কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
মালদহের আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক তপন কুমার দাস বলেন, যা পরিস্থিতি চলছে,তিনদিনে তাপমাত্রার অতিরিক্ত পতনের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু উত্তুরে হাওয়া এক নাগাড়ে বইতে শুরু করলে ঠান্ডা বাড়বে অনেকটাই। তিনি বলেন, এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। কুয়াশার কারণে এবং হাওয়া না বইলে ঠান্ডার দাপট কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। কয়েক দিন আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। ফলে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয়েছে। তপনবাবু বলেন, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে। শীতকে রুখে দেওয়ার মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নেই। যখন হুহু করে উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করবে, তখনই এক ধাক্কায় কড়া ঠান্ডা বোঝা যাবে। যে কোনও সময়ই ঠান্ডার এই প্রাবল্য বোঝা যেতে পারে।
মোথাবাড়ির বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার সারাদিন ঠান্ডা বেশ কম ছিল। রাতের দিকে আচমকা ঠান্ডা বেড়ে যায়। এবারের শীত যেন বেশ খামখেয়ালি আচরণ করছে।
কুয়াশার দাপট বাড়তেই কনকনে ঠান্ডার রেশ কেটে যাচ্ছে। রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার দিনের বেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ছুঁতে চলেছে। তবে রাতে পারদ নিম্নমুখী হচ্ছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। রবিবার সকালে দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মূলত মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে কুয়াশার চাদর ঘন হচ্ছে। আবার সকালের দিকে বেলা বাড়তেই কুয়াশা কেটে গিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল হচ্ছে দুপুরবেলা। তবে সন্ধের পর থেকে ঠান্ডা বাড়ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.২ ডিগ্রি এবং ভোরে সর্বনিম্ন ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দু’দিন একই রকম আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে। মেঘলা আকাশের কারণে ঠান্ডা একটু কম থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। তবে কুয়াশা বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, আগামী দু’দিন একইরকম ঠান্ডা থাকবে। তারপর ফের বাড়তে শুরু করবে। কুয়াশা ঘেরা চাঁচল। - নিজস্ব চিত্র।