Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন।
সমরেশ মজুমদার নিজেই উত্তরবঙ্গের চা-বাগান অঞ্চলের মানুষ। তাই তাঁরও বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রথমবার কলকাতায় আসা, ওই নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেস ধরে অর্ধেক পথ এসে তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে বাকি অর্ধেক পথ ট্রেনে চেপে। সমরেশ মজুমদার যখন কিশোর বয়সে কলকাতায় আসার জন্য দ্বিতীয়বার গঙ্গা পেরিয়েছিলেন, ততদিনে অবশ্য ফরাক্কা বাঁধের পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার কপিল ভট্টাচার্য নিজের উদ্যোগে তৈরি করে ফেলেছেন একটি গ্রাউন্ড রিপোর্ট। যে রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে বলা হয়েছিল, কেন ওই ফরাক্কা বাঁধ ক্ষতিকারক হবে। সেদিন কেউ পাত্তা দেয়নি সেচদপ্তরের সেই ইঞ্জিনিয়ারের কথা। সেই পঞ্চাশের দশকে ফরাক্কায় বাঁধ দিলে কী কী ক্ষতি হতে পারে বলে কপিল ভট্টাচার্য যা যা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন, প্রায় তিন-চার দশক পরে আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সেসব একদম মিলে গিয়েছে।
মালদহ জেলায় ৮০ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে বয়েছে গঙ্গা। ফরাক্কা বাঁধ চালু হওয়ার পর উজান এবং ভাটিতে শুরু হয় নদী ভাঙন। গত দু’ দশকে ভাঙনে ২৯টি মৌজা সহ বেশ কয়েক হাজার বিঘা জমি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। বিলুপ্ত একটি গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত—কেবি ঝাউবোনা। পঞ্চাশের দশকে কপিল ভট্টাচার্যের সন্দেহ ছিল, ব্যারেজ ডিজাইনে যে মাত্র ২৭ লক্ষ কিউসেক জল ধরা হয়েছে, তা ব্যারেজের এবং দু’পাশের বাঁধের জন্য ব্যয় কম দেখানোর জন্য। বাস্তবক্ষেত্রে বন্যার ফলে বামকূলের বাঁধ ঘুরে গঙ্গা মনিহারি, কাটিহার, মালদহের বিস্তীর্ণ জনপদ ধ্বংস করে দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে সেটাই হয়েছে। মালদহ জেলার বহু গ্রাম নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের পক্ষে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি হবে বলে যে যুক্তি দেওয়া হতো, তাও মানতে চাননি কপিল ভট্টাচার্য। তিনি সেই পঞ্চাশের দশকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, ফরাক্কায় ব্যারেজ বেঁধে ও ভাগীরথীকে গঙ্গার সঙ্গে একটা নতুন খালের সাহায্যে সংযুক্ত করে দিয়েই ভাগীরথীর স্বাভাবিক মজে যাওয়া আটকানো যাবে কেন? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর কেউ দিতে পারেননি। যেসব স্বাভাবিক কারণে ভাগীরথীর উৎস মজে গিয়েছে ও গঙ্গার সঙ্গে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, সেই সব স্বাভাবিক কারণের কোনও প্রতিকারই ফরাক্কা ব্যারেজ করতে পারবে না। সুতরাং এই পন্থায় ভাগীরথীর নাব্যতা পুনরুজ্জীবিত করে কোনও লাভ নেই।
ফরাক্কা ব্যারেজের বিরোধিতা করতে গিয়ে কপিল ভট্টাচার্য তিস্তা সহ যে সব নদী উত্তর-পূর্ব হিমালয় থেকে নেমে এসেছে, সে ব্যাপারেও লিখেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, ‘ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অর্থাৎ উত্তর বিহার ও অসমের হিমালয়-নির্গত নদীগুলি দুর্দান্ত। কুশি, মহানন্দা, তিস্তা প্রভৃতি নদী কোন বছরের বন্যায় কত জল বহন করে, এতে কোন খাত দিয়ে নামবে বলা দুঃসাধ্য। হিমালয়ের এই অংশে কখনও কখনও ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে এত বেশি বৃষ্টিপাত হয় যে, তা চিন্তারও অতীত। এই সব নদী দিয়ে হঠাৎ সেই জল নেমে এসে প্লাবনের বিপর্যয় ঘটায়। সুতরাং এইসব নদীর সম্যক পর্যবেক্ষণ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ফরাক্কায় গঙ্গা-ব্যারেজ নির্মাণে বিপুল অর্থব্যয় অত্যন্ত হঠকারী কাজ হবে।’ এটাই ছিল তাঁর ফরাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে জোরালো যুক্তি। ২০২৩ সালের অক্টোবর অতিবৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর লোনক হ্রদ ভেঙে যে হঠাৎ বন্যা আছড়ে পড়েছিল, সেই ঘটনাও বিশেষজ্ঞদের মনে করিয়ে দিয়েছিল কপিল ভট্টাচার্যের কথাগুলি। আবার, কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির যে যুক্তি কপিল ভট্টাচার্য খণ্ডন করেছিলেন, সেটাও যে সত্য, তা প্রমাণিত হতে বেশি দেরি হয়নি। তাই কলকাতা বন্দরে এখনও বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। ফলে হলদিয়াতে গড়তে হয়েছিল আরও একটি বন্দর। অথচ, কোনও এক বহুল প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র নাকি তাঁকে দাগিয়ে দিয়েছিল ‘পাকিস্তানের চর’ বলে।
আজ এই ফরাক্কা ব্যারেজই যাবতীয় সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু! গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। এই আবহে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে ‘ফরাক্কা-গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি’ নবীকরণের জন্য ‘যৌথ কারিগরি কমিটি’ তৈরি করা হয়েছে। কার্যত এই পদক্ষেপে দু’দেশের জলবণ্টন চুক্তি নবীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হল বলে অনেকে মনে করছেন। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপ আসলে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত। রাজ্য সরকারকে এড়িয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলার বুকে বাংলাকে এড়িয়ে এবং বাংলার স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কোনও কাজ করা সহজ নয়। বাংলার জল না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। বাংলার জল বিক্রি মানে আগামী দিনে গঙ্গার ভাঙন আরও বাড়বে, বাড়িঘর ভেঙে জলের তলায় চলে যাবে। ফরাক্কার জল নিয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে ভুগছি আমরা। যে অর্থ দেওয়ার কথা ছিল তা দেয়নি। গত দু’তিন দশকে ব্যারেজের আশপাশে পলি জমে নদীর নাব্যতা কমে চর গজিয়েছে। ড্রেজিং করেনি। ফলে কলকাতা বন্দর নষ্ট হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা জলের তলায় চলে যাচ্ছে। অথচ, সিকিমে ১৪টা হাইড্রেল পাওয়ার স্টেশন হয়েছে। সিকিম সব জল আটকে দিয়েছে। তখন কেন কিছু বলেনি। আমার জল দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু, থাকলে তো দেব। আমি বন্ধুত্ব করতে চাই। কিন্তু, বাংলাকে বিক্রি করে দেওয়ার স্বার্থে নয়।’ জল চুক্তির সময় মুর্শিদাবাদ জেলায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে রাজ্য সরকারকে ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। তার কানাকড়িও তারা দেয়নি।
