চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
মোবাইল দোকানের তরফে আমির হোসেন বলেন, বছর চারেক আগে ওই দোকানটি খোলা হয়। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি বলেন, বেশ কিছু কোম্পানির মোবাইল বাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছিলাম। বাকি কিছু কোম্পানির মোবাইল ছিল। সকালে দেখা যায় দোকানের সাটার ভেঙে চুরি করা হয়েছে। সাটারের পাশাপাশি কাচের দরজাটিও ভাঙা হয়।
মোবাইল দোকানের মালিক সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২৭টি মোবাইল, ১৫টি স্মার্ট ওয়াচ চুরি গিয়েছে। তারসঙ্গে নগদ টাকাও বাক্স থেকে নিয়ে গিয়েছে। দোকানের বাইরের দিকে সিসি টিভিগুলি ঘুরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর চুরি করেছে। চুরির জেরে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।
দোকান মালিকের দাবি, দুষ্কৃতীরা ডেমো মোবাইল ফোন নেয়নি। তারসঙ্গে ল্যাপটপও নিয়ে যায়নি। ডেমো মোবাইল ফোন সাধারণত ক্রেতাদের দেখানোর জন্য রাখা হয় দোকানে। সেগুলি নিলে ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। কারণ সেগুলি নির্দিষ্ট সময় পর চালু হয়ে যায়। তারফলে সেগুলি ট্র্যাক করা যেতে পারে। তাই হয়তো নেয়নি। ফলে দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করেই চুরি করেছে।
দোকান ব্যবসায়ীর দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্য সড়কের উপর বিভিন্ন সময় পুলিস টহল দেয়। তারপরেও এমন ভয়াবহ চুরি নিয়ে আতঙ্কিত আমরা। উল্লেখ্য, এর আগেও আরামবাগ শহরে একাধিক দোকানে চুরি গিয়েছে মূল্যবান সামগ্রী। থানা লাগোয়া দোকান থেকেও চুরি হয়। তারপর ফের বৃহস্পতিবার সকালে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, সর্বত্রই টহল রয়েছে পুলিসের। নজরদারিও চালানো হচ্ছে। তবু কেন এই চুরির ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে। -নিজস্ব চিত্র