Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। রক্ত ছলাৎ ছলাৎ করে ওঠে। আজ রবিবার অপরাহ্নে যখন লালবাজারের পোড়খাওয়া পুলিসকর্তা থেকে তাবৎ সংবাদমাধ্যম ধর্মতলার রাজপথে কত লোক হয়েছে, ৪...৫...১০ লাখ নাকি তারও বেশি! —এই গবেষণায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে, তখন এক নেত্রীর আকাশের দিকে উদ্যত মুষ্টিবদ্ধ হাত জানান দেবে চার দশক পেরিয়েও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, অপ্রতিরোধ্য। স্ট্রিট ফাইটার বিরোধী নেত্রী থেকে তাঁর সুশাসক মুখ্যমন্ত্রীতে উত্তরণের পরও তাঁর রথ ছুটছে। পেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক মাইলস্টোন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই, নানুর, চমকাইতলা, হাজরা মোড়ে তাঁর বাড়ির অদূরে হত্যার চক্রান্ত, কিছুই থামাতে পারেনি। শত নির্যাতন লাঞ্ছনা উপেক্ষা করেও অক্লান্ত সৈনিক। বামেদের বিদায় দিয়েও যে লড়াই থামেনি এতটুকুও, বরং আজ তা আরও সঙ্ঘবদ্ধ। 
শাসক হিসেবে টানা তেরো বছর পার করেও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে হারিয়ে তাঁর ডাকে এই স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ার তারই প্রমাণ। লোকসভা ভোটে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর আজ তিনি শুধু বিরোধীদেরই শাসন করেন না, নিজের দলের ছোটবড় নেতার বিচ্যুতি দেখলেও নিমেষে খড়্গহস্ত। একের পর এক নির্বাচনী সাফল্য রাজধর্ম পালনে পুলিসকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়েছেন বলেই জোড়াফুলের নাম ভাঙিয়ে পাড়ার ছোট মাঝারি মস্তানরাও আর পার পাচ্ছেন না। বেআইনি বাড়ি ভাঙা শুরু হয়েছে। বুলডোজার নেমেছে। বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি আজ কড়া ভাষায় মঞ্চ থেকে নিজের দলকেও সেই বার্তাই দেবেন নেত্রী। বলবেন, অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। অপরাধ দমনে কোনও রং দেখবে না তাঁর পুলিস ও প্রশাসন। বুঝিয়ে দেবেন, নিজের হাতে গড়া সংগঠনের বেনোজল দূর করাই এখন তাঁর পাখির চোখ। সেই রাজধর্ম পালনেই ব্রতী তিনি। ‘বঙ্গেশ্বর’ জ্যোতি বসুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে অসামান্য লড়াকু নেত্রীর রাজনৈতিক অভিযাত্রা শুরু, দুঁদে ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি, কালের নিয়মে বামেদের হটিয়ে এই বঙ্গে অপ্রত্যাশিত পালাবদলের কাণ্ডারী তিনিই। নিন্দুকেরা ভ্রু কোঁচকালেও বাংলার ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পাশে ২০১১ সালের পালাবদলও তাই জায়গা করে নেয় অবলীলায়। ফি বছর শ্রাবণ মাস পড়তেই আসে ২১ জুলাই। এবছর লোকসভা ভোটের সাফল্যের পর আজ নেত্রী কী বার্তা দেন সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে সবাই।
গত দশ বছর ছলেবলে গেরুয়া শিবির বাংলা দখলের প্রাণপণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ। দলবদলুরা চূড়ান্ত হতাশ। ষোলো সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে বাম-কংগ্রেস নিজেদের তৈরি করা চক্রব্যূহে ফেঁসে প্রায় নিশ্চিহ্ন। আর উনিশ ও চব্বিশ সালের লোকসভা ভোট এবং একুশ সালের বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে হেরে বঙ্গ বিজেপিও ছত্রভঙ্গ। প্রতিবারই নির্বাচন এলে বাঁধাগতে মোদিজি ডেলি প্যাসেঞ্জারিতে নামেন। পিছন পিছন আসেন আরও মন্ত্রী-সান্ত্রিরা। কোটি কোটি টাকার বিমান, কপ্টার নিয়ে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে ফেলেন। টাকা ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে নেতা, উপনেতা কেনার ঢালাও ‘ভোট শপিং’ শুরু হয়। উত্তেজনা বাড়ে, কিন্তু ফল বেরতেই দেখা যায় সবই বিফলে গিয়েছে। নিছক পণ্ডশ্রম। কেন্দ্রের নির্দেশে ইডি, সিবিআই সব কাজ ছেড়ে এরাজ্যে আদাজল খেয়ে পড়ে থেকেছে কালীঘাটের সাধারণ ঘরের মেয়েটাকে জব্দ করতে। কিন্তু এঁটে উঠতে পারেনি। কখনও ভাঙা পায়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান, আবার কখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা অঙ্কুরেই বিনাশ করেছে দলবদলুদের স্বপ্নকে। দু’বছর বাদে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটেও যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রের খুব একটা পরিবর্তনের আশা নেই, তা নিয়ে কারও আজ আর সংশয় নেই। সর্বভারতীয় বিজেপি ভেবেছিল তৃণমূল ভেঙে বাংলায় ডালপালা বিস্তার করবে। আজও সেই মরীচিকার ভ্রান্তিবিলাসেই আটকে মুরলীধর সেন লেনের বাসিন্দারা। তবে ৪ জুনের পর তাঁরা বেশ বুঝতে পারছেন, দু-চারজন নেতা-মন্ত্রীকে গারদে পুরে কিংবা দলবদল করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যুদস্ত করা অসম্ভব। তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। বাংলার মানুষের কাছে এখনও তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। এই রসায়নের তল পায় না কোনও এক্সিট পোল সংস্থাও। বারেবারে তাই ফেল করে নিজেদের হাসির খোরাক করে সি ভোটার, অ্যাক্সিস থেকে তাবৎ সমীক্ষক সংস্থার ভোট পণ্ডিতরা। আসলে হাওয়ায় না ভেসে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে একা মেরুদণ্ড সোজা রেখে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতাই মমতার সারা জীবনের ইউএসপি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগুন-ঝরা আন্দোলন সংগ্রামের বীজ বপন করা হয়েছিল এই দিনেই, যা ধীরে ধীরে টর্নেডোয় পরিণত হয়ে সিপিএম নামক জাহাজটাকে মাঝ দরিয়ায় ডুবিয়ে দিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও সেই জাহাজের সন্ধান পাননি আলিমুদ্দিনের কর্তারা। এবছর ২১ জুলাইয়ের তিন দশক উত্তীর্ণ হয়ে ৩১ বছরে পা। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলার রাজনীতি উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম আবর্তিত হয়েছে এক অসাধারণ নারীর আন্দোলন ও সংগ্রামকে আশ্রয় করে। সেই বিচারে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই ও জ্যোতি বসুর পুলিসের গুলি চালনার বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদই প্রথমবার বামফ্রন্টের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। পুলিসের নির্বিচারে গুলি, এক ভয়-না-পাওয়া নেত্রীর প্রতিরোধ এবং ১৩ তাজা প্রাণের শহিদ হওয়া। সবটাই আজ ইতিহাস। কিন্তু সেই শহিদদের স্মরণ করতেই প্রতি বছর ২১ জুলাইয়ের মহতী সমাবেশের আয়োজন। সাহাগঞ্জের অসীম দাস, পূর্ব মেদিনীপুরের আব্দুল খালেক, উত্তর কলকাতার বন্দনা দাস, বরানগরের বিশ্বনাথ রায়, উত্তর ২৪ পরগনার কেশব বৈরাগী, সোনারপুরের রতন মণ্ডল, গা‌ইঘাটার রঞ্জিত দাস, হরিদেবপুরের দিলীপ দাস, বিজয়গড়ের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা দক্ষিণ কলকাতার প্রদীপ রায়, যাদবপুরের শ্রীকান্ত শর্মা, পাতিপুকুরের মুরারী চক্রবর্তীরা নিশ্চয় উপর থেকে দেখছেন তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাঁদের বিশ্বাসের যোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন নেত্রী।
সেদিন ছিল বামেদের অত্যাচার ও একাধিপত্য থেকে বাংলাকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করার সংগ্রাম। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। গত দশ বছরে বারেবারে বিজেপির ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, ছলেবলে যারা চেয়েছিল বাংলাকে দখল করতে, তারা বারংবার এক জননেত্রীর সামনে পরাজিত। মেরুকরণ, বঞ্চনা-বৈষম্য ও মিথ্যাচারের জবাব এমনই হয়। হিটলারি স্টাইলে ‘অব কি বার ৪০০’ পার’ বা ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান আজ অস্তমিত। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে লোকসভায় ২৭২ আসনের ম্যাজিক ফিগারই ছুঁতে পারেনি বিজেপি। আর বাংলায়? মাত্র ১২টি আসন জিতেই থেমে গিয়েছে গেরুয়া রথ। ২৯ আসনে জিতেছে তৃণমূল। সদ্যসমাপ্ত উপ নির্বাচনে ফল হয়েছে ৪-০। রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণেও জয়জয়কার জোড়াফুলের। নরেন্দ্র মোদির দম্ভের প্রত্যাখ্যান শুরু হয়েছে বাংলার মাটি থেকেই। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর গদি টিকিয়ে রাখতে মোদিজি আজ চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের মুখাপেক্ষী। দু’দিকে দুটি ক্রাচ, মানে পদে পদে আপস, সমঝোতা। কয়েক মাস আগে তেলুগু দেশম প্রধানকে ‘ভ্রষ্টাচারী’ আখ্যা দিয়ে ইডি, সিবিআই আর আয়কর লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন গদি বাঁচাতে সেই চন্দ্রবাবুর ১৬ জন সাংসদকে জামাই আদর করা শুরু হয়েছে। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, দেশের রাজনীতিতে কোনও ‘একনায়ক’এর ঠাঁই নেই! কেউ অপরিহার্য নয়! 
সবশেষে বলি, আমরা কেউই থাকব না একদিন। কিন্তু যতদিন পশ্চিমবঙ্গ থাকবে, বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা বেঁচে থাকবে, ততদিন ২১ জুলাই থাকবে জ্বলন্ত প্রতিবাদের সাক্ষী হয়ে। বাঙালির আবেগের অপর নাম ২১ জুলাই। একুশ মানে সবুজ, একুশ মানে নতুন উদ্যমে যৌবনের পথচলা এবং সব প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা। ‘আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচানো’র কাজটাই মমতা অক্লান্ত নিষ্ঠায় করে যাচ্ছেন চার দশক ধরে, একের পর এক অচলায়তন ভেঙে দিয়ে।
21st  July, 2024
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
একনজরে
আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারালেন বিএসপি নেতা হরবিলাস সিং রাজ্জুমাজরা। শুক্রবার হরিয়ানার আম্বালার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ...

