেয়ে থাকে রাজ্যের শাসক দল। তবে উল্টোটাও হয়। তাকে ব্যতিক্রমী বলাই ভালো। প্রার্থী বাছাই ঠিক না হওয়ায় জেতা আসনের উপ নির্বাচনেও হেরেছিল তৃণমূল। উদাহরণ সাগরদিঘি।
এবার যে ছ’টি আসনে উপ নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে মূল আকর্ষণ মাদারিহাটকে ঘিরে। একুশের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল। লোকসভা ভোটেও এগিয়েছিল। এখন প্রশ্ন, উপ নির্বাচনেও বিজেপি কি সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখতে পারবে? 
অনেকে মনে করেন, মনোজ টিগ্গার জন্য মাদারিহাটে বিজেপির মাটি কিছুটা হলেও শক্ত হয়েছে, একই সঙ্গে বেড়েছে দ্বন্দ্বও। আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বার্লাকে ছেঁটে টিগ্গাকেই টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। মনোজ জিতেছেন ঠিকই। কিন্তু বিজেপির অন্দরের ফাটল চওড়া হয়েছে। জন বার্লা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। ফলে চা বাগানে বিজেপির ভোট ভাগাভাগি নিশ্চিত।
একুশের নির্বাচনে মাদারিহাটে বিজেপি জিতেছিল প্রায় ২৯ হাজার ভোটে। লোকসভা নির্বাচনে তা নেমে এসেছে ১১ হাজারে। এবার আরও ধস নামার আশঙ্কা। তা সত্ত্বেও রাহুলকে প্রার্থী করেছেন মনোজ। রাহুল জিতলে দলে টিগ্গাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কেউ থাকবে না। এমনকী, তাঁর কপালে জুটতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বও। আর রাহুল হারলে? চাপে পড়বেন মনোজ। তাই মাদারিহাটের লড়াই যতটা বিজেপি-তৃণমূলের, ঠিক ততটাই মনোজ টিগ্গা-জন বার্লার।
মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। বাম আমলের দাপুটে সিটু নেতা তারকেশ্বর লোহারের ছেলে রাহুলকে বিজেপি প্রার্থী করায় অনেকেই চা-বাগানে ‘লাল সন্ত্রাসে’র দিনগুলো ফিরে আসার ভয় পাচ্ছেন। চা-বাগানে মিটিং, মিছিল, প্রচার জোরকদমে চলছে। তবে, এই আসনের ললাট লিখন হবে ১২ নভেম্বর রাতে। লোকে বলে, চা-বাগানে ভোটের আগের রাতটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘অতিথি আপ্যায়নে’র উপরেই ঠিক হয় বাগানের ভোটের অভিমুখ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ অধিকারীকে হারিয়ে ছিলেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বাসনিয়া। তারপর থেকেই কোচবিহারে বিজেপির ছন্নছাড়া অবস্থা। সিতাইয়ে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে। লড়াইয়ে ফিরতে মরিয়া বিজেপি নেমেছে ব্যক্তি আক্রমণে। তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় বাসনিয়ার সঙ্গে জগদীশবাবুর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বৈধ না অবৈধ, এই প্রশ্ন তুলে বাজার গরম করছে। তাতে ভোটে প্রভাব পড়বে কি না বলা কঠিন। কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে রেকর্ড ভোটে জেতানোর শপথ নিয়েছেন। সেটা বিজেপির জন্য একটু বেশিই চাপের হতে পারে।
বাঁকুড়ার তালডাংরা আসনে উপ নির্বাচন হচ্ছে। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’ হয়েছিলেন মুনমুন সেন। তাতে তৃণমূল এককালীন লাভ ঘরে তুলেছিল। কিন্তু ক্ষতি হয়েছিল দীর্ঘমেয়াদি। বীরভূমের শতাব্দী রায়ের মতো মুনমুন সেন ‘জনপ্রতিনিধি’ হতে পারেননি, ‘সেলিব্রিটি’ ইমেজেই আটকে ছিলেন। তারপর থেকে ‘সেলিব্রিটি’ ও কলকাতার প্রার্থীদের উপর বাঁকুড়ার ভোটারদের ভীষণ অনীহা। এই কারণেই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো ‘কাজের মানুষ’ও বাঁকুড়ায় হেরেছিলেন। একুশের ভোটে হেরেছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকাও। এবার ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবি মানতেই কিস্তিমাত। জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। তাতেই সুভাষ সরকারের মতো হেভিওয়েট নেতাকেও অরূপবাবু হারিয়ে দিলেন। পৌঁনে দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধান মুছে দিলেন অনায়াসে। অরূপ চক্রবর্তী জিতলেন প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে।
এবার উপ নির্বাচনেও তালডাংরার প্রার্থী হওয়ার জন্য কলকাতার এক তৃণমূল নেতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু লোকসভার কথা মাথায় রেখে তৃণমূল ভরসা রেখেছে সেই ভূমিপুত্রেই। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলার। তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তোলার কিছু নেই। কিন্তু গায়ে লেগে রয়েছে তৃণমূলের গন্ধ। প্রার্থী হওয়ার কয়েক দিন আগেই সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপি হয়েছেন তিনি। তাই বিজেপিতে জমেছে ক্ষোভ। কেউ ক্ষোভে বসে গিয়েছেন, কেউ আবার ‘দলবদলু’দের টিকিট দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যোগদান প্রক্রিয়া অব্যাহত। তাতে বিজেপির জন্য লড়াইটা একটু বেশিই কঠিন হয়ে গেল।
