পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয়দের অভিযোগ, দমদম রোডে যানজটের সমস্যা বহু দিনের। রাস্তায় দোকান ও বাজারের পাশাপাশি গাড়ি পার্ক করার জন্য সমস্যা মারাত্মক আকার নিয়েছে। সমস্যা সমাধানে মাসখানেক আগে অভিযান চালানো হয়েছিল। তারপর ফের পুরসভা বৈঠক করে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার রাতে অভিযান হবে এবং রাস্তার দু’পাশের দোকান ও সব ধরনের নির্মাণ যা ফুটপাতের দিকে রয়েছে তা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সে কাজ হয়নি। রাতে পুরসভা ও পূর্তদপ্তর রাস্তার দু’দিকে সাদা দাগ দেয়। ওই দাগের বাইরে দৈনিক বাজারের ব্যবসায়ীদের বসতে নিষেধ করা হয়েছিল। সোমবার সকালে দেখা গিয়েছে, ব্যবসায়ীরা সাদা দাগের মধ্যেই বসেছেন। কিন্তু স্টেশনের পাশ থেকে নাগেরবাজারগামী লেনে সাদা দাগের বাইরে ইঞ্জিন রিকশ, অটো, ট্যাক্সি ও বাইক পার্ক করা। ফলে যথারীতি যানজট তৈরি হয়। একটু এগিয়ে রাস্তার দু’দিকে অবৈধ পার্কিংয়ের চিত্র আরও বেআব্রু। হনুমান মন্দির লাগোয়া রাস্তার দু’দিকে বাস, ছোটা হাতি সহ নানা ধরনের গাড়ি পার্ক করা। এই প্রবণতা রাতে আরও ভয়াবহ চেহারা নেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়া এদিন দিনভর ইঞ্জিন রিকশ, টোটো, ভ্যানোর দাপট ছিল। অথচ ঘোষণা হয়েছিল, রাস্তায় টোটো, ইঞ্জিন রিকশ ইত্যাদি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। ফলে সকালে স্কুল টাইম ও অফিস টাইমে আগের মতো যানজটের ছবি ফিরে আসে এদিন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও তৃণমূলের দমদম বিধানসভা এলাকার (দক্ষিণ দমদম পুরসভা) সভাপতি রাজু সেনশর্মা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অচলায়তন একদিনে ভাঙা যায় না। রাতারাতি রাস্তা ফাঁকা করতে হলে বুলডোজার চালাতে হবে, আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি না। ব্যবসায়ী, টোটো,অটো ও রিকশ চালকদের বুঝিয়ে ধীরে ধীরে রাস্তা থেকে সমস্ত দখলদারি সরানো হবে। দমদম রোডে যানজটের যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।’