চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
তবে এই ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এই শব্দবন্ধ প্রথম জোড়া হয় শেখ মুজিবের আমলে। তারপর সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন বর্তমান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াত স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমান। ক্ষমতায় এসেই ১৯৭৭ সালে ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত নামিয়ে আনেন তিনি। পরবর্তী কালে ১৯৮৮ সালে ঘোষণা করা হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হল ইসলাম। ২০১০ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৭ সালের ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ মুছে দেওয়ার বিরুদ্ধে রায় দেয়। এরপরই হাসিনা সরকার ২০১১ সালে সংবিধানের ১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে ফের ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনে।
হাসিনা সরকারের পতনের পরই ফের ওই ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সংবিধান সংক্রান্ত মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। এদিন দুই বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং দেবাশিস রায়চৌধুরীর বেঞ্চে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বাতিল নিয়ে শুনানি ছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দেশের ৯০ শতাংশ নাগরিক হলেন মুসলিম। সংশোধনের আগে যেমন ছিল সংবিধান, সেই অবস্থাতেই ফিরিয়ে আনা হোক।’ শুনানিতে অনুচ্ছেদ ২এ-র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের ধর্ম পালন এবং সমান অধিকার যাতে পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’, সমাজতন্ত্রের মতো শব্দও সংবিধানের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর যুক্তি, স্বৈরতন্ত্রকে এড়িয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা উচিত। গণতন্ত্র বিপর্যস্ত করতে পারে এমন সংশোধন না হওয়াই বাঞ্চনীয়। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ৩০ জুন শেখ হাসিনার জমানায় বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী পাশ হয়েছিল। সেখানে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দেশের স্বাধীনতায় শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু আইন করে তা প্রয়োগ করা হলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে দেশে।