Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। তোপ দাগা। নিঃসন্দেহে একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তার বিচার এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সবাই চায়। কিন্তু বিচারের নামে এমন সামাজিক অশান্তির আবহ তৈরির অপচেষ্টাই বা কতটা সমর্থনযোগ্য? সেই অপরাধে হাসপাতাল 
বন্ধ থাকবে? লক্ষ লক্ষ গরিবকে দুর্ভোগে (পড়ুন, শাস্তি দিতে!) ফেলে। তাও একদিন, দু’দিন নয়, টানা দু’মাস। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই দেখছি এত বিষ ছড়িয়েও, সবাইকে বিদ্রোহের লিটমাসে চুবিয়েও বাংলার অন্তর্নিহিত আনন্দমুখর প্রাণশক্তি, উৎসবপ্রিয় মনটাকে মেরে দেওয়া যায়নি একটুও। সব একই আছে। প্রমাণ হচ্ছে, ওটা অনুভবের ব্যাপার। হাড়গোড় ঘাঁটা ডাক্তারদের কম্ম নয়। তাই মহালয়া থেকেই বাঙালি মনে যেন সেই পুরনো খুশির ঝিলিক। শত দুঃখ কষ্টের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার আকাশ বিস্তৃত তৃপ্তি। শিউলি গাছ শহরের ফ্ল্যাট কালচারে ব্রাত্য হলেও তার গন্ধ বেশ অনুভব করছি মনের কানায় কানায়। ছোট ছোট তারা নক্ষত্রের মতো ছেলেমেয়েরা হাত ধরাধরি করে মণ্ডপে ঢুকছে 
বেরচ্ছে মধ্যরাতেও। ফুচকাওয়ালার আজ আর ভোররাতেও ঘরে ফেরার তাড়া নেই। আঙুলে বেলুন বেঁধে মায়ের সঙ্গে হাঁটছে পুচকে। পুজো যাপনের অপূর্ব এই আলোয় ভাসতে শুরু করেছে গ্রাম 
বাংলা থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র। এটাই বাংলা। এটাই উৎসব। তাতে ফেরা মানে শিকড়ের কাছে ফেরা। ভেকধারীদের ‘আজাদি’ স্লোগানে সেই ভিত্তি সহজে ছিন্ন হওয়ার নয়।
এই পুজো শপথ নেওয়ারও। সত্যিমিথ্যে ছড়িয়ে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক। বিশেষ করে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের অবিরাম বিষবর্ষণ। আমেরিকায় বসে পিতা মাতাকে ভুলে যাওয়া বাঙালিও সকালসন্ধে ‘বিচার’ চাইছে। প্রতিবাদ করছে। অথচ অনেকেই বাবা, মার শেষকৃত্যেও দেশে ফিরতে পারেনি বা প্রয়োজন বোধ করেনি। দু’রাত পিস ওয়ার্ল্ডে থাকার পর দাহ করেছে পাশের বাড়ির লোক! তাঁদের কাছে অভয়াকে কারা কীভাবে মেরেছে, সেই ধারাবিবরণী শুনে অবাক হচ্ছি। এত তথ্য তো সিবিআইয়ের কাছেও নেই! সিবিআইকে ভাগিয়ে ইউটিউবওয়ালাদের কাউকে তদন্তভার দিলে তো এতদিনে বিচার সম্পূর্ণ হয়ে যেত। কোনও কোর্ট কাছারির দরকারই হতো না! কিন্তু বাংলার বদনাম করে কার লাভ? আমরা যাঁরা এখানেই থাকব, বাইরে যাব না, তাঁদের বলি রাজ্যটার বদনাম করে আপনার রুটিরুজি নিরাপদ থাকবে তো? আপনি মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবেন তো? আমেরিকাতেও কিন্তু নিয়ম করে স্কুলে গুলি চলে। ধর্ষণ হয়, খুনখারাবি লেগেই থাকে। মাসে অন্তত হাফ ডজন এমন খবর ছাপতে হয় আমাদের। উত্তরপ্রদেশে, মহারাষ্ট্রে, বেঙ্গালুরুতে একটাও খুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে না, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন তো? বিদেশে বসবাস করা প্রবাসীরা বাংলার নামে নাক সিঁটকোচ্ছেন। অথচ দিল্লি থেকে হাতরাস, আমেরিকা থেকে ব্রিটেন, কোথায় বলুন তো ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটেনি গত একমাসে। আমেরিকায় পুলিসি হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গকে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে কোনও না কোনও স্কুলে গুলি চলছে। মৃত্যু হচ্ছে। কই কোথাও তো আমেরিকার বদনাম করার জন্য সবাই মুখিয়ে নেই। তাহলে দোষীকে শাস্তি না দিয়ে বাংলার এত বদনামে ক্ষতি কার? বাজার পণ্ড করে গরিব মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টাই বা কেন? সামনাসামনি ভোটে জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই এত গরল বর্ষণ?
অবশেষে জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘ কর্মবিরতি উঠল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে এল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মিটলে অনশনের হুমকি। পুজোর 
মধ্যে অনশন কোনকালে হয়েছে? কী চাইছে মেধাবী ছেলেমেয়েরা? যদি ভিড় আরও পাতলা হয়, সেই ভয় থেকেই কি অনশনের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন জিইয়ে রাখার চেষ্টা? বলতেই হবে, কর্মবিরতি প্রত্যাহারও লক্ষ লক্ষ গরিব রোগীর স্বার্থে নয়। সিনিয়র ডাক্তাররা যাতে পুজোর ছুটি পুরোদমে উপভোগ করতে পারেন তার জন্য। প্রশ্ন উঠবেই সিনিয়ররা এতদিন পর যখন কর্মবিরতি তুলতে সক্রিয় হলেন, তখন এতদিন চুপ করে বসেছিলেন কেন? টানা দু’মাস কেটে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে সব পক্ষ বারবার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতালগুলিকে সচল করার। সবাই জানে বিচার একদিনে আসে না। তার একটা পদ্ধতি আছে। আইন আছে। নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত ঘুরেই বিচার সম্পূর্ণ হয়। সেইসঙ্গে তদন্ত কতটা সফল, চার্জশিট কতটা শক্তিশালী তারও চুলচেরা যাচাই চলে। সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য যাই বলুন, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের তথ্যের উপর ভিত্তি করে এখনও এদেশে কারও ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন সাজা হয় না! সৌদি আরবের মতো প্রকাশ্যে কোতলও এখানে নিষিদ্ধ। 