তথ্য বলছে, ফরাক্কা ব্যারেজে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত গঙ্গায় গড় জলপ্রবাহ ছিল ১,০৭,৫১৬ কিউসেক। প্রতি বার শুখা মরশুমে কমত জলপ্রবাহ। এপ্রিল মাসের শেষে জলপ্রবাহ কমে দাঁড়াত ৬০,৯৯২ কিউসেকে। ফরাক্কার মূল ব্যারেজ থেকে জল ধুলিয়ান, সুতি, জঙ্গিপুর, লালগোলা হয়ে ঢোকে বাংলাদেশে। ফরাক্কা ব্যারেজের পাশ দিয়ে একটি খাল কেটে তার মাধ্যমে ৩৮ কিমি দূরে জঙ্গিপুরে গঙ্গার জল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৮ সালের ওই জলপ্রবাহ ধরে ১৯৯৬ সালে বণ্টন চুক্তি হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে চার দশক। অভিযোগ, গত চার দশকে প্রতি বছর প্রায় ৮০ কোটি টন পলি ভেসে ফরাক্কা ব্যারেজের আশপাশে জমছে। তাতে ফরাক্কা ব্যারেজের জলধারণ ক্ষমতা অনেক কমেছে। আসল সমস্যা ব্যারেজের ড্রেজিং। কেন্দ্র এর জন্য একটা টাকাও খরচ করে না।
জলবণ্টন চুক্তি মোতাবেক, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন ৪০ হাজার কিউসেক করে জল পায় ভারত। ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে ফিডার ক্যানাল হয়ে কলকাতা বন্দরে যায় সেই জল। অবশিষ্ট জল মূল ব্যারেজ হয়ে যায় বাংলাদেশে। তবে মার্চ-এপ্রিলে নদীতে জল কমতে শুরু করলে সমস্যা বাড়ে। চুক্তি অনুযায়ী, মার্চ মাসে ২০ দিন বাংলাদেশে ৩৫ হাজার কিউসেক করে জল যায়। পরবর্তী ১০ দিন ভারত পায় একই পরিমাণ জল। এপ্রিলে উল্টো। ওই মাসে ভারত ২০ দিন পায় ৩৫ হাজার কিউসেক জল। বাংলাদেশ শেষ ১০ দিন পায় একই পরিমাণ জল। বাকি সময় নদীতে যে জলপ্রবাহ থাকবে, তা পাবে দু’দেশই। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে জল বণ্টন চুক্তির ফলে ফিডার ক্যানালে জলপ্রবাহ অনেক কমে গিয়েছিল। সেই সময় পাশের এনটিপিসি-তে ২,১০০ মেগাওয়াটের ৬টি বিদ্যুৎ ইউনিট জলাভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে এনটিপিসি নিজেরা আলাদা ইনটেক ক্যানাল তৈরি করে জল আগে থেকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে। অন্য দিকে, মূল ব্যারেজের জলপ্রবাহ তলানিতে ঠেকার ফলে গঙ্গা এবং পদ্মা জুড়ে গ্রীষ্মকালে প্রচুর চর গজিয়ে উঠেছে। গঙ্গার জল সরবরাহের উপর নির্ভরশীল বহু এলাকার বাসিন্দাও ওই সময় তীব্র জলকষ্টে ভোগেন। আবার প্রতি বছর ৩১ মে চুক্তি শেষ হতেই ব্যারেজে আছড়ে পড়ে জলস্রোত। সেই জলের তোড়ে ধুলিয়ান, সুতি, জঙ্গিপুর, লালগোলার বহু গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়ে।
শুধু তাই-ই নয়, প্রায় আট বছর আগে ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে ঠিক ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে পাংশায় পদ্মা নদীর উপর হাসিনা সরকার বাঁধ নির্মাণে উদ্যোগী হওয়ায় আপত্তি তুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দু’দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত জলঙ্গি এবং মাথাভাঙা নদী ইতিমধ্যেই পদ্মার সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘এর ফলে সুন্দরবনে মিষ্টি জলের প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, চীনকে দিয়ে ড্যাম (জলাধার) বানিয়েছে বাংলাদেশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, জল অত্যন্ত মূল্যবান। প্রাণধারণের রসদ নিয়ে কোনও সমঝোতা করতে আমরা প্রস্তুত নই। অতএব, লড়াই-আন্দোলন একমাত্র পথ।
বাংলার মানুষ জানতে চায়, মমতার জলযুদ্ধে বঙ্গ বিজেপির খগেন মুর্মুরা কোন দিকে— পশ্চিমবঙ্গ নাকি বাংলাদেশ?
11th  July, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
একনজরে
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জয়নগরে খুন হওয়া চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত হল কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আদালতের নির্দেশে কল্যাণীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের (এইমস) ১১ জনের চিকিৎসক দল অংশ নিয়েছিলেন ময়নাতদন্তে। ...

