কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
বর্ষবরণের সময় থেকেই শহরের রাস্তায় বাড়তি পুলিসি নিরাপত্তা থাকে, পাশাপাশি সাধারণতন্ত্র দিবসকে মাথায় রেখে মাসজুড়ে অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হয় পুলিসকে। এবারে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে তা বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে শিবপুর, শালিমার, সালকিয়া, লিলুয়া, বাঁকড়া, এমনকী ডোমজুড় ও সাঁকরাইলের বিভিন্ন ঘিঞ্জি বস্তি এলাকাগুলির উপর। পাশাপাশি হাওড়া শহর, বালি ও বেলুড়ের বিভিন্ন হোটেল, আবাসনেও নজরদারি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। বাইরে থেকে যাঁরা ঢুকছেন, তাঁদের যাবতীয় তথ্য রেজিস্টারে ঠিকমতো উল্লেখ থাকছে কি না, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ম অনুযায়ী স্টোর করে রাখা হচ্ছে কি না, এই সব বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে আবাসন কর্তৃপক্ষকে। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘উৎসব কিংবা সাধারণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের আগে আমাদের বাড়তি সতর্কতা নিতে হয়। এ বছরও মাসজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি রাখা হচ্ছে। গত বছরের শেষ তিন মাসে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালানোর ফলে গ্রেপ্তারির পাশাপাশি প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে।’
ব্যস্ততম হাওড়া স্টেশন দুই শহরের অন্যতম মূল প্রবেশদ্বার। সে কারণেই রেল পুলিসের সঙ্গেও নিরাপত্তা নিয়ে যৌথভাবে আলোচনা সেরেছে হাওড়া সিটি পুলিস। জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেল পুলিসের পাশাপাশি সন্দেহজনক গতিবিধির উপর নজর রাখতে সাদা পোশাকে হাওড়া সিটি পুলিসের ভলান্টিয়ারদেরও রাখা হচ্ছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার মতো জেলাগুলিতে যেহেতু সীমান্ত সতর্কতা প্রধান ইস্যু, সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে পুলিসের ডিএসপি বর্ডার পদমর্যাদার অফিসার অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। হাওড়া সিটি পুলিসের প্রতিটি জোনেও উচ্চ পদমর্যাদার কোনও এক অফিসারকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। হাওড়া সিটি পুলিসের ওই কর্তা আরও বলেন, ‘এলাকায় বাইরে থেকে লোক এলে মানুষ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি সতর্ক হচ্ছেন। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় অপরিচিত কেউ ঘোরাফেরা করলেই সরাসরি নিকটবর্তী থানায় খবর দিচ্ছেন বাসিন্দারা।’