ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে তিনবছর আগে কাগ্রামের নিতাই দাসের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় বিউটির। বিউটির বাপেরবাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিগঞ্জ গ্রামে। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়। বছর দেড়েকের ওই সন্তানের নাম অঙ্কুশ। অঙ্কুশের জন্মের পর থেকেই সংসারে অশান্তি নেমে আসে বলে মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ। মৃতার বাবা শচীন মণ্ডল বলেন, মেয়েকে কথায় কথায় মারধর ও মানসিক অত্যাচার করত নিতাই ও তার বাড়ির লোকজন। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখাত। সেই সব অত্যাচার সহ্য করেও মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে পড়েছিল। শুক্রবার সেই অত্যাচার এতটাই বেড়ে যায় যে মেয়ে ফোন করে আমাকে কাগ্রাম থেকে নিয়ে যেতে বলে। সেই মতো বিকেলেই মেয়েকে আনতে যাই। কিন্তু, আমাকেও অসম্মান করা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি মেয়ের বাড়িতেই ছিলাম। ওই সময়ে মেয়ের শাশুড়ি আমার সঙ্গে একটিও কথা বলেননি। জামাই কর্মসূত্রে কেরলে থাকে। তাই জামাইয়ের সঙ্গেও দেখা হয়নি। তখন মেয়েকে বললাম শনিবার সকালে বাড়ি নিয়ে যাব। এরপর রাতে আমি মেয়ের কাকাশ্বশুর গোপাল দাসের বাড়িতে ছিলাম।
শনিবার সকালে বধূর ঘরের ভিতর থেকে অঙ্কুশের কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা। সেই সময় মৃতার বাবাকেও ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সকলের সামনেই প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে শিশুকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখতে পান, সিলিং ফ্যানে ঝুলছে বিউটি। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হয়।
মৃতার মা সরস্বতী মণ্ডল বলেন, মেয়ের উপর প্রতিদিনই অত্যাচার হতো। শুক্রবার মেয়ে একজন হকারের কাছে ১০ টাকা দিয়ে প্লাস্টিকের ঝুড়ি কিনেছিল। তা নিয়ে সারাদিন মেয়ের উপর অত্যাচার করা হয়। মেয়ের খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি। মৃতার কাকাশ্বশুর গোপাল দাস বলেন, ওদের সংসারে প্রায়সময়ই অশান্তি লেগে থাকত। আবার মিলও হতো। কিন্তু, এমনটা হবে ভাবতে পারিনি।