পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
হাইকোর্টের এদিনের এই নির্দেশের পর বিজেপি মস্তবড় ধাক্কা খেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এদিকে, আগামী ৩১ জানুয়ারি কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর নির্বাচন রয়েছে। মোট ১৫ জন ডিরেক্টর নির্বাচিত হবেন। ১০৮ জনের মধ্যে কারা ডিরেক্টর পদে আসবেন তা নিয়ে কাঁথি সহ গোটা জেলাজুড়ে চর্চা তুঙ্গে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পাঁচটি কেন্দ্রে আধা সেনা নিয়ে ভোট হয়। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই পাঁচ কেন্দ্রে ভোটারদের বাড়ি থেকে আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সমবায় দপ্তর। এছাড়াও ১৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই প্রায় ৩০০ সিসি ক্যামেরায় নজরদারিতে ভোট হয়েছে। ভোট নিয়ে বড় কোনও অশান্তি হয়নি। ১০৮ আসনের মধ্যে বিজেপির প্রাপ্তি মাত্র চার। এই অবস্থায় ভোট চলাকালীন গণ্ডগোল হয়েছে বলে সওয়াল করে ভোট বাতিলের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শঙ্কর বেরা-সহ ৫১ জন বিজেপি সমর্থিত পরাজিত প্রার্থী। শঙ্কর একসময় এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ডেলিগেট নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ১০৮ জন নির্বাচিত ডেলিগেট ১৫ জন ডিরেক্টর নির্বাচিত করবেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি ডিরেক্টর নির্বাচন হবে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এজন্য নিয়ম অনুযায়ী, ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ভোটগ্রহণ সব প্রক্রিয়া সব পদ্ধতি নেওয়া হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি ডিরেক্টর পদের জন্য মনোনয়ন তোলা যাবে। পরদিন জমা হবে। ১৬ তারিখ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে। ৩১ জানুয়ারি ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট হবে। ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা হবে।
১৫টি ডিরেক্টর পদের মধ্যে ১২টি অসংরক্ষিত। এই ১২টি পদের জন্য প্রায় ৪০ জনের নাম ভাসছে। তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক থেকে প্রাক্তন বিধায়ক, জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ থেকে সাংগঠনিক নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা আছেন। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান হতে গেলে ডিরেক্টর হতেই হবে। পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠ এই শহরাঞ্চলীয় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদের দিকে পাখির চোখ বেশ কয়েকজনের। শেষপর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে সেদিকে তাকিয়ে সবপক্ষ।