জুনিয়র ডাক্তাররা বিচারের নামে ঠিক কী চাইছেন? কয়েকশো ঘণ্টার জিবি বৈঠকের মোদ্দা নির্যাস কী? বোধহয় এই মুহূর্তে স্বয়ং ঈশ্বরও তা জানেন না। বিচার চাওয়ার দাবিতে যে আন্দোলনের শুরু তা আজ পথ হারাইয়াছে ব্যক্তিগত ইগো আর রাজনীতির কানাগলিতে। চিড় ধরতে শুরু করেছে। সিনিয়র ডাক্তাররাও বেশ বুঝতে পারছেন নিজেদের অজান্তেই তাঁরা ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করে ফেলেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বারংবার সম্পূর্ণভাবে কাজে ফিরতে বলেছে। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তা মানেননি। উল্টে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই লক্ষ লক্ষ রোগীকে ভয়াবহ দুর্ভোগে ফেলেছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছেন। অত্যন্ত নমনীয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার আগে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে গিয়েছেন। তাঁদের কৌঁসুলি প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন, তাঁরা কাজে ফিরেছেন। এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও নতুন করে এতদিন টানা এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার অর্থ কী? প্রথমে যে সিনিয়র ডাক্তাররা সহানুভূতি জানিয়েছিলেন, তাঁরাও আজ বিরক্ত। তাঁরা প্রথমে সমর্থন জানিয়েছিলেন, মদত দিয়েছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় তাঁদের অতিরিক্ত ডিউটিও করতে হয়েছে গত দু’মাস ধরে। কিন্তু নানা বাহানায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করার চেষ্টা কেউ সমর্থন করে না। এটা ঠিক জুনিয়রদের পক্ষে শুরুতে একটা জনসমর্থন ছিল বলেই সরকারও সুপ্রিম কোর্ট বলার পরও অত্যন্ত সংযতভাবে পদক্ষেপ করছিল। কিন্তু তরুণ চিকিৎসকদের বাড়াবাড়িতে সেই নৈতিক জায়গাটা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই আন্দোলন আর শুধু হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং অভয়ার বিচারে সীমাবদ্ধ নেই, বৃহত্তর কোনও চক্রান্ত ও ব্লুপ্রিন্টের অঙ্গ। তাই এনআইএ পর্যন্ত আসরে নেমেছে।
ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি, হাসপাতাল, দমকল, দুগ্ধ সরবরাহ, সংবাদপত্র জরুরি পরিষেবার অধীন। হাজারো সমস্যা, বিরোধ, মন কষাকষি, দাবিদাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতভেদ হলেও পরিষেবা বন্ধ রাখা যায় না। পরিষেবা দিতে পারব না বলে কখনও কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। এমনিতেই উৎসবের সময় হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না। কারও পরিবারে পুজোর মধ্যে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে উদ্বেগ ও চিন্তা স্বভাবতই বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তার উপর যদি সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘ব্যাকবোন’ জুনিয়ররাই পূর্ণ উদ্যমে না থাকেন তাহলে পরিণতি কতটা শোচনীয় হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। এবারও বহু ডাক্তারের বিমান ও হোটেল বুকিং অনেক আগে থেকেই সারা। কিন্তু ওই যে বললাম, আন্দোলনের রাশ এখন সিনিয়রদের হাতেও নেই, সম্পূর্ণ জুনিয়রদের হাতেও নেই। অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে একটা পৈশাচিক ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন আপামর বাঙালির আবেগ ও সমর্থনে শুরু হয়েছিল তা আজ কুটিল রাজনীতির হাতে বন্দি। আর বন্দি বলেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাজ্য সরকারের সহানুভূতি, সাধারণ মানুষের অপরিসীম দুর্ভোগ কোনও কিছুতেই কুছ পরোয়া নেই। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের এই ভূমিকা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।
কিন্তু এতে দু’মাস ধরে শাপে বর হল কাদের? ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাঝারি মাপের নার্সিংহোমের। শহরের পাঁচতারা কর্পোরেট হাসপাতাল মালিকদের। মার খেতে খেতে কোণঠাসা গরিব মানুষ যে তিমিরে সেই তিমিরেই। এই কি বিচারের নমুনা? আর টানা দু’মাস ধরে যারা বাংলার দুর্নাম করলেন তাঁরা কতটা লাভবান হলেন? বিচার এখনও মেলেনি। সিবিআই লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ। নানা সম্ভাবনা হাতড়ে বেড়াচ্ছেন মাত্র। আর বাম, অতি বাম মিলে বিচারের আড়ালে বাংলার বদনাম করতেই ব্যস্ত। গোটা বিশ্ব বাংলার সমালোচনা করলে শূন্য হয়ে যাওয়াদের বুক যদি গর্বে ফুলে ওঠে, 
তাহলে তাই করুন। কিন্তু বাম ও অতি বামদের এই চক্রান্তে পা দিয়ে আপনার আমার লাভ কতটা? বাংলা ও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এসে গিয়েছে। রাজনীতি, সমালোচনা, বদনামের জন্য তো বাকি বছরটা পড়ে আছে। এই ক’টা দিন ছেড়ে দিলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত? নাকি বিচারের 
আড়ালে বৃহত্তর কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে? মানুষ কিন্তু বোকা নয়। উৎসবটা ভালোয় ভালোয় কেটে যাক। ঠিক সময়ে আবারও জবাব দেবে আম জনতা। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে নয়, সরাসরি ভোটযন্ত্রে।  
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
একনজরে
পটাশপুর থানার দক্ষিণ খাড় গ্রামে টেবিলফ্যান চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম ষষ্ঠী দাস অধিকারী(৪৫)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ...

