কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
ব্রিটিশ আমলে পলতায় গঙ্গা থেকে জল তুলে তা শোধন করে টালা ট্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়ার জন্য বি টি রোডের তলা দিয়ে পাইপ বসানো হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সড়কের নীচে পানীয় জলের মূলত চারটি পাইপ রয়েছে। তার মধ্যে ৭২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি বড় পাইপ সরানোই সবচেয়ে কঠিন কাজ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। তবে মেট্রোরেল জানিয়েছে, অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তা করা সম্ভব। এ ব্যাপারে কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ একটি প্রস্তাব দিয়েছে। পুরসভার বিশেষজ্ঞরা সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখছেন। একটিও পাইপ কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে শহরে জল সরবরাহ বিপজ্জনকভাবে ব্যাহত হয়ে পড়বে। তাই সবদিক বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, বারাকপুর হয়ে কল্যাণী পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিষেবা সম্প্রসারণের দাবিতে সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ পার্থ ভৌমিক রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি লিখেছিলেন। রেলমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন। বর্তমানে ডানলপ পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু আছে। বারাকপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ প্রতিদিন বাসে-ট্রেনে বাদুড়ঝোলা হয়ে কলকাতায় যাতায়াত করতে বাধ্য হন। অটোতে ডানলপ এসে মেট্রো ধরে গন্তব্যস্থলে যান বহু মানুষ। ফলে বারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। তাই ডানলপ থেকে বি টি রোড বরাবর বারাকপুর চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত মাটির উপর দিয়ে মেট্রো চালানোর উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাইপ সরানোর প্রশ্নে তা আবার পিছিয়েও গিয়েছে। এবার নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পাইপ সরিয়ে মেট্রো লাইনের পিলার বসানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই দেখার। ফাইল চিত্র