Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুরুষতন্ত্র নারী ক্ষমতায়নের বিরোধী
সমৃদ্ধ দত্ত

এই যে কয়েকশ বছর ধরে কোনও নারীকে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী দেশ আমেরিকায় কিছুতেই রাষ্ট্রপ্রধান করা হল না, শুধু এটাই কি পুরুষতন্ত্রের উদাহরণ? অবশ্যই এর মধ্যে যতটা রাজনীতি আছে, ততটাই পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসন আছে। কিন্তু পুরুষতন্ত্র নিছক নারীর ক্ষমতায়নে বাধা দেওয়া নয়। পুরুষতন্ত্র সেটাও যেখানে ক্ষমতাসীন নারীকে অপমান করা হয় প্রতিনিয়ত। নারীকে সর্বদাই হেয় প্রতিপন্ন করতে আনন্দ হয়। কাকে বলে পুরুষতন্ত্র? ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা যখন কমলা হ্যারিসের সন্তানহীনতা সম্পর্কে ব্যঙ্গ করেন, সেটাকে বলে পুরুষতন্ত্র। তাঁর বাবা ব্ল্যাক, মা ভারতীয়, অতএব কমলা হ্যারিস কোনওটাই নয়। এই শ্লেষ হল পুরুষতন্ত্র। ঠিক এভাবেই আমেরিকা থেকে বহু দূরে একজন নারীর উপর চরম নির্যাতনের বিচার চাওয়ার নাগরিক আন্দোলনে কোনও এক মহানগরীর মিছিলে যখন পোস্টারে লেখা হয়, ‘কালীঘাটের ময়না/সত্য কথা কয় না’ সেটা হল পুরুষতন্ত্র। রাজনীতির বিরোধিতা না করে যখন শিক্ষিত সমাজের মুখ থেকে উল্লসিত ঘৃণার স্লোগান বেরিয়ে আসে ‘জোট বেঁধেছে বাঙাল ঘটি/ভয় পেয়েছে হাওয়াই চটি’, সেটাই পুরুষতন্ত্র। যখন বলা হয় ‘এক হয়েছে হাজার গলা/ভয় পেয়েছে চোদ্দ তলা’, তখন সেটি পুরুষতন্ত্র। কেন? কারণ পুরুষতন্ত্র ভাবে নারীদের ভয় পাওয়াই তাদের জয়। সেই নারী প্রশাসক মোবাইলের স্পিকার ফোনে ধর্মতলায় অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন তাঁর কণ্ঠ থামিয়ে অথবা  স্তিমিত করে দিতে সামনে জমায়েত থেকে উচ্চকিতভাবে আচমকা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকার করে হাসাহাসি করা হয় এবং সেই প্রশাসক যাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, সেই ‘মেধাবী’রা কোনও প্রতিবাদ করেন না, সেটাই পুরুষতন্ত্র। এসবের অর্থ কী? অর্থ হল, এই দেখো তোমাকে কেমন অপমান করলাম? এই দেখো, তোমায় অশিক্ষিত বলছি! ছোটলোক বলছি। এই যে নারী শাসকের প্রতি অবজ্ঞা এবং অপমান করে তৃপ্তি পাওয়া, এর নাম পুরুষতন্ত্র। বিধানবাবু, অজয়বাবু, সিদ্ধার্থবাবু, জ্যোতি বাবু, বুদ্ধবাবু বলা হয়েছে। কিন্তু একজন নারী সেই একই পদে বসলে তাঁকে নাম ধরে ডাকা হয়, ওটাই পুরুষতন্ত্র! 
সাতের দশকে ভারতের এক ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিরোধিতা করার জন্য যে রাজনৈতিক দলটি দেওয়াল লিখনে সেই নেত্রীকে ডাইনি হিসেবে অঙ্কন করত, ডাইনির হাত থেকে রক্ত পড়ছে দেখাতো, সেই কমিউনিস্ট পার্টির আড়ালে থাকা মনস্তত্ত্ব হল পুরুষতন্ত্র। পুরুষের হাতে যাতে ছোটখাটো শখ পূরণে হাত পাততে না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য যে প্রকল্পে নারীদের হাতে কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া হয়, সেটিকে ভিক্ষা আখ্যা দেওয়াই হল পুরুষতন্ত্র। 
অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করে বাহবা নেওয়ার পর আতিশী মার্লেনা নামক আম আদমি পার্টির নেত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় এই তো কয়েকমাস আগে। আতিশী যোগ্য, শিক্ষিত। কিন্তু তিনি নেতার প্রতি আনুগত্য দেখাতে কেজরিওয়ালের চেয়ারে বসেননি। কেজরিওয়ালের চেয়ারকে পাশে শূন্য অবস্থায় রেখে অন্য চেয়ারে বসে মুখ্যমন্ত্রিত্ব চালাচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইছেন তিনি অনুগত এক শিষ্যা। আসলে গুরুই মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেজরিওয়াল নিজে আতিশীর এই বিবৃতি কিংবা বক্তব্য অথবা অবস্থানের চরম বিরোধিতা করেননি। তিনি যেন এই ব্যবস্থাকে মেনে নিলেন। উপভোগ করলেন। তিনি না থেকেও যে প্রবলভাবে আছেন, এটাই প্রমাণ করার তাড়না। এটাই পুরুষতন্ত্র। আতিশীকে তাই তাঁর দলেরই কেউ মুখ্যমন্ত্রী মনে করে না। যেন তিনি স্টপগ্যাপ। সত্যিই তাই। 
