চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
সমাজকল্যাণ দপ্তর পরিচালিত এই বৃদ্ধাশ্রমে ২৫জন আবাসিক রয়েছেন। একটা সময় এঁদের মধ্যে অনেকের বাড়িতে পুজোও হতো। পুজোর দিনগুলিতে বাড়িঘর ঝাড়পোঁছ করা, আত্মীয়স্বজন সামলানো, রান্নাবান্না থেকে শুরু করে নানা কাজে দম ফেলার ফুরসৎ থাকত না। কিন্তু সেসব আজ স্মৃতি। কারও বাড়ির লোকজন এসে পুজোর ক’টা দিন নিয়ে যায়। আবার কারও বাড়ির লোকজন বৃদ্ধাশ্রমে ছেড়ে দিয়ে যাওয়ার পর আর খোঁজ পর্যন্ত রাখে না। বর্তমান যুগে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে তাঁরা যেন ‘বোঝা’র শামিল। তাই পুজো এলে আবাসিকরা পুজোর দিনগুলির স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান। ফেলে আসা সময়ের প্রেক্ষাপটে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার চর্চা করেন। মন খারাপ হলে সন্ধ্যায় একসঙ্গে বসে টিভি দেখা কিংবা লুডো খেলে সময় কেটে যায়। কিংবা নিখাদ আড্ডা। আবাসিকরা বলেন, এই সময়টা পরিবারের কথা খুব মনে পড়ে। সকলের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা খুব মিস করি। পুজোর দিনগুলির কথা ভাবলে কষ্ট হয়। সেই দিনগুলিতে মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে মায়ের দর্শন করে এলে ভালো লাগে। তাই ষষ্ঠীর দিন কাঁথির একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং কাঁথি মহিলা থানার যৌথ উদ্যোগে তাঁরা শহরের মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরেন। মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন, সবাই যেন ভালো থাকে। পুজোর সময় নানা সংস্থা তাঁদের পোশাক দেওয়ার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন করে। বিবেকানন্দ লোকশিক্ষা নিকেতনের কর্ণধার ব্রজগোপাল সাহু ও সাধারণ সম্পাদক গৌতম শাসমল বলেন, আবাসিকদের নিয়ে প্রতিবছর এখান থেকে গাড়ি করে কাঁথি শহর কিংবা বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরিয়ে দেখান উদ্যোক্তারা।
একই ছবি ‘বোধোদয়’ শিশু হোমেও। নানা পরিস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া ৫০জন শিশু-কিশোর এই হোমে রয়েছে। তাদেরও একটা সময় পুজোর সময় চার দেওয়ালের মধ্যে কেটে যেত। গত কয়েক বছর বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে তারা কাঁথি শহরে বিভিন্ন মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে বের হয়। তাদের হয় নতুন পোশাক, জুতো। ঠাকুর দেখে খুবই খুশি হয় ওরা। হোমের সুপার তাপস জানা বলেন, আগামী ৯অক্টোবর আবাসিকরা পুজোমণ্ডপগুলি ঘুরে দেখবে। এখন থেকেই তাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে।-নিজস্ব চিত্র