দুর্গাপুজোর আয়োজনের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে বিসর্জনের কার্নিভাল নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেল। কার্নিভালের জন্য এবার শ্রীরামপুর শহরকে নির্বাচন করা হয়েছে। গতবছর জেলা সদর চুঁচুড়ায় কার্নিভালের ...

শুক্রবার রাত থেকে ব্যাপক গঙ্গা ভাঙন গোপালপুরের কামালতিপুরে। শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মিটার জমি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। মাসখানেকের বেশি সময় পর সবেমাত্র বন্যার জল ...

কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ভারতের নেতৃত্বের ব্যাটন রোহিত শর্মার থেকে এসেছে সূর্যকুমার যাদবের হাতে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও তিনিই অধিনায়ক। আত্মবিশ্বাসী সূর্য বলেছেন, ‘নতুন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০২ - ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন হয়
১৭৬৯ - ক্যাপটেন কুক নিউজিল্যান্ডে পদার্পণ করেন
১৮৬০ - ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনে পরিণত হয়। তবে এর কার্যকারিতা শুরু হয় ১ জানুয়ারি ১৮৬২ সালে
১৮৮৯- মার্কিন আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন প্রথম মোশন পিকচার প্রদর্শন করেন
১৮৯৩-জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার জন্ম
১৯৩০ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার রিচি বেনোর জন্ম
১৯৩৩ - কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর জন্ম
১৮৪৪- বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জিতান রাম মাঝির জন্মদিন
১৯৪৬- অধুনা পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা, প্রযোজক ও রাজনীতিক বিনোদ খান্না
১৯৪৬ -ইংরেজ ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেগের জন্ম
১৯৫৬- প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজনীতিবিদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন
১৯৬৩- অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রের জন্মদিন
১৯৭৬-পরপর দু’টি বিস্ফোরণে আটলান্টিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ে কিউবার বিমান। মারা যান ৭৩ জন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪। তৃতীয়া ৫/৪৩, দিবা ৭/৫০। বিশাখা নক্ষত্র ৪৬/৩৫, রাত্রি ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/৩৩/২২, সূর্যাস্ত ৫/১৬/১৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ১/২৭ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৪৪ গতে ৪/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/২৯ মধ্যে।  
১৯ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪। চতুর্থী অহোরাত্র। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৯ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/২৮ মধ্যে  ২/১৯ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৭ গতে ৪/১২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট দুর্নীতি মামলা: পাটনা আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই

05-10-2024 - 10:31:00 PM

মহিলা টি-২০  বিশ্বকাপ: বাংলাদেশকে ২১ রানে হারাল ইংল্যান্ড

05-10-2024 - 10:30:00 PM

ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

05-10-2024 - 09:48:00 PM

জম্মুর ঘোরটায় বিস্ফোরক উদ্ধার, তদন্তে পুলিস

05-10-2024 - 09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

05-10-2024 - 09:29:00 PM

মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু রানাঘাটের ৮৪ বছরের বৃদ্ধের

05-10-2024 - 09:19:00 PM