কমলা হ্যারিস ভুল ভেবেছিলেন? নাকি তিনি জানতেন? ২৩ অক্টোবর তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জোর গলায় বলেছিলেন, আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আমেরিকা একজন মহিলাকে প্রেসিডেন্ট করতে এখন প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, আ উওম্যান উইথ কালার। প্রসঙ্গত, আজকাল বর্ণবৈষম্যকে দূর করতে ব্ল্যাক বলা হয় না। বলা হয় কালারড। তারও একমাস আগে কমলা হ্যারিস একটি ডিবেটে অংশ নিয়ে বলেছিলেন, ট্রাম্প আর তাঁর জঙ্গি মনোভাবাপন্ন সঙ্গীরা আমেরিকাকে পিছনের দিকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চান। তাঁরা নিয়ে আসতে চান সেই যুগ যেখানে নারীদের ভোটাধিকার নেই। তাঁরা চান সেই যুগ যেখানে নারীদের যেন সম্পত্তিতে অধিকার না থাকে। তাঁরা চান সেই যুগ, যেখানে নারীর নিজের শরীর মন এবং অস্তিত্বের উপর অধিকার না থাকে। নারীদাসত্বই ট্রাম্পের মতো মানুষদের মনোভাব। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না। 
কমলা হ্যারিসের ওই শপথকে আমেরিকা হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৭ জন নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন, তিনিই জয়ী হয়েছেন ভোটে। তবু কমলা হ্যারিস হননি। একে নারী। তার উপর শ্বেতাঙ্গ নয়। একে বলে পুরুষতন্ত্র। 
পুরুষতন্ত্র নিছক পুরুষ সমাজের মধ্যেই রয়েছে এমন মোটেই নয়। এ হল একপ্রকার মনস্তত্ত্ব। স্টেট অফ মাইন্ড। বহু নারীর মধ্যেও গোপনে বাসা বেঁধে রয়েছে চিরন্তন পুরুষতন্ত্র। তাঁরা সেটা হয়তো বুঝতেই পারেন না। ভারতবর্ষ নামক একটি ৩৪টি রাজ্য এবং ১৪২ কোটির দেশের মধ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া, আর একটিও রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো নারী নয় কেন? কেন মায়াবতী ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ দলিত সম্রাজ্ঞীর আসন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেলেন পুরুষতান্ত্রিক প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে? শক্তিশালী নারী মুখ্যমন্ত্রী আর কেউ নেই কেন? কারণ প্রবল পুরুষতন্ত্রকে টক্কর দিয়ে উঠে আসার মতো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না কাউকে! 
১৯৮০ সালে তৈরি হওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি ২০২৩ সালে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে এসে নারী ক্ষমতায়নের প্রচার করেছে। কিন্তু তাঁদের দলের আজ পর্যন্ত একজনও নারী সভানেত্রী হলেন না কেন? গত শতকের আটের দশকে লালকৃষ্ণ আদবানি একটি দুর্দান্ত তরুণ নেতানেত্রীর টিম পেয়েছিলেন। অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নরেন্দ্র মোদি, প্রমোদ মহাজন,  বেঙ্কাইয়া নাইডু, গোবিন্দাচার্য। পরবর্তী কালে রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগ কোনও না কোনও সময় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন। সুষমা স্বরাজ হলেন না কেন? তিনিই তো ছিলেন যোগ্যতম! সুষমা স্বরাজ চলে গিয়েছেন। বিজেপির একমাত্র জনপ্রিয় শক্তিশালী নেত্রী ছিলেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। তাঁকে ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হল দিল্লির নির্দেশে। রাজস্থানে আজ বিজেপিরই সরকার। অথচ কোথায় বসুন্ধরা? সম্পূর্ণ হারিয়ে গেলেন? কেন? এতগুলো রাজ্যে সরকার চলছে। একজনও কি নারী মুখ্যমন্ত্রী করতে পারতেন না নরেন্দ্র মোদি? করলেন না কেন? নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করার অধিকার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেওয়া হল না। রামমন্দির উদ্বোধনের অধিকার দ্রৌপদী মুর্মু পাননি। এটাই পুরুষতন্ত্র। 
