ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জলপাইগুড়ির ডিএফও বিকাশ ভি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। আমরা বনকর্মীদের বলেছি, কোথায় এ ধরনের বেআইনি বৈদ্যুতিক ফেন্সিং রয়েছে, সেব্যাপারে খোঁজ করতে। বিষয়টি পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ দপ্তরের জলপাইগুড়ির রিজিওনাল ম্যানেজার সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, এদিন যেখানে হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে আমাদের কোনও বিদ্যুতের লাইন নেই। এবার অন্য জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দূরে এসে হাতির মৃত্যু হতে পারে কি না জানা নেই। তবে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া গজলডোবার আশপাশের গ্রামগুলিতে কোথাও কোনও অবৈধ বৈদ্যুতিক ফেন্সিং আছে কি না, তা নিয়ে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।
এদিন যেখানে হাতিটির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়, তার কিছুটা দূরেই এক নম্বর টাকিমারি এলাকা। কয়েকদিন আগে সেখানে অবৈধ বৈদ্যুতিক ফেন্সিংয়ের সংস্পর্শে এসে শিশু সহ একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় সামনে আসে, হাতির হামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির চারদিকে হুকিং করে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং দিয়েছিল পরিবারটি। এটাও জানা যায় যে, ওই এলাকায় অনেক বাড়িতে এমন চোরাগোপ্তা ফেন্সিং রয়েছে। অভিযোগ মেলে, টাকিমারি, মিলনপল্লি, দুধিয়ার চর প্রভৃতি গ্রামে বাড়ি ও ফসল বাঁচাতে অনেকেই অবৈধ বৈদ্যুতিক ফেন্সিং দিয়ে রাখছেন। ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এনিয়ে প্রচারে নামে বিদ্যুৎ দপ্তর। কেউ যাতে হুকিং না করেন এবং ফসল বাঁচাতে অবৈধ বৈদ্যুতিক ফেন্সিং না দেন, সেজন্য প্রচার চালানো হয় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের তরফে।