ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
গত মঙ্গলবার ব্রায়ানস্ক সীমান্তে রাশিয়ার সেনাঘাঁটিতে ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেন। বাইডেন প্রশাসনের তরফে গ্রিন সিগন্যাল মিলতেই এই হামলা বলে অভিযোগ তোলে মস্কো। এর পরেই পাল্টা জবাব দেওয়ার বিষয়ে সুর চড়ায় রাশিয়া। এর মধ্যেই একটি ডিক্রিতে সই করেন পুতিন। তাতে বলা হয়েছে, কোনও পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশ যদি পরমাণু অস্ত্রহীন দেশকে সহায়তা করে, তবে সেই দেশের উপর পরমাণু হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। যার অর্থ, আমেরিকার অস্ত্রে বলীয়ান ইউক্রেনের উপর এবার পরমাণু হামলা চালানোর পথও খুলে রাখল ক্রেমলিন। তার মধ্যেই কিয়েভে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধের ঘটনায় রুশ হামলার আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে। এদিন রাশিয়া জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের মধ্যে বিশেষ হটলাইন রয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও সেই হটলাইন ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনজুড়ে মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। শীতের মরশুমে ইউক্রেনকে চাপে ফেলতে সেদেশের সমস্ত পাওয়ার গ্রিডকে নিশানা করতে পারে ক্রেমলিন। এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের দাবি, সম্প্রতি রাশিয়াকে অস্ত্র প্রযুক্তি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রুশ বাহিনীতেও যোগ দিচ্ছে সেদেশের সেনারা। এদিকে, বাইডেন সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাশিয়ার ক্ষোভ থাকলেও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পারেন পুতিন।
রাশিয়ার পরমাণু রক্তচক্ষুর মধ্যেই স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশগুলিতে দেখা দিয়েছে প্রবল আতঙ্ক। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক সরকার নিজের দেশের নাগরিক ও সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে বলেছে। গত সোমবারই বাসিন্দাদের মধ্যে ৫০ লক্ষ পুস্তিকা বিলি করেছে সুইডেন। দেশবাসীকে খাবার, জল, ওষুধ ও নগদ অর্থ মজুত রাখতেও পরামর্শ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি, যুদ্ধ-প্রস্তুতির জন্য নতুন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে ফিনল্যান্ড।