করুণানিধি কন্যা কানিমোঝি কি ডিএমকে দলের নীতি নির্ধারক? না। করুণানিধির পুত্র এম কে স্ট্যালিন কিংবা তাঁর পুত্র উদয়াদিত্য। লালুপ্রসাদকন্যা মিসা ভারতী কি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী? না। দলের চালিকাশক্তি লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। মুলায়ম সিং যাদবের পুত্রবধূ ডিম্পল যাদব কি স্থির করেন সমাজবাদী পার্টির ভাগ্য? না। তাঁর স্বামী অখিলেশ যাদব সর্বোচ্চ নেতা। কেউ কখনও ভেবেছে যে, বৃন্দা কারাত সিপিএমের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন? না। প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি নিতেন, প্রকাশ কারাতরা নিতেন। এখনও পুরুষপ্রধান কেন্দ্রীয় কমিটি অথবা পলিটব্যুরোই  নির্ণায়ক শক্তি। 
২০২৪ সালের ভারতে নতুন কোনও নারী রাজনৈতিক নেত্রীর উত্থান হচ্ছে না কেন? গান্ধী পরিবারের নতুন নেত্রী  লড়াই করে, ভাবমূর্তি নির্মাণ করে, জননেত্রী হয়ে ক্ষমতা অর্জন করেননি। তিনি তো পদবি ও পরিবারের কারণে এসেছেন এবং ক্ষমতাসীন হচ্ছেন। কিন্তু বাকি ভারতের কী হল? এই যে নারীদের কোনও দলের সর্বোচ্চ স্তরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না, এটাই পুরুষতন্ত্র। 
পুরুষতন্ত্র আসলে চায় না যে, নারী তাদের শাসন করুক। পুরুষতন্ত্র ক্ষমতাসীন নারীকেও তাই যেনতেনপ্রকারে সর্বদাই হেনস্তা করতে চায়। তাচ্ছিল্য করতে চায়। অপমান করতে চায়। জয়ললিতা থেকে মায়াবতী। মেহবুবা মুফতি কিংবা সোনিয়া গান্ধী। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা কমলা হ্যারিস! সকলকেই তাই চরম অপমানিত হতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকের ভুল ত্রুটি দোষ ব্যর্থতা অবশ্যই আছে। কিন্তু দেখা যায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অপমান, অসম্মান এবং আক্রমণ করা হয় ব্যক্তিগত স্তরে। রাজনৈতিক আক্রমণ কম হয়। যেন নিরামিষ রাজনৈতিক আক্রমণ করা হলে পুরোদস্তুর তৃপ্তি পায় না পুরুষতন্ত্র। তাই প্রয়োজন হয় অপমানের। ঠাট্টা, বিদ্রুপ, ব্যঙ্গ, শ্লেষ, হাসাহাসি এবং তীব্র অসৌজন্যের তির। যে কোনও নারী প্রশাসক অথবা নেত্রী কিংবা ক্ষমতার লড়াইয়ে নামা কোনও সাহসিনীর জন্য এটাই হল পুরুষতন্ত্রের কাছে প্রাপ্য। 
চরম মূল্যবৃদ্ধি। বেকারত্ব। প্রায় অথর্ব এবং মানসিকভাবেও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা এক আশি পেরনো নেতাকে নিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টি চরম সঙ্কটে ছিল। সেই আশি পেরনো নেতা জো বাইডেন কিছুতেই আবার প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরবেন না। প্রতিটি দিন শুধু তাঁর কাণ্ডকারধানা দেখেই ডেমোক্র্যাটদের ভোট কমছিল হু হু করে। অবশেষে শেষ লগ্নে জো বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হলেন। কিন্তু ততদিনে বিপুল ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। চরম আগ্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পকেটে প্রায় এসে গিয়েছে গরিষ্ঠতা। এমতাবস্থায় কমলা হ্যারিসকে আসরে নামায় ডেমোক্র্যাট পার্টি। গোহারা ম্যাচকে তিনি কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে প্রায় সমান সমান এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন একক প্রয়াসে। সুতরাং কমলা হ্যারিসের লড়াই ইতিহাস মনে না রাখুক, বিশ্বের সব লড়াকুদের যেন মনে থাকে। 
পুরুষতন্ত্রের আগ্রাসনের ভূগোল হয় না। বিশ্বজুড়ে একই চিত্র। পুরুষতন্ত্রের শুধুই নিত্যনতুন ইতিহাস হয়। 
08th  November, 2024
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
একনজরে
চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের শেষ তিন মাসে কোন রাজ্য বাজার থেকে কত টাকা ঋণ নিতে পারে, তার রুটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে তারা জানাচ্ছে, আগামী মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। ...

