ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
পুজোর আগের দু’মাস যখন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসা তুঙ্গে থাকে, সেই পরিস্থিতিতে চলতি বছরে বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে দুটি সপ্তাহে বন্ধ রাখতে হয়েছে গোটা বাজার। ব্যবসায়ীদের দাবি, সে-সময়েই বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভিড় উপচে পড়ে। তখন হাঁফ ফেলার সময় পান না মঙ্গলাহাটের কারবারিরা। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে এবছর পাইকারি দোকানদারদের ভিড় সেভাবে দেখা যায়নি। মালপত্র নিয়ে আটকে যাওয়ায় অনেকেই মঙ্গলাহাটে আসেননি। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতির কারণেও এবছর বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা কম এসেছেন। চতুর্থীর সকালে মঙ্গলাহাটের বাজারে স্থানীয় ক্রেতাদের দেখা মিললেও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ছিল না।
মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি (সেন্ট্রাল) মলয় দত্ত বলেন, ‘গতবছর পুজোর আগের সপ্তাহে একদিনে একেকটি হাট থেকে অন্তত ৬৫ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছিল। এদিন ১৫ কোটি টাকারও ব্যবসা হয়েছে কি না সন্দেহ। এখন শীতকালীন বাজারই ভরসা।’
সেদিন দুপুরে শিশুদের জন্য পুজোর লেটেস্ট ফ্যাশনের জামা কিনতে মঙ্গলাহাটে এসেছিলেন আরামবাগের বাসিন্দা জগদীশ সামন্ত ও দীপক পোড়েল। তাঁরা বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির জন্য এবারের ব্যবসা একেবারেই শেষ। তবুও পুজোর দুটো দিন আগে দোকানের জন্য কিছু মালপত্র তুলতে এসেছি। অন্তত বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে কিছু ক্রেতা আসছেন।’
মঙ্গলাহাটের ছোট ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলছেন, সমবায়িকা হাট, নবীন হাট, ফ্যান্সি হাট, মডার্ন হাট, পোড়াহাট প্রভৃতি মিলিয়ে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন মঙ্গলাহাটে বড় ব্যবসায়ীদের তুলনায় ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সংখ্যাই বেশি। পাশাপাশি ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসেন কয়েক হাজার বিক্রেতা। তাঁরা কীভাবে কর্মচারীদের পুজোর বোনাস দেবেন, জানা নেই।