কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম কুমারদাতে বেড়ে ওঠা। বাবা যাত্রা করতেন, দাদু পালাগান। তাই বেড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। ছোটবেলায় সিনেমা দেখতে হলে বাড়ি থেকে চার ঘণ্টা পথ অতিক্রম করে যেতে হতো এগরাতে। অতটা দূর যাওয়া সম্ভব হতো না বলে একমাত্র ভরসা ছিল ডিডি বাংলা। স্কুলে পড়াকালীন একটু আধটু অভিনয় করলেও সেভাবে অভিনয়ে আসার স্বপ্ন ছিল না। এমনটাই জানালেন সম্প্রতি ‘প্ল্যাটফর্ম এইট-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘গোঁজামিল’ এর নায়ক বিজয় বোস থুড়ি অভিনেতা বিমল গিরি। ‘গোঁজামিল’-এ বিমলের চরিত্র বিজয় বোস কর্পোরেট সেক্টরে চাকরিরত মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ দায়িত্ববান একটি ছেলে। তাঁর অভিনয় ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশংসিত।
হাতেখড়ি
পড়াশোনার সূত্রে কলকাতায় এসেছিলেন বিমল। ২০১৫-এ ‘স্বপ্নসন্ধানী’র ‘আন্তিগোনে’ নাটকে প্রথম অভিনয়। তারপর একে একে ‘দ্রোহ কাল’, ‘নির্ভয়া’, ‘একলা চলো রে’ নাটকে অভিনয় করেছেন। বর্তমান প্রযোজনা ‘হ্যামলেট’ নাটকেও অভিনয় করে চলেছেন। বিমলের কথায়, ‘সাত আট বছর হয়ে গেল ‘স্বপ্নসন্ধানী’তে থিয়েটার করছি। অভিনয় জীবনে যতটুকু প্রাপ্তি, পরিচিতি সবটাই ‘স্বপ্নসন্ধানী’র জন্য।’
সেলুলয়েড
তথাগত ঘোষের হাত ধরে ক্যামেরার সামনে প্রথম সুযোগ পান বিমল। থিয়েটার, সিরিয়াল, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ— এতগুলো মাধ্যমে নিয়মিত কাজ করা অভিনেতা নিজেকে শিক্ষানবিশ হিসেবে দেখতে চান। বললেন, ‘এখনও অনেকটা শেখা বাকি। অভিনয় করে আসার পর যখন অন্য কোনও অভিনেতার কাজ দেখি, তখন মনে হয় আমি তো কিছুই করতে পারিনি। তবে বর্তমানে অনেকে অভিনয়ের সুযোগ দিচ্ছেন, সেটা প্রাপ্তি।’
স্বপ্ন
সিনেমায় গ্রামবাংলা ফিরে আসুক, এটাই বিমলের স্বপ্ন। স্পষ্ট বললেন, ‘আমাদের শিকড় নিয়ে ছবি হোক। আমি জীবনের অনেকটা সময় গ্রামে কাটিয়েছি। সেকারণে গ্রামবাংলার সমাজ নিয়ে আরও অনেক ছবি হোক, যেখানে কাজ করতে পারব, এটাই আমার স্বপ্ন।’