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। গত শুনানিতে শেষ হয় ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেরার পর্ব। আজ, বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তায় শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা কোর্টের এজলাসে শুরু হচ্ছে এই মামলার সওয়াল-জবাব। ...

বংশীহারির হরিপুর হাই মাদ্রাসার ৩.২০ শতক জমি অবৈধভাবে হস্তান্তরের অভিযোগ করল কর্তৃপক্ষ। সরকার পোষিত হাই মাদ্রাসার জমি অবৈধভাবে বিক্রি ও রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় হইচই জেলাজুড়ে। ...

জোরকদমে চলছে বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গণ সংস্কার। কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরেই এই স্টেডিয়ামে ফের বড় টুর্নামেন্ট পরিচালনা করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রশাসন। স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য মোট ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল
১৮৩৯ - লুই দাগের প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯০ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন সৈয়দ আমির আলী 
১৮৯২ - বিশিষ্ট ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী  নীলরতন ধরের জন্ম
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্রর জন্ম
১৮৯৮ - ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার তথা  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়
১৯২০- কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক অ্যাসিমভের জন্ম
১৯৪৪- অভিনেতা শমিত ভঞ্জের জন্ম
১৯৫০- কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়
১৯৫৯- ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের জন্ম
১৯৬০- রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০ - ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রমন লাম্বার জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৭ - চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন রোনাল্ড রেগান
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত
১৯৭৬- সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি রোদ্রিগেসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৮০ টাকা ৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৬ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.০০ টাকা ৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৪৭/০, রাত্রি ১/৯। শ্রবণা নক্ষত্র ৪২/৫ রাত্রি ১১/১১। সূর্যোদয় ৬/২১/১১, সূর্যাস্ত ৫/০/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/২০ মধ্যে।
১৭ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ২/১৭। শ্রবণানক্ষত্র রাত্রি ১২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ২/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৪২ গতে ১/২২ মধ্যে। 
১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা !
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে দলে থাকছেন না রোহিত ...বিশদ

09:20:26 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-হায়দরাবাদ ০ (৫২ মিনিট)

08:40:00 PM

দিল্লিতে এলেন মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা খলিল

08:38:00 PM

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করল সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলার ফুটবল দল

08:33:00 PM

নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যাপক যানজট

08:26:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ২-হায়দরাবাদ ০ (হাফটাইম)

08:24:00 PM