চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
গত ৩ অক্টোবর থেকে লালকেল্লার সামনের ময়দানে রামলীলার মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ১৩ তারিখ পর্যন্ত। লালকেল্লার সামনের পার্কে বসেছে ইলেকট্রিক নাগরদোলা। আর সেখানে মঞ্চ সাজানো থেকে আলোর ব্যবস্থাপনার নেপথ্যেও রয়েছে বাংলার ছোঁয়া। কারণ, শিল্পী-কারিগরদের অধিকাংশই কলকাতার বাসিন্দা। প্রতি সন্ধ্যায় হচ্ছে অভিনয়। পুরনো দিল্লির চাঁদনি চক এলাকার ব্যবসায়ীদের আয়োজনে তিনটি রামলীলা অনুষ্ঠান হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘লব কুশ রামলীলা কমিটি’। এছাড়াও ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চারশো রামলীলা হয় দিল্লিতে।
রামলীলার অনুষ্ঠানে মুম্বইয়ের খ্যাতনামা শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নেবেন সাংসদ, বিধায়করা। জানা গিয়েছে, রামলীলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল গাইবেন ভজন। পরশুরামের ভূমিকায় অভিনয় করছেন বিজেপি এমপি মনোজ তিওয়ারি। দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির বিধায়ক বিজেন্দ্র গুপ্তা সাজছেন রাজা জনক। আর তাঁর মন্ত্রীর ভূমিকায় মুম্বইয়ে অভিনেতা আসরানি। আম আদমি পার্টির নেতা ব্রিজেশ গোয়েলকে দেখা যাবে মেঘনাদের ভূমিকায়। রাজনৈতিক ময়দানে আপ-বিজেপি লড়াই হলেও রামলীলার মঞ্চে অন্য ভূমিকায় তাঁরা।
কমিটির সভাপতি অর্জুন কুমার জানান, এবারে আমাদের থিম ‘রামেশ্বর ধাম মে রাম কি লীলা।’ দক্ষিণের রামেশ্বরম মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে ১৮০ ফুট লম্বা, ৬০ ফুট চওড়া এবং ৮০ ফুট উঁচু স্টেজ। তা তৈরি করেছেন কলকাতা, বৃন্দাবন, মথুরার শিল্পীরা। এক লক্ষ এলইডি বাল্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে মঞ্চের পর্দা। দু’টি ২০০ ফুট করে উঁচু ক্রেনের ব্যবস্থা হয়েছে। যার মাধ্যমে তারের সাহায্যে আকাশে হবে রাম-রাবণের যুদ্ধ। উড়ে আসবে হনুমান। মথুরার বডি বিল্ডার সওয়া ছ’ফুটের কেতন কারাডেকে দেখা যাবে হনুমানের ভূমিকায়। রাম সাজছেন মুম্বইয়ের ছোট পর্দার অভিনেতা হিমাংশু সোনি। সীতা সমীক্ষা ভাটনগর। রাবণের ভূমিকায় নিমাই বালি। রামলীলার মঞ্চেও ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য তুলে ধরা হবে আড়াইশো শিল্পীর নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। সব মিলিয়ে রামলীলা ঘিরে জমজমাট দিল্লি।