মোবাইল নিয়ে দিদির সঙ্গে বচসা। ‘অভিমানে’ বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের পীরগঞ্জ গ্রামে। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ...

ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ছ’জন খাদানা শ্রমিক। অসমর্থিত সূত্রে অবশ্য মৃতের সংখ্যা আট। গুরুতর জখম হয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি তিনজন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ...

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-টু’এ আর নেই মোহন বাগান। ইরানের ক্লাব ট্রাক্টর এফসি’র বিরুদ্ধে দল মাঠে না নামানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিল এএফসি। সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-টু প্রতিযোগিতার নিয়মবিধির ৫.২ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় বায়ুসেনা দিবস
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস 
প্রাকৃতিক বিপর্যয় হ্রাস দিবস

১২৫৬: প্যারিসে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সারবন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন
১৭৩৫: ফরাসী গণিত ও ভুগোলবিদরা পৃথিবীর সঠিক কাঠামো চিহ্নিত করার জন্য প্রথম গবেষণা কাজ শুরু করেন। এ লক্ষ্যে ফরাসী সরকার বিজ্ঞান একাডেমির ঐ গবেষণা কাজের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করে। বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে পৃথিবীর বিষুব রেখা ও দুই মেরুর ভেতরের দিকে চেপে থাকার বিষয়টি আবিষ্কার করেন।
১৮৬২:  বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ (বাবা আলাউদ্দিন খান)-এর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা রাজ কুমারের জন্ম
১৯৩২: দেশের বায়ুসেনার (রয়্যাল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স) জন্ম
১৯৩৬: সাহিত্যিক মুন্সি প্রেমচাঁদের মৃত্যু
১৯৬৭: গেরিলা নেতা চে গুয়েভেরা ও তাঁর দলকে বলিভিয়ায় বন্দি করা হল
১৯৭০: ফ্যাশন ডিজাইনার ও চিত্র প্রযোজক শাহরুখ পত্নী গৌরী খানের জন্ম
১৯৭৯: সমাজকর্মী জয়প্রকাশ নারায়ণের মৃত্যু
২০০৫: কাশ্মীরে ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু 
২০১১:  সি প্রোগ্রামিং ভাষার জনক ডেনিস রিচির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

২২ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪। পঞ্চমী ১৪/২৩, দিবা ১১/১৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৫৬/২৫, রাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/৩৪/৩, সূর্যাস্ত ৫/১৪/২৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২১ মধ্যে পুনঃ ৭/৮ গতে ১১/১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৮/৩২ মধ্যে পুনঃ ৯/২১ গতে ১১/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/১৮ মধ্যে। 
২১ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৭/৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১/৪। সূর্যোদয় ৫/৩৪, সূর্যাস্ত ৫/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩০ মধ্যে ও ৭/১৪ গতে ১০/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ৩/১১ মধ্যে ও ৪/৫৪ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২১ মধ্যে। 
৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জয় জন হপফিল্ড, জেফারি হিন্টনের

04:48:50 PM

হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচন: আম্বালা ক্যান্ট আসনে জয়ী বিজেপি প্রার্থী অনিল ভিজ

04:47:00 PM

হাওড়ার আমতার জয়পুরে বাজ পড়ে মৃত এক যুবক

04:45:00 PM

হিন্দুস্থান পার্কে ঠাকুর দেখতে লম্বা লাইন

04:44:00 PM

আর জি কর কাণ্ড: ‘আমি কিছু করিনি, ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না’, আদালতে দাবি সঞ্জয় রায়ের

04:28:19 PM

নিজের বাড়িতে খুন হলেন বৃদ্ধ
মোহনপুর থানার বারাকপুর চককাঠালিয়ায় নিজের বাড়িতে খুন হলেন এক বৃদ্ধ। ...বিশদ

04:26:00 PM