পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
সরকারি নথিপত্র জাল, বিশ্বাসভঙ্গ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এর বেশি কিছু এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিল্ডিং প্ল্যান পাশের জাল চক্র প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুরকর্তৃপক্ষ। তারপর থেকেই ক’দিন ধরে পুরকর্মচারীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ২০২১ সালে পুরসভার পূর্ত বিভাগে থাকা এক পিওনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কারণ তাঁর মাধ্যমে আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছত। সেখানকার দুই ইঞ্জিনিয়ারকে ডাকা হয়েছিল থানায়। তাঁদেরও বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। পুরসভা কীভাবে বিল্ডিং প্ল্যান পাশের অনুমতি দেয় সেই পদ্ধতির বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেই পদ্ধতির কোনও ফাঁক গলেই জালিয়াতি করা হয়েছে কি না খুঁজে বের করা হচ্ছে।
এদিকে, চেয়ারম্যান গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরীকে লিখিতভাবে থানায় হাজির হওয়ার জন্য জানানো হয়েছিল। সেই মোতাবেক এদিন সন্ধ্যা ৫টায় থানায় হাজির হন তিনি। এসডিপিও, দিনহাটা থানার আইসি জয়দীপ মোদক সহ পুলিস কর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২০২১ সালে অনলাইনেই বিল্ডিং প্ল্যান পাশ শুরু হয়। কিন্তু তারআগে পর্যন্ত অফলাইনেই পাশ করা হতো বিল্ডিং প্ল্যান। ২০২১ সাল পর্যন্ত যাঁদের প্ল্যান পাশ হয়নি, তাঁদের জন্য তিনবছরের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অফলাইনে প্ল্যান পাশ করানো যাবে। সেই সুযোগেরই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় চক্রীরা। পুর নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্মাণ হয়েছে অনেক। আবেদনকারীদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করা হয়েছে। পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে জাল রসিদ। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অলোককুমার সেন বলেন, মঙ্গলবার বিশেষ ক্যাম্প বসবে। অফলাইনে যাঁরা প্ল্যান পাশ করিয়েছেন সেই ক্যাম্পে তাঁদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।