কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেশ কয়েকবছর আগেই প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে বেরিয়ে এসে সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিলের অর্থে ‘বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প’ চালু করেছে এরাজ্যের কৃষকদের জন্য। এই বিমা চালু হওয়ার বছর খানেকের মধ্যে ‘ইসরোর’ রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আগে মাঠে গিয়ে ছবি তুলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কারণে ফসলের ক্ষতির বহর নির্ধারণ করা হতো। এতে সময় লাগত অনেক বেশি। এখন রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ইসরোর উপগ্রহের মাধ্যমে নেওয়া ছবি থেকে ফসলের ক্ষতি নির্ধারণ করা হয় এরাজ্যে। তার ফলে ক্ষতিপূরণের টাকা চাষিদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তাছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যায় সরাসরি (ডিবিটি)। এরাজ্যে ক্ষতিপূরণ পেতে কৃষকদের আলাদাভাবে কোনও আবেদন করতে হয় না। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন এসব ব্যবস্থাই প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় চালু করতে চাইছে মোদি সরকার। তার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থ বরাদ্দ করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষকদের নাম নথিভুক্তি ও তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোরও ব্যবস্থা হবে। এতদিন শুধু রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু শস্য বিমা প্রকল্পে যেসব সুবিধা পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েকবছর ধরে আছে, এবার সেটাই অন্য রাজ্যগুলির কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় চালু করবে কেন্দ্র। তবে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে আখ ছাড়া অন্যকোনও ফসলের ক্ষেত্রে কৃষকদের বিমার প্রিমিয়ামের টাকা দিতে হয় না। এই বাবদ পুরো টাকাই দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের শস্য বিমা প্রকল্পে সব ফসলে প্রিমিয়ামের টাকার কিছুটা হলেও কৃষকদের দিতে হয়। অন্যদিকে, বাংলার সরকার এমন ব্যবস্থা নিয়েছে যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত চাষিরা কোনও আবেদন ছাড়াই বাংলা শস্য বিমার আওতায় চলে আসেন।