কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
অসম এসটিএফ সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের নভেম্বরে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে ধরা পড়া সাজিদের ১০ বছরের সাজা হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪-এর ডিসেম্বরে। এরপর ২৭ ডিসেম্বর একটি এনজিওর মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশ পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসম এসটিএফ জেনেছে, সাজিদ পশ্চিমবঙ্গে জেলে থাকার সময়েই এবিটি-কে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেয়। সেই কাজে তার সহযোগী ছিল বহরমপুর জেলে বন্দি থাকা লাল মোহাম্মদ। জেলে থাকাকালীন দু’জনে একাধিকবার কথা বলেছে। জেলবন্দি জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে ফোনে যোগযোগ করে এবিটি সংগঠনের কাজে লাগাতে শুরু করে তারা। লাল মোহাম্মদ এই সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দেয় মুর্শিদাবাদে তার এক সময়ের সতীর্থ মিনারুলকে। তাকে বহরমপুর জেলে ডেকে পাঠিয়ে সমস্ত কাজ বুঝিয়ে দেয় লাল। এরপর সাজা শেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে বাইরে এসে পুরোদমে এবিটির নেটওয়ার্ক বাড়াতে কাজ শুরু করে সে। মাঝে বাংলাদেশ গিয়ে জসীমউদ্দিনের সঙ্গেও সে দেখা করে এসেছে বলে খবর। সেখানেই তার সঙ্গে কথা হয় জসীমউদ্দিনের সহযোগী শাদের। পরে মুর্শিদাবাদে শাদ ও নুর তার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছে বলে জানা যায়।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, সাজিদ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পর এবিটির হয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। সাজিদ খাতায়কলমে বাংলাদেশ পুলিসের হাতে আছে বলা হলেও আসলে সে আছে কট্টরপন্থীদের ঘেরাটোপে। সেখানে সে এবিটি চিফ জসীমউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছে। তার নির্দেশ পেয়ে বাংলদেশে বসে এপার বাংলায় সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করছে জঙ্গি সতীর্থদের মাধ্যমে। তদন্তকারীদের দাবি, সাজিদের মূল লক্ষ্য বাংলা ও অসমে বড় ধরনের নাশকতা ঘটানো। সাজিদ ও লালের এই ‘যুগলবন্দি’ গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে জেলবন্দি অবস্থায়ও তারা যেভাবে মোবাইলে যোগাযোগ রাখছিল, তাতে জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এমনকী, তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কীভাবে সাজিদকে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া হল, তা নিয়েও বিভিন্ন স্তরে চর্চা শুরু হয়েছে বলে খবর।