পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর হাওড়ার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরাম ঢ্যাং রোড, ঘুসুড়ি মোড়, নস্করপাড়া প্রতি বছর বর্ষায় জলের তলায় চলে যায়। এর অন্যতম কারণ অরবিন্দ রোড থেকে রানি ঝিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ স্যুয়ারেজ পাইপলাইনের ব্যাসার্ধ কম। বর্তমানে কেএমডিএর বসানো ৭০০ ডায়ামিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে এলাকার নিকাশির জল নিষ্কাশন হয়। বর্ষার সময় এলাকার জমা জল সরাতে পাম্প চালু করা হলে কম ব্যাসার্ধের পাইপ অতিরিক্ত চাপ নিতে পারে না। ফলে বৃষ্টির জমা জলে স্যুয়ারেজের জল মিলেমিশে একাকার হয়ে পড়ে। যে কারণে ৮০০ ডায়ামিটারের পাইপ বসানোর প্রয়োজনীয়তা আগেই উপলব্ধি করেছিল পুরসভা। এ নিয়ে একাধিকবার কেএমডিএর সঙ্গে বৈঠকও করেছিল পুর কর্তৃপক্ষ। এদিনের বৈঠকে আগামী বছরের শুরুতেই এই কাজ সেরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘উত্তর হাওড়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জমা জলের সমস্যা মেটাতে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। স্যুয়ারেজ পাইপলাইনের ব্যাসার্ধ বাড়িয়ে এই সমস্যা মেটানো হবে। শুধুমাত্র অরবিন্দ রোডের জন্য আগামী দিনে একটি শক্তিশালী পাম্পিং স্টেশন তৈরির ভাবনা রয়েছে।’ জানা গিয়েছে, নতুনভাবে স্যুয়ারেজ পাইপ বসানোর ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে সিইএসসির ভূগর্ভস্থ ইলেকট্রিক লাইন। মাটির নীচে যে অংশে স্যুয়ারেজের পাইপলাইন গিয়েছে, তার পাশেই বৈদ্যুতিক তারের একাধিক পয়েন্ট রয়েছে। ঠিক হয়েছে, শীঘ্রই কেএমডিএর সঙ্গে সিইএসসি যৌথভাবে এলাকা পরিদর্শন করে ওই পয়েন্টগুলি চিহ্নিত করবে। এরপর নতুন পাইপলাইনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হবে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘জমা জলের সমস্যা মেটাতে আপাতত পাইপলাইন বদলের কথা ভাবা হয়েছে। এতেও সমস্যা না মিটলে পুরসভা বিকল্প পরিকল্পনা নেবে।’