পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
শান্তিনিকেতন ও বোলপুর এলাকায় জমি মাফিয়াদের দাপট রয়েছে প্রচণ্ডভাবেই। নানা সময় অভিযোগ ওঠে খাসজমি, আদিবাসীদের ভূমি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জমি ও বনভূমি দখল করার। পাশাপাশি একই জমি একাধিক ব্যক্তিকে বিক্রি সহ প্রতারণারও অভিযোগ উঠে থাকে। এই সমস্ত বিষয়ে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তর সহ ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের একাংশ জড়িত থাকারও অভিযোগ ওঠে।
শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা উপলক্ষ্যে সোনাঝুরি এলাকার শালবাগানে বনবিভাগের জমির উপর পর্যটকদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেই একটি কংক্রিটের বোর্ড দেওয়া ছিল বনদপ্তরের তরফে। যার উপর এই বনভূমিটি সংরক্ষিত ও বন্যপ্রাণীদের জন্য জানিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। রবিবার সকালে দেখা যায়, সেই বোর্ডের উপর লাল কালি দিয়ে লেখাগুলি মুছে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই লেখা মুছে দিতে চেয়েছে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। মেলার কারণে যানজট এড়াতে বনদপ্তরের জমিতে পার্কিং করা হয়েছিল। মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে আর পার্কিং হবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বনদপ্তর ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। মনে করা হচ্ছে, বোর্ডের লেখা মুছে দিয়ে বনভূমিতে ফের পার্কিংয়ের চেষ্টা করাই মূল উদ্দেশ্য। যদিও এই ঘটনা সামনে আসতেই বোলপুর বন বিভাগের তরফে শান্তিনিকেতন থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
বোলপুর বন দপ্তরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মন বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই স্থানে পার্কিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মেলায় প্রচুর পর্যটক আসার কারণে যানজট এড়াতে এই ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ক্রমাগত গাড়ি, টোটোর যাতায়াতের ফলে বেশ কিছু চারা গাছ নষ্ট হয়েছে। কিছু বড় গাছের ডাল ভাঙা পড়েছে। এখন আবার বনদপ্তরের নির্দেশিকা লাল কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিস তদন্ত করছে। তবে আগামীতে আর বনদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত কোনো জমি পার্কিংয়ের জন্য দেওয়া হবে না।