Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। রক্ত ছলাৎ ছলাৎ করে ওঠে। আজ রবিবার অপরাহ্নে যখন লালবাজারের পোড়খাওয়া পুলিসকর্তা থেকে তাবৎ সংবাদমাধ্যম ধর্মতলার রাজপথে কত লোক হয়েছে, ৪...৫...১০ লাখ নাকি তারও বেশি! —এই গবেষণায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে, তখন এক নেত্রীর আকাশের দিকে উদ্যত মুষ্টিবদ্ধ হাত জানান দেবে চার দশক পেরিয়েও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, অপ্রতিরোধ্য। স্ট্রিট ফাইটার বিরোধী নেত্রী থেকে তাঁর সুশাসক মুখ্যমন্ত্রীতে উত্তরণের পরও তাঁর রথ ছুটছে। পেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক মাইলস্টোন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই, নানুর, চমকাইতলা, হাজরা মোড়ে তাঁর বাড়ির অদূরে হত্যার চক্রান্ত, কিছুই থামাতে পারেনি। শত নির্যাতন লাঞ্ছনা উপেক্ষা করেও অক্লান্ত সৈনিক। বামেদের বিদায় দিয়েও যে লড়াই থামেনি এতটুকুও, বরং আজ তা আরও সঙ্ঘবদ্ধ। 
শাসক হিসেবে টানা তেরো বছর পার করেও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে হারিয়ে তাঁর ডাকে এই স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ার তারই প্রমাণ। লোকসভা ভোটে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর আজ তিনি শুধু বিরোধীদেরই শাসন করেন না, নিজের দলের ছোটবড় নেতার বিচ্যুতি দেখলেও নিমেষে খড়্গহস্ত। একের পর এক নির্বাচনী সাফল্য রাজধর্ম পালনে পুলিসকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়েছেন বলেই জোড়াফুলের নাম ভাঙিয়ে পাড়ার ছোট মাঝারি মস্তানরাও আর পার পাচ্ছেন না। বেআইনি বাড়ি ভাঙা শুরু হয়েছে। বুলডোজার নেমেছে। বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি আজ কড়া ভাষায় মঞ্চ থেকে নিজের দলকেও সেই বার্তাই দেবেন নেত্রী। বলবেন, অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। অপরাধ দমনে কোনও রং দেখবে না তাঁর পুলিস ও প্রশাসন। বুঝিয়ে দেবেন, নিজের হাতে গড়া সংগঠনের বেনোজল দূর করাই এখন তাঁর পাখির চোখ। সেই রাজধর্ম পালনেই ব্রতী তিনি। ‘বঙ্গেশ্বর’ জ্যোতি বসুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে অসামান্য লড়াকু নেত্রীর রাজনৈতিক অভিযাত্রা শুরু, দুঁদে ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি, কালের নিয়মে বামেদের হটিয়ে এই বঙ্গে অপ্রত্যাশিত পালাবদলের কাণ্ডারী তিনিই। নিন্দুকেরা ভ্রু কোঁচকালেও বাংলার ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পাশে ২০১১ সালের পালাবদলও তাই জায়গা করে নেয় অবলীলায়। ফি বছর শ্রাবণ মাস পড়তেই আসে ২১ জুলাই। এবছর লোকসভা ভোটের সাফল্যের পর আজ নেত্রী কী বার্তা দেন সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে সবাই।
গত দশ বছর ছলেবলে গেরুয়া শিবির বাংলা দখলের প্রাণপণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ। দলবদলুরা চূড়ান্ত হতাশ। ষোলো সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে বাম-কংগ্রেস নিজেদের তৈরি করা চক্রব্যূহে ফেঁসে প্রায় নিশ্চিহ্ন। আর উনিশ ও চব্বিশ সালের লোকসভা ভোট এবং একুশ সালের বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে হেরে বঙ্গ বিজেপিও ছত্রভঙ্গ। প্রতিবারই নির্বাচন এলে বাঁধাগতে মোদিজি ডেলি প্যাসেঞ্জারিতে নামেন। পিছন পিছন আসেন আরও মন্ত্রী-সান্ত্রিরা। কোটি কোটি টাকার বিমান, কপ্টার নিয়ে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে ফেলেন। টাকা ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে নেতা, উপনেতা কেনার ঢালাও ‘ভোট শপিং’ শুরু হয়। উত্তেজনা বাড়ে, কিন্তু ফল বেরতেই দেখা যায় সবই বিফলে গিয়েছে। নিছক পণ্ডশ্রম। কেন্দ্রের নির্দেশে ইডি, সিবিআই সব কাজ ছেড়ে এরাজ্যে আদাজল খেয়ে পড়ে থেকেছে কালীঘাটের সাধারণ ঘরের মেয়েটাকে জব্দ করতে। কিন্তু এঁটে উঠতে পারেনি। কখনও ভাঙা পায়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান, আবার কখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা অঙ্কুরেই বিনাশ করেছে দলবদলুদের স্বপ্নকে। দু’বছর বাদে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটেও যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রের খুব একটা পরিবর্তনের আশা নেই, তা নিয়ে কারও আজ আর সংশয় নেই। সর্বভারতীয় বিজেপি ভেবেছিল তৃণমূল ভেঙে বাংলায় ডালপালা বিস্তার করবে। আজও সেই মরীচিকার ভ্রান্তিবিলাসেই আটকে মুরলীধর সেন লেনের বাসিন্দারা। তবে ৪ জুনের পর তাঁরা বেশ বুঝতে পারছেন, দু-চারজন নেতা-মন্ত্রীকে গারদে পুরে কিংবা দলবদল করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যুদস্ত করা অসম্ভব। তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। বাংলার মানুষের কাছে এখনও তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। এই