প্রার্থী নির্বাচন সঠিক হলে কঠিন লড়াইও সহজ হয়। আর ভুল হলেই ‘সাগরদিঘি’। জেতা আসনও হাতছাড়া হয়। তাই উপ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। মেদিনীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ভূমিপুত্র সুজয় হাজরা। জেলা সভাপতি। সাংগঠনিক মানুষ। এটা তৃণমূলের বাড়তি অ্যাডভান্টেজ। তবে, এখানে দিলীপ ঘোষকে বিজেপি প্রার্থী করলে ‘খেলা’টা জমে যেত। তৃণমূল লড়াইটা এত হালকা চালে নেওয়ার সাহস পেত না। 
নৈহাটি কেন্দ্রেও অর্জুন সিংকে প্রার্থী করার পক্ষে ছিল বিজেপির একাংশ। তাতেও লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতো, এমনটা বলা যায় না। কারণ লোকসভা ভোটে নৈহাটিতে তৃণমূলের পার্থ ভৌমিকের চেয়ে অর্জুনবাবু প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার ভোট কম পেয়েছেন। অর্জুনকে প্রার্থী না করলেও নৈহাটি কেন্দ্র নজর কেড়েছে। সৌজন্যে সিপিএম। ডুবন্ত সিপিএম বাঁচার জন্য যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই আঁকড়ে ধরছে। এবার সঙ্গী নকশাল। তবে, এই ‘আচমকা জোট’ সিপিএমেরই অনেকে মানতে পারছেন না। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভোট পেলে বুঝতে হবে, সেলিম সাহেবদের বৃহত্তর বামঐক্য গড়ার ইচ্ছায় সায় নেই দলের নিচুতলার।
উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া কেন্দ্রের জয়-পরাজয় নিয়ে চর্চা অর্থহীন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ‘দেবী দুর্গা’র প্রতীক রেখা পাত্র হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ২৩৫টি ভোট। তৃণমূলের নুরুল ইসলাম পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৫৬টি ভোট। ব্যবধান প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার। আর সিপিএমের নিরাপদ সর্দ্দার? সিপিএমের দাবি মোতাবেক, যিনি না থাকলে ‘সন্দেশখালি কাণ্ড’ মানুষ নাকি জানতেই পারত না, সেই নিরাপদবাবু পেয়েছেন ৭৪৭০ ভোট। সিপিএম বুঝেছে, আর জি কর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোলানো মিথ্যের ফানুসে আলপিন ফোটানোর জন্য হাড়োয়া একাই যথেষ্ট। সেইজন্যই কি সিপিএম দলীয় প্রার্থী না দিয়ে আইএসএফকে ‘হাড়িকাঠে’ চড়িয়ে দিল?
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদকে ‘গণআন্দোলনে’র পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। ব্যক্তিগত লালসার পরিণতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ‘প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাসে’র মোড়কে মোড়ার মরিয়া চেষ্টা হয়েছিল। নানা বিকৃত ও ভুয়ো তথ্যে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফেসবুক পেজ। পরিকল্পিতভাবে ‘সূত্রের খবরে’র মোড়কে ছড়ানো হয়েছিল বিদ্বেষের বিষ। সেই বিষের ছোবলে ক্ষিপ্ত মানুষ শামিল হয়েছিল রাতদখল, ভোরদখল কর্মসূচিতে। একথা ঠিক, এমন আন্দোলন আগে দেখেনি বাংলা। তবে এমন পরিকল্পিত মিথ্যাচারও বাংলায় এই প্রথম। অনেকে মনে করেন, একমাত্র ১৪ আগস্টই হয়েছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। পরে বাম ও অতিবামেদের সৌজন্যে তা শাসক বিরোধী শহুরে মধ্যবিত্তের আন্দোলনে পরিণত হয়। কর্পোরেটের উস্কানিতে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করার সেই চক্রান্ত জারি আছে এখনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তমাখা গ্লাভস ও অপারেশনের জংধরা ভাঙা কাঁচি সরকারি হাসপাতালের বলে চালানোর চেষ্টা, সেই প্রয়াসেরই অঙ্গ।
তাই এই উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলকে শুধু বিরোধীদের সঙ্গে নয়, লড়তে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার নেট নাগরিকদের বিরুদ্ধেও। এবারের লড়াইটা আক্ষরিক অর্থেই নেট নাগরিকের ভেকধারীদের মিথ্যে প্রচার ও আস্ফালনের সঙ্গে মানুষের বাস্তব উপলব্ধির। সোশ্যাল মিডিয়ার বিপ্লবীরা বাংলায় তিল তিল করে গড়ে তোলা মানুষের বিশ্বাসের প্রাসাদে আদৌ আঁচড় কাটতে পারল কি না, এবারের ভোটে হবে তারই অগ্নিপরীক্ষা।
09th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
একনজরে
রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তব রূপায়ণ ঘটানো এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া—সুনির্দিষ্ট এই বার্তাকে সামনে রেখে এবার একটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। ...

নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যেও এখনও হিংসার আগুন নেভেনি মণিপুরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ৯০ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার রাতে এই খবর জানা গিয়েছে। ...

বিহারের কিষানগঞ্জের সাইবার গ্যাংয়ের জালিয়াতির শিকার উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তারা কয়েক হাজার শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছে। ...

এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে প্রচুর টাকা। কিন্তু সেই নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। ব্যস্ততম স্ট্যান্ডে জল জমে থাকছে। ফলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পশ্চিমবঙ্গ উপ নির্বাচন: তালডাংরায় বিপুল ভোটে জয়ী ফাল্গুনী সিংহবাবু
তালডাংরায় ৩৪ হাজার ৮২ ভোটে জয়ী তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী ...বিশদ

03:22:00 PM

ময়নাগুড়িতে আটক ২০টি টোটো
ময়নাগুড়িতে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে জাতীয় সড়ক দিয়ে চলছে টোটো। ...বিশদ

03:21:00 PM

প্রথম টেস্ট (দ্বিতীয় দিন): দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৭১/০, যশস্বী ৮৯ রানে ব্যাটিং এবং কে এল রাহুল ৬২ রানে ব্যাটিং, লিড ২১৭ রানের

03:13:00 PM

উপ নির্বাচনের ছয় আসনে জয়লাভের পর আসানসোলে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস

03:02:00 PM

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন: ৫৭ আসনে এগিয়ে ইন্ডিয়া, ২৩টিতে এগিয়ে এনডিএ, অন্যরা এগিয়ে ১ আসনে (মোট আসন ৮১)

03:02:00 PM

মাদারিহাটে বিজেপির পরাজয়ের পরই বিস্ফোরক জন বারলা
উপ নির্বাচনে মাদারিহাটেও পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। এরপরই ...বিশদ

02:43:00 PM