পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
দলের তরফে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির রূপরেখা স্থির করে দেওয়া হয়েছে। জেলার নেতাদের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে তৃণমূল ভবন। রাজনৈতিক দিক থেকে ২০২৫ সাল তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এক বছর বাদেই বিধানসভা নির্বাচন। ফাঁকফোকর ভরাট করে নিয়ে বুথস্তর পর্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে যাবতীয় কাজ করতে হবে এই বছরেই। সেই সূত্রে দলের সমস্ত স্তরের কর্মীকে একত্রিত করে কর্মসূচি রূপায়ণের বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেসব তৃণমূল কর্মী দীর্ঘদিন বসে গিয়েছেন, তাঁদের সক্রিয় করে ফের রাজনীতির ময়দানে নামানোর কথা বলা হয়েছে। এসবের মধ্যেই জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে এখন আলোচনার অন্যতম বিষয়, সংগঠনে কোন পর্যায়ে রদবদল হবে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে রদবদলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুরু হবে। জেলা সভাপতি, বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি এবং পুর এলাকায় ওয়ার্ড সভাপতিদের জায়গায় পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কারা থাকছেন, আর কারা পদ হারাচ্ছেন—তা নিয়ে এখন তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে নানা কানাঘুষো। কেউ বলছেন, কোনও লবি বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, যিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পারবেন, তাঁকেই তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক। কারও আবার মত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতা যাঁর আছে, তাঁকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হোক। কারণ, জেলার একাধিক নেতার নামে প্রকাশ্যেই বিষোদ্গার করছেন অন্য নেতারা। অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন কয়েকজন। সম্ভাব্য রদবদলের একটি তালিকা তৈরি করে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে ইতিমধ্যে জমা দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবের ভিত্তিতে তৃণমূল সুপ্রিমো কী সিদ্ধান্ত নেন, কার কার উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসে, সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
রদবদল নিয়ে এই আলোচনায় বারবার উঠে আসছে পরামর্শদাতা সংস্থা ‘আইপ্যাক’-এর প্রসঙ্গ। সম্প্রতি এই সংস্থাকে ‘প্যাক প্যাক’ বলে অভিহিত করেছেন স্বয়ং মমতা। এমনকী, নাম না করে প্রশান্ত কিশোরকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘বিহারে উনি নিজের দলকে জেতাতে পারলেন না কেন?’ এরপরই তৃণমূলের সঙ্গে আইপ্যাকের সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। তাই নতুন বছরে আইপ্যাকের কর্মকাণ্ড কী হয়, সেদিকেও কৌতূহলী নজর রয়েছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থক থেকে রাজনৈতিক মহলের।