রসায়নের তল পায় না কোনও এক্সিট পোল সংস্থাও। বারেবারে তাই ফেল করে নিজেদের হাসির খোরাক করে সি ভোটার, অ্যাক্সিস থেকে তাবৎ সমীক্ষক সংস্থার ভোট পণ্ডিতরা। আসলে হাওয়ায় না ভেসে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে একা মেরুদণ্ড সোজা রেখে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতাই মমতার সারা জীবনের ইউএসপি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগুন-ঝরা আন্দোলন সংগ্রামের বীজ বপন করা হয়েছিল এই দিনেই, যা ধীরে ধীরে টর্নেডোয় পরিণত হয়ে সিপিএম নামক জাহাজটাকে মাঝ দরিয়ায় ডুবিয়ে দিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও সেই জাহাজের সন্ধান পাননি আলিমুদ্দিনের কর্তারা। এবছর ২১ জুলাইয়ের তিন দশক উত্তীর্ণ হয়ে ৩১ বছরে পা। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলার রাজনীতি উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম আবর্তিত হয়েছে এক অসাধারণ নারীর আন্দোলন ও সংগ্রামকে আশ্রয় করে। সেই বিচারে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই ও জ্যোতি বসুর পুলিসের গুলি চালনার বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদই প্রথমবার বামফ্রন্টের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। পুলিসের নির্বিচারে গুলি, এক ভয়-না-পাওয়া নেত্রীর প্রতিরোধ এবং ১৩ তাজা প্রাণের শহিদ হওয়া। সবটাই আজ ইতিহাস। কিন্তু সেই শহিদদের স্মরণ করতেই প্রতি বছর ২১ জুলাইয়ের মহতী সমাবেশের আয়োজন। সাহাগঞ্জের অসীম দাস, পূর্ব মেদিনীপুরের আব্দুল খালেক, উত্তর কলকাতার বন্দনা দাস, বরানগরের বিশ্বনাথ রায়, উত্তর ২৪ পরগনার কেশব বৈরাগী, সোনারপুরের রতন মণ্ডল, গা‌ইঘাটার রঞ্জিত দাস, হরিদেবপুরের দিলীপ দাস, বিজয়গড়ের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা দক্ষিণ কলকাতার প্রদীপ রায়, যাদবপুরের শ্রীকান্ত শর্মা, পাতিপুকুরের মুরারী চক্রবর্তীরা নিশ্চয় উপর থেকে দেখছেন তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাঁদের বিশ্বাসের যোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন নেত্রী।
সেদিন ছিল বামেদের অত্যাচার ও একাধিপত্য থেকে বাংলাকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করার সংগ্রাম। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। গত দশ বছরে বারেবারে বিজেপির ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, ছলেবলে যারা চেয়েছিল বাংলাকে দখল করতে, তারা বারংবার এক জননেত্রীর সামনে পরাজিত। মেরুকরণ, বঞ্চনা-বৈষম্য ও মিথ্যাচারের জবাব এমনই হয়। হিটলারি স্টাইলে ‘অব কি বার ৪০০’ পার’ বা ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান আজ অস্তমিত। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে লোকসভায় ২৭২ আসনের ম্যাজিক ফিগারই ছুঁতে পারেনি বিজেপি। আর বাংলায়? মাত্র ১২টি আসন জিতেই থেমে গিয়েছে গেরুয়া রথ। ২৯ আসনে জিতেছে তৃণমূল। সদ্যসমাপ্ত উপ নির্বাচনে ফল হয়েছে ৪-০। রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণেও জয়জয়কার জোড়াফুলের। নরেন্দ্র মোদির দম্ভের প্রত্যাখ্যান শুরু হয়েছে বাংলার মাটি থেকেই। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর গদি টিকিয়ে রাখতে মোদিজি আজ চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের মুখাপেক্ষী। দু’দিকে দুটি ক্রাচ, মানে পদে পদে আপস, সমঝোতা। কয়েক মাস আগে তেলুগু দেশম প্রধানকে ‘ভ্রষ্টাচারী’ আখ্যা দিয়ে ইডি, সিবিআই আর আয়কর লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন গদি বাঁচাতে সেই চন্দ্রবাবুর ১৬ জন সাংসদকে জামাই আদর করা শুরু হয়েছে। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, দেশের রাজনীতিতে কোনও ‘একনায়ক’এর ঠাঁই নেই! কেউ অপরিহার্য নয়! 
সবশেষে বলি, আমরা কেউই থাকব না একদিন। কিন্তু যতদিন পশ্চিমবঙ্গ থাকবে, বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা বেঁচে থাকবে, ততদিন ২১ জুলাই থাকবে জ্বলন্ত প্রতিবাদের সাক্ষী হয়ে। বাঙালির আবেগের অপর নাম ২১ জুলাই। একুশ মানে সবুজ, একুশ মানে নতুন উদ্যমে যৌবনের পথচলা এবং সব প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা। ‘আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচানো’র কাজটাই মমতা অক্লান্ত নিষ্ঠায় করে যাচ্ছেন চার দশক ধরে, একের পর এক অচলায়তন ভেঙে দিয়ে।
21st  July, 2024
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগে একের পর কোম্পানিকে নাস্তানাবুদ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে ভারতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল এই মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা। সম্প্রতি এই সংস্থায় ঝাঁপ পড়েছে।  ...

