চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বুধবার নির্বিঘ্নে মিটেছে রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন। যার ফল প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালড্যাংরা আসনে যাঁরা জিতবেন, তাঁদের বিধায়ক পদে শপথ নিতে হবে। কিন্তু এর আগে বিধায়কদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে বিধানসভার বিরোধ খবরের শিরোনামে এসেছিল। রাজভবনকে ‘বয়কট’ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বরানগর ও ভগবানগোলা বিধানসভা উপ নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজভবন জটিলতা তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। পরে এই দুই কেন্দ্রের জয়ীদের শপথ গ্রহণ হয় বিধানসভায়। শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ। একইভাবে মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ আসনের উপ নির্বাচনে জয়ীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান রাজভবনকে এড়িয়ে হয়েছিল বিধানসভায়।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এবার কী হবে? ২৩ তারিখ ফল ঘোষণার পর জয়ীদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজভবনের কাছে চিঠি পাঠাবে রাজ্যের পরিষদীয় দপ্তর। তারপর রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের উপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে। ঘটনাচক্রে ২৫ তারিখ থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ফলে রাজভবন যদি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে, তাহলে বিধানসভার নিজস্ব নিয়ম-রীতি অনুযায়ী শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে খবর। সরকার পক্ষের নেতাদের বক্তব্য, বিধায়কদের শপথ গ্রহণের দায়িত্ব বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতে ন্যস্ত করা উচিত রাজভবনের।
অন্যদিকে, রাজ্যপালের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বাইরে কে কী বলল, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো রাজ্যপালের একেবারে ঠিক নয়। রাজ্যপাল যেন তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ না করেন। অনেকেই তো রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল কার কাছে জবাব চাইবেন!