কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
সরকারি জমি জবরদখল করে ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাতাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওইসঙ্গে চিহ্নিত করা হবে, এই ভয়ানক বেআইনি কাজে কোন সরকারি আধিকারিকরা মদত দিয়েছেন। ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদেরও বিরুদ্ধে। সাফ কথা শাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকী, এই অপকর্ম করে অবসর নেওয়া ব্যক্তিরাও রেহাই পাবেন না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদের পেনশনও বন্ধ করা হবে!
এদিনের পর্যালোচনা বৈঠক শুরুই হয় সরকারি জমি জবরদখলের বিষয়ে আলোচনা দিয়ে। আলোচনা শুরু হতেই মমতা প্রশ্ন করেন, ‘বেআইনিভাবে দখল করা সরকারি জমিতে বাড়ি তৈরির বিল্ডিং প্ল্যান কে দিল? মিউটেশনই-বা করল কে? তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ‘অ্যাকশন’ নেওয়া হবে। এঁদের ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ করো। কাজটা আমি যদি করে থাকি, আমাকেও ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ করো! এই বিষয়টি সরাসরি রাজ্য পুলিসই দেখবে, জেলা প্রশাসন আর মাথা গলাবে না।’ জমি দখলকারীদের মদত দিলে মন্ত্রী-কাউন্সিলারদেরও যে রেয়াত করা হবে না, মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাও। ‘মিশন মোডে’ এই কাজ করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে মাথায় রেখে একটি কমিটিও গড়ে দেন মমতা।
তবে যাঁরা কিছু না জেনেই এখানে ফ্ল্যাট কিনেছেন তাঁদের প্রতি যথেষ্ট নরম মনোভাব দেখিয়েছেন মমতা। বর্তমান বসবাসকারীদের সাধ্যের মধ্যে কিছু জরিমানা নিয়ে বিষয়টিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ারও নিদান দেন তিনি। তবে যাঁরা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ওই বাড়ি ব্যবহার করছেন, তাঁদের কোনও ছাড় নয়—হুকুম মুখ্যমন্ত্রীর। কাজটির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে জুন মাস পর্যন্ত। জবরদখলমুক্ত জমিতে যাতে নতুন করে আর কেউ না বসে যায় সেই বিষয়ে পুলিসি নজরদারি চান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুসারে একজন আধিকারিক তিনবছরের বেশি এক জায়গায় থাকেন না, তাই তাঁরা অনেকেই দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করেন না। কিন্তু এবার আর তা হবে না, যাঁর কার্যকালে দুর্নীতি হবে, তাঁকেও দায়বদ্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে ডিজি রাজীব কুমারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি। আবার বাম আমলে অধিগৃহীত জমির খেসারত তাঁর সরকার দেবে না বলেও জানান মমতা। এনিয়ে মন্ত্রিসভায় নতুন নিয়ম পাস করানোর নির্দেশও দেন তিনি।
তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পরিষেবা পৌঁছনো নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে, বাজেট বরাদ্দ মার্চের মধ্যেই খরচ করার কথা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা করতে গিয়ে যেন কোনোভাবেই টাকাপয়সার নয়ছয় না-হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাড়াতাড়ি খরচা দেখানোর ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, এটা কিন্তু কোনও ফুর্তি করার টাকা নয়। জনগণের কাজ করার জন্যই যাবতীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়। পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ-বি-সি-ডি পদ্ধতিতে চলুন। ‘এ’ মানে ‘অ্যাভয়েড’ নয় ‘অ্যাক্টিভ’ হওয়া, ‘বি’ মানে ‘ব্লক’ নয় ‘বোল্ডলি’ কাজ করা, ‘সি’ মানে ‘কনফিউশন ক্রিয়েট’ নয় ‘ক্রিয়েটিভ’ হওয়া আর ‘ডি’ মানে ‘ডেস্ট্রাকশন’ নয় ‘ডেভেলপমেন্ট’ করা।’