বছর যায়, বছর আসে! রনজি ট্রফিতে বাংলার বেহাল দশার আর পরিবর্তন ঘটে না। শনিবার কল্যাণীতে হরিয়ানার কাছে ২৮৩ রানে লজ্জার হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত বিদায় নিশ্চিত বঙ্গ-ব্রিগেডের। ...

দুর্গাপুরে দামোদর নদের চরে বিশাল জঙ্গল থেকে অবৈধভাবে দেদার গাছ কেটে পাচার চলছে। অসাধু চক্র চর থেকে নৌকায় চাপিয়ে ওই সমস্ত গাছ নিয়ে আসছে। ...

পুরাতন মালদহ ব্লকের মুচিয়ার মল্লিকপাড়াতে তিন মাস আগে মহাদেবপুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই কেন্দ্রটি চালু হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশাগত উচ্চশিক্ষায় দিনটি বিশেষ শুভ। ধৈর্য ধরে মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন সাফল্য পাবেন। অর্থ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় ভোটদাতা দিবস
১৮২৪ - কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম
১৮৭১ - জার্মানির চিকিৎসক হানসেন কুষ্ঠ রোগের জীবাণু আবিষ্কার করেন
১৮৫৬ - সমাজসেবক ও লেখক অশ্বিনীকুমার দত্তের জন্ম
১৮৯৯ - প্রথম রেডিও প্রস্তুতকারী কোম্পানি চালু
১৯১৫ - আলেকজান্ডার গ্রাহামবিল ইউএস ট্রান্সকন্টিনেন্টাল টেলিফোন সার্ভিস উদ্বোধন করেন। নিউ ইয়র্ক থেকে কথা বলেন সানফ্রান্সিসকোতে টমাস ওয়াস্টনের সঙ্গে
১৯৪২ - প্রাক্তন পর্তুগীজ ফুটবলার ইউসেবিওর জন্ম
১৯৪৮ - সত্যেন্দ্রনাথ বসু কলকাতায় বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৫০ - ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়
১৯৫৪ - ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৫৭ - আমাশয় রোগের জীবাণু আবিষ্কারক জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশির মৃত্যু
১৯৫৮ - বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কবিতা কৃষ্ণমূর্তির জন্ম
১৯৮৮ - ক্রিকেটার চেতেশ্বর পুজারার জন্ম

25th  January, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৪৮ টাকা ৮৭.২২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৯ টাকা ১০৮.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮১,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৭,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী  ৩৬/২৩ রাত্রি ৮/৫৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৫/১০ দিবা ৮/২৬। সূর্যোদয় ৬/২১/৪২, সূর্যাস্ত ৫/১৬/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৪ গতে ১/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৯ গতে ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে।
১২ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী  রাত্রি ৭/২৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৭/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৭ মধ্যে। 
২৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শুভেচ্ছা ও ছুটি
আজ, রবিবার ২৬ জানুয়ারি দেশের ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবস। এই উপলক্ষ্যে ...বিশদ

05:00:00 AM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে আলোয় সেজে উঠেছে মুম্বই

25-01-2025 - 11:07:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারাল ভারত

25-01-2025 - 10:31:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৬ রানে আউট অর্শ্বদীপ, ভারত ১৪৬/৮ (১৭ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

25-01-2025 - 10:16:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিলক

25-01-2025 - 10:08:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট অক্ষর, ভারত ১২৬/৭ (১৪.৪ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

25-01-2025 - 10:05:00 PM