মুর্শিদাবাদ জেলায় গতবারের থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল। এ বছরও জেলায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবারের তুলনায় এবছর ...

অনুশীলনে সবার আগেই নেমে পড়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের বাইরে বল বসিয়ে একের পর এক শট রাখছিলেন তেকাঠিতে। হঠাৎই পিছন থেকে দৌড় এসে লিস্টন সেই বল ...

গ্রামীণ সড়ক তৈরির টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিল নবান্ন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯২: টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহীশূরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন।
১৮৪০: টায়ারের উদ্ভাবক জন ব্যুও ডানলপের জন্ম 
১৮৮৯: গৌরহরি সেনের উদ্যোগে কলকাতার বিডন স্ট্রিটে ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯৪: বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য কর্মী আশালতা সেনের জন্ম
১৯০০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে পানামা খাল নিয়ে চুক্তি হয়।
১৯৩৭: চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মডার্ন টাইমস মুক্তি পায়
১৯৩৪: অভিনেতা সুজিত কুমারের জন্ম
১৯৭৬: অভিষেক বচ্চনের জন্ম
১৯৮৪: আর্জেন্তিনার ফুটবলার কার্লোস তেভেজের জন্ম
১৯৮৫:পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮৮: কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্তের মৃত্যু
১৯৯০: ক্রিকেটার ভূবনেশ্বর কুমারের জন্ম
১৯৯২: ফুটবলার নেইমারের জন্ম
২০১৪: বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যূথিকা রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.১৮ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২৮ টাকা ১১০.০২ টাকা
ইউরো ৮৮.১৫ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১২/৩৬। ভরণী নক্ষত্র ৩৫/৩৮ রাত্রি ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৬/১৮/৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৯ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪০ মধ্যে। 
২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী রাত্রি ২/৫৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১২।  সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ৯/৫৩ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৩/১৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৪ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৬/২০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৩ মধ্যে।    
৬ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: কালকাজি মন্দিরে পুজো দিলেন আতিশী

09:19:00 AM

তামিলনাড়ুর ইরোদ (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে উপ নির্বাচন

09:17:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: ভোট দিয়ে বের হলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

09:15:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: গুন্ডামির হার হবে, ভোটারদের ভোটদানে আহ্বান কোজরিওয়ালের

09:14:00 AM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: ভোট দিতে বাড়ি থেকে বের হলেন মুখ্যমন্ত্রী আতিশী

09:02:00 AM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে চলছে পুণ্যস্নান

09:00:00 AM