ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
অথচ এই চরিত্রটা তাঁর হয়তো করাই হতো না। তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় ছিল সত্যজিৎ রায়ের। সেই সূত্রেই যোগাযোগ। কিন্তু প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন উমার বাবা-মা। শেষে সত্যজিৎ রায় তাঁদের বুঝিয়ে রাজি করান। ‘পথের পাঁচালী’ ছবিতে অভিনয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্রা ১৪ বছর। দুর্গা ও অপুর ভাইবোনের এই স্নেহবন্ধন বাঙালি কোনওদিন ভুলতে পারেনি। দুর্গার অমন নিষ্পাপ চোখ এবং কোমল মুখে আনন্দ-দুঃখের অভিব্যক্তি বারবার ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের হৃদয়। রেলের বাঁশি শুনে কাশবনের মধ্য দিয়ে উদ্দাম দৌড়, মিঠাইওয়ালা দেখে আনন্দ কিংবা ফলচুরি ও পুঁতির মালা চুরির মধ্যে কৈশোরের যে লোভ তা অসাধারণ ভাবে ফুটিয়েছিলেন ‘দুর্গা’। কোনওদিন ভোলা যাবে না বৃষ্টিতে স্নানের সেই দৃশ্য। ছবিতে তাঁর মৃত্যুদৃশ্যে বাঙালি দর্শকরা কেঁদে আকুল হয়েছেন। আজ জীবনের ফ্রেম থেকে চিরবিদায় নিলেন তিনি। সেলুলয়েডেই বেঁচে থাকবে দুর্গার করুণ আঁখি দু’টি।