চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বুধবার অতীন ঘোষের স্বাস্থ্যবিভাগের অফিস ঘরে সাপের দেখা মিলেছিল। বৃহস্পতিবার তার দেখা মিলল পুরসভার কাউন্সিলারস ক্লাব রুমের বারান্দায়। বুধবার সাপের ছবি তোলা না গেলেও বৃহস্পতিবার সেই ছবি সামনে এসেছে। দু’টি আলাদা সাপ, নাকি একটি সাপই ঘুরপাক খাচ্ছে, তা নিয়ে রয়েছে ধন্দ। এদিন ফের চিড়িয়াখানা থেকে বনকর্মীরা আসেন, কিন্তু দ্বিতীয় দিনেও ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় তাঁদের। তাঁরা সাপের দেখাই পাননি। তাই কেউটে নাকি হেলে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, সাপের ছবি দেখে একে বিষহীন বলছেন আলিপুর চিড়িয়াখানার জু-কিপার সোমনাথ দেবনাথ।
পর পর দু’দিন সাপ দেখতে পাওয়ায় ঘুম ছুটেছে পুরকর্মীদের। রীতিমতো নীচের দিকে তাকিয়ে যাতায়াত করছেন তাঁরা। মঞ্জু বিশ্বাস নামের এক পুরকর্মী বলেন, ভয়ে পা তুলে কাজ করছি। আরেক কর্মী হরিশঙ্কর রাম বলেন, যেখানে সেখানে সাপ দেখা যাচ্ছে। হাঁটাচলা করতে ভয় লাগছে। এ প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ বলেন, প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই পুরভবন। ইঁদুরের উৎপাত তো আছেই। এবার সাপও দেখা যাচ্ছে। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। বিষয়টি চিন্তার। কীভাবে সাপ এখানে এল, বোঝা যাচ্ছে না। প্রচুর লোক এখানে কাজ করেন। তাঁদের নিরাপত্তার দিকটাও দেখতে হবে। গোটা ভবনটাই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। তাঁর সংযোজন, পুরসভায় ইঁদুরের দাপট রয়েছে। যেকারণেই সম্ভবত সাপ কোনওভাবে ঢুকেছে।
বহু বছর পুরসভায় চাকরি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মেয়রের ঘরের সামনে রাতের বেলা পেঁচার দর্শন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাপ কখনও দেখেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। -নিজস্ব চিত্র